a
ফাইল ছবি
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে এ সময় সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। আজ রবিবার ঈদের ছুটি শেষে গ্রাহক চাহিদামতো শাখা খোলা থাকবে।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে) বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। এ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে।
লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহসহ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে।
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় গত ১ বছরে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর ব্যাংক হিসাব বেড়েছে সাড়ে ১১ হাজারেরও অধিক, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি। গত মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২, যার মধ্যে ৭২ হাজার ৭৮০ জন বা ৭৭ শতাংশই বেড়েছে গত ১২ বছরে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২ জন। ফলে করোনার গত ১ বছরে দেশে নতুন কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বেড়েছে ৩৮২ জন।
আর স্বাভাবিক সময়ে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছিল মাত্র ছয় হাজার ৩৪৯ জন। আর ২০২০ সালের পুরো সময়ে বেড়েছিল এক হাজার ৫১ জন। এর মানে করোনাকালেই কোটিপতি আমানতকারীর হিসাবের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২১ হাজার ৪৯২ জন। এ হিসাবে গত ১২ বছরে দেশে নতুন কোটিপতি বেড়েছে ৭২ হাজার ৭৮০ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, গত মার্চ শেষে দেশে মোট আমানত হিসাব দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭টি। এসব হিসাবের বিপরীতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিমরাইল মোড় এলাকায় মার্কেট খোলার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় বিভিন্ন মার্কেটের দুই শতাধিক ব্যবসায়ী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেন। বেলা ১১ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা।
বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে দোকান খুলে দেওয়া হয়। নইলে ব্যবসায়ীদের না খেয়ে মরতে হবে।
আরেক ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ লকডাউন আমরা মানি না। গত বছর লকডাউনে আমরা ব্যবসায়ীরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি না মানলে সামনে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে সুশৃংখলভাবে রাস্তা থেকে সরে যান। বিক্ষোভের আগে-পরে পুলিশের কোন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল মার্কেট খোলার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা।