a
ফাইল ছবি
চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
প্রতি বছর নভেম্বর মাসে জেএসসি ও জেডিসি এবং পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে গত বছরও এই পরীক্ষা হয়নি। তখন পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের উপরের শ্রেণিতে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
সংগৃহীত ছবি
আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রথম ধাপের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন মনিটরিং করে পাঠাতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
মাউশি’র মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এর পরিচালক প্রফেসর মোঃ আমির হোসেন স্বাক্ষরিত ৫ আগস্ট বৃহষ্পতিবার জারি করা অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সকল আঞ্চলিক পরিচালকরা তাদের নিজ অঞ্চলভূক্ত থানা বা উপজেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজের প্রথম দুই সপ্তাহের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের মোট সংখ্যা উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক এবং নিজ অঞ্চলের তথ্যসার-সংক্ষেপ সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তা প্রস্তুত করবেন।
উল্লেখিত সময়ে এসব তথ্য-উপাত্ত মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এর ই-মেইল- assignment.mew@gmail.com এ পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পূনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে প্রণয়নকৃত অ্যাসাইনমেন্ট প্রথম ধাপে দুই সপ্তাহের জন্য গত ২৬ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ ও প্রশাসন শাখা হতে মাউশি’র ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এর আলোকে অধ্যক্ষদের নেতৃত্বে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে একটি করে পরীবিক্ষণ টিম গঠন করে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরীবিক্ষণ করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাউশি অধিদফতর হতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে এব্ং কভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধিকে কোনোভাবেই উপেক্ষা না করারও অনুরোধ জানানো হয়।
ছবি সংগৃহীত: বস্তায় আদা চাষ
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক: বাড়ির আশে পাশে খালি জায়গায় বা ছাদে বস্তায় আদা চাষ করতে নিম্নের ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে:
উপযুক্ত মাটিঃ আদা চাষের জন্য উচু জায়গা ও জৈব সার সমৃদ্ধ দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটি সবথেকে উত্তম।
* বস্তায় আদা লাগানোর সময়ঃ বস্তায় আদা চাষের জন্য এপ্রিল-মে মাসে আদা রোপন করতে হয়।তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে উপযুক্ত সময়।
* বস্তায় আদা লাগানোর স্থানঃ বসতবাড়িতে বা বাগানে ৩০%-৪০% ছায়াযুক্ত স্থানে আদা ভালো হয়। সম্পূর্ণ ছায়া বা আলোতে আদা ভালো হয় না৷ তাই দিনের ২/৩ ভাগ আলো আসে এরকম জায়গায় বস্তা রাখতে হবে।
* আদার জাত নির্বাচনঃ বস্তায় চাষের জন্য জনপ্রিয় জাত
বারি আদা_১ ও
বারি আদা_২
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে আদার বীজ ক্রয় করতে পারেন। প্রচলিত বাজার থেকে বীজ কিনে বস্তায় আদা চাষ করা উচিত না।
* আদার কন্দের সাইজ নির্বাচনঃ মাটি তৈরি হয়ে গেলে বস্তায় রোপনের জন্যে ৪০-৫০ গ্রাম সাইজেট আদার কন্দ প্রয়োজন।
