a চলতি বছর জেএসসি-সমমান পরীক্ষা হচ্ছে না
ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চলতি বছর জেএসসি-সমমান পরীক্ষা হচ্ছে না


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:৩৫
চলতি বছর জেএসসি-সমমান পরীক্ষা হচ্ছে না

ফাইল ছবি

চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না।

মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। 

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে জেএসসি ও জেডিসি এবং পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। 

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে গত বছরও এই পরীক্ষা হয়নি। তখন পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের উপরের শ্রেণিতে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শিক্ষা আইন চূড়ান্ত হয়েছে, শিগগিরই যাবে মন্ত্রিপরিষদে: শিক্ষামন্ত্রী


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০৯ জুন, ২০২১, ০৮:৩১
শিক্ষা আইন চূড়ান্ত হয়েছে, শিগগিরই যাবে মন্ত্রিপরিষদে শিক্ষামন্ত্রী

ফাইল ছবি । ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে, শিগগিরই তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

বুধবার (৯ জুন) অনলাইনে ‘চাইল্ড পার্লামেন্টে সেশন ২০২১’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি। এর আগে অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন তিনি।
 
এ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা আইন দীর্ঘদিন ধরে করার চেষ্টা করছি। আমরা সেই শিক্ষা আইনের খসড়াটি করোনাকালেই চূড়ান্ত করেছি। এখন মন্ত্রিপরিষদে যাবে। এরপর আরও কয়েকটি প্রক্রিয়া আছে সেগুলো সম্পন্ন করে পার্লামেন্টে যাবে। সংসদে পাস হয়ে গেলে আমরা আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।

এ অনুষ্ঠানে অনলাইন শিক্ষাসহ শিক্ষায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে। এসময় বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সমস্যা সমাধানের বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।  

এ চাইল্ড পার্লামেন্টে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যের জরিপ নয়, নিজেরা জরিপ করে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সুপারিশ করতে হবে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জুলাই-আগস্ট বিপ্লব এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:৩৭
জুলাই-আগস্ট বিপ্লব এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

ছবি সংগৃহীত

 

বিপ্লব একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি যে কোনো সময় ঘটতে পারে, যদি জনগণ তা চায়। ইতিহাস জুড়ে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময়ে বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছি। ফরাসি বিপ্লবকে সব বিপ্লবের জননী হিসেবে ধরা হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের সাক্ষী হয়েছি, তবে সমাজে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য ইরানি জনগণের সংগ্রাম আজও শেষ হয়নি। বিপ্লবের সূচনালগ্ন থেকেই ইরানি সমাজ অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে প্রকৃত রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য লড়াই করছে।  

বাংলাদেশের জন্মও ছিল ১৯৭১ সালের বিপ্লবের ফল, কিন্তু আমরা এখনও প্রকৃত জাতীয় চেতনার সন্ধান পাইনি এবং জাতি বিভক্ত রয়ে গেছে। গত পাঁচ দশকেও আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি, বরং প্রতিবার রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি।  

আমরা কখনোই একটি স্থিতিশীল সরকার পাইনি এবং সর্বদা কোনো না কোনো সংকটের সম্মুখীন হয়েছি। এরশাদের পতনের পর ১৯৯০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমরা গণতান্ত্রিক চর্চার একটি ধারা দেখেছি, কিন্তু এটি মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের বিশ্বাসঘাতকতায় শেষ হয়। তারা একটি সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে।  

ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙে দেন।  

পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা একজন স্বৈরশাসকে পরিণত হন এবং ভারতের সরাসরি সহায়তায় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার হাতে বন্দী হয়ে চরম নির্যাতনের শিকার হয়, যা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে শেষ হয়। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতের আশ্রয় নেন।  

এই আন্দোলন শুরুতে ছাত্রদের নেতৃত্বে হলেও, পরে তা গণআন্দোলনে পরিণত হয়। শত শত নিরীহ মানুষের জীবন উৎসর্গ এবং কয়েক হাজার মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব ও আধিপত্যের রাজনীতির অবসান ঘটে।  

মানুষ মুক্তি পায় এবং বিপ্লবীদের উদ্যোগে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে বিপ্লবী বা জাতীয় সরকার গঠন না করাটা ছিল বড় ভুল।  

শুরু থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহুমুখী অভ্যন্তরীণ সমস্যার সম্মুখীন হয়, পাশাপাশি ভারতের হুমকি মোকাবিলা করতে হয়। কিন্তু তারা তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। সরকারকে ধীর এবং অনিশ্চিত মনে হয়েছে।  

এদিকে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হয়। বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইলেও জামায়াত ভিন্ন মত প্রকাশ করে।  

রাষ্ট্রপতির অপসারণসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও দুই দল পৃথক অবস্থান নেয়। ছাত্রনেতারাও একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করে।  

গুঞ্জন আছে, জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে বিএনপির পরিবর্তে নতুন রাজনৈতিক দলের সাথে জোট গঠন করতে পারে। এটি বিপ্লব পরবর্তী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।  

এই ক্রান্তিকালে বিএনপি ও জামায়াতের ঐক্য অপরিহার্য হলেও তারা কেবল ক্ষমতার জন্য আলাদা পথে হাঁটছে, জাতির প্রতি দায়িত্ব ভুলে যাচ্ছে। উভয় দল পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিচ্ছে এবং জাতিকে ভুল বার্তা দিচ্ছে। এটি কোনোভাবেই ভালো লক্ষণ নয়।  

জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির বিভক্তি এ সময়ে ভারতকে নতুন রূপে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে, যা কেউ ঠেকাতে পারবে না। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংকেত পাওয়া যাচ্ছে যে, অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শত্রুদের হুমকি বাড়বে।  

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে এককভাবে কিছু করা সম্ভব নয়। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যই ভবিষ্যতের সংকট সামাল দেওয়ার একমাত্র পথ।  

ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা রেখে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা এখন একমাত্র বিকল্প। রাষ্ট্রপতিকে এমন একজনের মাধ্যমে পরিবর্তন করা দরকার, যিনি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য।  

সব প্রক্রিয়া বিপ্লবের সকল অংশগ্রহণকারীদের সাথে আলোচনা করে সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় ঐক্য ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।  

ছাত্রনেতাদের উচিত দেশের সিনিয়র নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। তারা রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে, যা নিঃসন্দেহে ভালো সিদ্ধান্ত, তবে তাদের রাজনীতি শেখার ধৈর্য থাকতে হবে।  

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই এবং এটি চর্চার মাধ্যমে আসে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও পরিপক্কতা প্রয়োজন, যা তরুণদের এখনও নেই। নেতৃত্ব রাতারাতি গড়ে ওঠে না; সময় লাগে।  

জাতি ও সরকার সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ তরুণদের হাতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়; তাদের সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। তারা জাতির জন্য অসাধারণ কাজ করেছে, জাতি সময় মতো তাদের পুরস্কৃত করবে।  

এটি আল্লাহর দেওয়া একটি সুযোগ এবং আমাদের উচিত এটিকে উপেক্ষা না করা। বিপ্লব পরবর্তী রাজনীতিতে যে কোনো তাড়াহুড়ো বা ভুল সিদ্ধান্ত জাতীয় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বিজয়ের সাফল্য নির্ভর করছে জাতীয় ঐক্যের উপর।  

 

লেখক: প্রফেসর ড. এসকে আকরাম আলী

সম্পাদক, সামরিক ইতিহাস জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিক্ষা