a
সংগৃহীত ছবি
দেশজুড়ের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পাশাপাশি বর্তমানে তান্ডব চালিয়ে প্রতিদিনই ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এমতাবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি ৭টি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। বুধবার রাতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হল-
১। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এর আশেপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে (প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশেপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, টায়ার ইত্যাদি) সেসব জায়গা চিহ্নিত করে এক দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।
২। অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে, যাতে পানি না জমে।
৩। হাই-কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে, লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
৪। কোনও জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।
৫। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।
৬। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সাথে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৭। ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ফাইল ছবি
চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ফলে এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় যে, এ বছর পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার বিষয়ে আগে থেকে সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তাই চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করতে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আকতারকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
গত ২৭ মে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় চীন থেকে সরকারি পর্যায়ে সরাসরি টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ওইদিনই ব্রিফিংয়ে শাহিদা আকতার প্রতি ডোজ টিকার দাম কত হচ্ছে, সেটি ব্রিফিংয়ে জানান।
এর পাঁচদিন পর ১ জুন শাহিদা আকতারকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই ব্রিফিংয়ে সচিব শাহিদা আকতার জানান, দেড় কোটি ডোজ টিকার মোট দাম পড়বে ১৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ হয় এক হাজার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ ডলার।
এই দাম জানানোর পর টিকা নিয়ে কিছুটি জটিলতা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে খবর বেরিয়েছে। অর্থাৎ চীনার এই টীকা শ্রীলংকাসহ বেশ কিছু দেশে এর চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এবং আমাদের দেশে এই টিকার মূল্য সম্পর্কে গোপন রাখার ব্যাপারে সতর্ক করা হলেও তা অনেকটাই উপেক্ষিত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
তাই তিনি টিকার দাম জানিয়ে দেওয়ায় উদ্ভূত নানান জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণেই তাকে ওএসডি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। সূত্র: যুগান্তর