* বীজ শোধনঃ আদার কন্দ লাগানোর আগে কার্বোডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম হারে মিশিয়ে নিয়ে এক কেজি আদার কন্দ শোধন করে নিতে হবে। শোধনের পর কন্দগুলো সাথে সাথে রোপন করা যাবে না কমপক্ষে একঘণ্টা ছায়ায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে শুকানো যাবে না
* মাটি প্রস্তুতঃ বস্তায় আদা চাষের জন্য আদার কন্দ রোপনের ১৫ দিন আগে মাটি ও সার প্রস্তুত করতে হবে।
* মাটি তৈরিঃ আদা কন্দ বা রাইজোম জাতীয় মসলা ফসল তাই মাটি যত নরম ও ঝড়ঝড়ে হবে তত ভালো। এতে রাইজম সহজেই মাটির নিচে বড় হতে পারে। শক্ত মাটিতে আদার ফলন কম হয় কারণ মাটি শক্ত হওয়ায় রাইজোম বড় হতে পারে না।
বস্তা নির্বাচনঃ বস্তায় আদা চাষের জন্য বস্তা সিমেন্টের বস্তা আদা চাষের জন্য উত্তম। একটি সিমেন্টের ব্যাগ কেটে দুইটি করে আদার বস্তা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বস্তার খরচ ৫০% কমে যাবে। প্রতি বস্তার জন্য ঝুর ঝুরে পরিস্কার
১। মাটি ১৫ কেজি
২। পঁচা গোবর ৫-৬ কেজি
৩। টিএসপি ২০ গ্রাম
৪। এমওপি (পটাশ) ১০ গ্রাম
৫। জিপসাম ১০ গ্রাম
৬। জিংক ৫ গ্রাম
৭। বোরন ৫ গ্রাম
৮। দানাদার কীটনাশক ১০ গ্রাম
৯। কাঠের গুড়া ১ কেজি
১০। ছাই ১ কেজি (সম্ভব হলে)
১১। ভার্মিকম্পোষ্ট ১ কেজি (সম্ভব হলে)
১২। বালু ১ কেজি (বেলে দোআঁশ মাটি হলে দরকার নেই)
মাটি মিশ্রণ বা তৈরি পদ্ধতিঃ সমস্ত সার মাটি দানাদার কীটনাশক, কাঠের গুড়া বালু ভালোভাবে মিশিয়ে ১২-১৫ দিন কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১২-১৫ দিন পর পলিথিন উঠিয়ে মাটি উল্টাপাল্টা করে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তার পর বস্তায় ভরে ২-৩ দিন রেখে আদার বীজ বপন করতে হবে।
বস্তায় সার মিশ্রিত মাটি ভরাটঃ বস্তায় সার মিশ্রিত মাটি এমন ভাবে ভর্তি করতে হবে যাতে বস্তার উপরের অংশ ২-৩ ইঞ্চি ফাঁকা থাকে।
* বস্তা স্থাপন পদ্ধতিঃ বৃষ্টির পানি জমাট বাধে না এমন যায়গায় সারিতে ৮-১০ ইঞ্চি পর পর পাশাপাশি ২ টি বস্তা স্থাপন করতে হবে। মাঝ খান দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা রাখতে হবে যাতে সহজে চলাফেরা করা যায় এবং আন্তপরিচর্যা করতে সুবিধা হয়।
* আদা কন্দ রোপনের গভীরতাঃ আদার বীজ মাটির ভিতরে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। বীজ লাগানোর পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।
* আগাছাঃ বস্তায় আদা চাষে তমন কোন আগাছা হয় না। যদি আগাছা দেখা যায় তাহলে হাত দিয়ে নিড়ানি দিয়ে গোড়া পরিস্কার রাখতে হবে।
* সেচ প্রয়োগঃ বৃষ্টি না হলে হালকা ছিটানো পানি দিতে হবে।
পানি নিষ্কাশনঃ মাটি ভরাটের আগে বস্তার নিচে, সাইডে ৪-৫ টি ফুটা করে দিতে হবে যাতে অতিবৃষ্টিতে বস্তায় পানি জমে না থাকে।
*সার প্রয়োগ:
প্রথম কিস্তিঃ আদার কন্দ রোপনের ৫০ দিন পরে বস্তা প্রতি ১০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫ গ্রাম এমওপি একত্রে প্রয়োগ করতে হবে।
দ্বিতীয় কিস্তিঃ আদার কন্দ রোপনের ৮০ দিন পরে বস্তা প্রতি ইউরিয়া ৫ গ্রাম পটাশ ৫ গ্রাম হারে গাছের চারি পশে ছিটিয়ে দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
তৃতীয় কিস্তিঃ আদার কন্দ রোপনের ১১০ দিন পরে ইউরিয়া ৫ গ্রাম পটাশ সার ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে
* আদা উত্তোলনঃ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারী মাসে তোলা যায়। আদার পাতা হলুদ হয়ে আসলে আদার পরিপক্ক হয়ে যায়।
* ফলনঃ উপযুক্ত পরিচর্যায় প্রতি বস্তায় ১-৩ কেজি পর্যন্ত আদা পাওয়া যায়। এছাড়াও রোগবালাইয়ের আক্রমণ দেখা গেলে আপনার নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা /উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।