a
ফাইল ছবি
দেশের সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার মেয়ে। তিনি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। তিনি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সেখানে মামার বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। তার পুরো নাম শামসুন নাহার স্মৃতি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর জেলা পরিষদ সদস্য মো. আব্দুল হাই হাওলাদার জানান, পরীমনির বাড়ি এখানে না হলেও তিনি নানা মো. শামসুল হক গাজীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে বেড়ে উঠেছেন। তবে তার বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার সালাবাদ গ্রামে। তার পিতা মনিরুল ইসলাম ছিলেন একজন পুলিশ কনস্টেবল।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, পরীমনির শিশুকালে তার মা সালমা সুলতানার মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর পর পিতা-মাতার একমাত্র মেয়ে শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিকে তার নানা মো. শামসুল হক গাজী তাদের ভাণ্ডারিয়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি ছিলেন মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু গরিব হওয়ায় কোনো প্রাইভেট পড়তে পারেননি। তারপরও তিনি ভগিরাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত হন।
এরপর মামার বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা দিলেও প্রথমে তিনি ফেল করেন। পরের বছর ২০১১ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।
পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী জানান, পরীমনির মায়ের মৃত্যুর পর তাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। সে আমাদের বাড়িতে থেকে স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করে এসএসসি পাশ করে। পরে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হলেও বরিশালে থাকা খালাতো ভাই ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। সেখানে ২ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর বিচ্ছেদ হয়।
স্থানীয়রা জানান, উচ্ছৃঙ্খল জীবনের জন্য খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় ও ২০২০ সালে তৃতীয় বিয়ে হয় পরীমনির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঠবাড়িয়ার ভগিরাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তার এক সহপাঠী জানান, ছাত্রজীবন থেকে শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি ছিলেন উচ্চাভিলাষী ও উচ্ছৃঙ্খল। তাকে আমরা স্মৃতি নামে চিনতাম। তবে এসএসসির নিবন্ধনে তার নাম ছিল শামসুন নাহার।
জানা গেছে, অত্যন্ত গরিব পরিবারের কন্যা শামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি পেটের টানে চলে যান ঢাকায়। সেখানে চিত্রজগতে প্রবেশ করেন। প্রথমে ভালো পরিচিতি লাভ না করলেও পরে ‘বিশ্ব সুন্দরী’ নামে একটি ফিল্মে নায়িকার অভিনয় করে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
ফাইল ছবি । সালমান খান
ভারতীয় মুভি ইন্ড্রাস্ট্রিতে সালমান খানের ছবি বলতেই বক্স অফিসে হিট। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া নতুন ছবি ‘রাধে: ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’র মুখ থুবড়ে পড়েছে এই অবস্থার পরেই অন্যরকম তথ্য জানালেন সালমান খান নিজে। বললেন- বর্তমান এই প্রজন্মে টাইগার শ্রফ, বরুণ ধাওয়ানরা আছেন, আমাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। নিজে যত পরিশ্রম করবেন ততই সাফল্য আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ভাইজান।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ভাইজান বলেছেন , “আমার বয়স এখন ৫৫-৫৬। কিন্তু ১৪-১৫ বছরে বয়সে আমি যা করতাম এখন আমি তাই করছি। এই প্রজন্মে টাইগার শ্রফ, বরুণ ধাওয়ান,রণবীর সিং, আয়ুষ শর্মারা আছেন। তাদের সাথে টিকে থাকতে হলে আমাকে আরো পরিশ্রমী হতে হবে”
সালমান বিশ্বাস করেন পরিশ্রমের বিকল্প নেই। পরিশ্রমের দাম দর্শকরা দিবেন বলে আশাবাদী এই সুপারস্টার। । ‘রাধে ছবি মুক্তির পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ট্রল ও মিমের শিকার হচ্ছে তিনি । ছবি মুক্তির পর মাপকাঠি নির্ণয়ে মাত্র ১.৭রেটিং অর্জন করেছে রাধে।
ফাইল ছবি
ক্যাসিনো-কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত নেতাদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, একজন সংসদ সদস্যের সাংগঠনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দেখে নেওয়ার হুমকি একসূত্রে গাঁথা।
টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাতে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার জিম্মি করার এই হীন প্রচেষ্টায় তারা হতাশ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্যাসিনো-কাণ্ডে অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত নেতা বিদেশে দীর্ঘদিন পলাতক থেকে চমকপ্রদ উপায়ে দেশে ফিরে দায়িত্বশীলদের উপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনে পুনর্বহাল হয়েছেন। একই সঙ্গে আরও একাধিক অভিযুক্ত নেতা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুনরায় সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে নিচ্ছেন। এটি সরকার প্রধানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাকে পদদলিত করার প্রকট দৃষ্টান্ত।
যুবলীগের সাবেক নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ওরফে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আলোচনায় আসেন। তখন ক্যাসিনো-কাণ্ডে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট), সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ অনেকে গ্রেপ্তার হলেও সাঈদ ধরা পড়েননি।
কারণ, অভিযান শুরুর কয়েক দিন আগেই তিনি দেশের বাইরে চলে যান। এরপর ওই বছরের ১৭ অক্টোবর তাঁকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করে সরকার। তিনি গত জানুয়ারির শেষ দিকে দেশে আসেন। দেশে ফিরে ক্যাসিনো সাঈদ প্রথম প্রকাশ্যে আসেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফ্যালকন হলে হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়মিত সভায় আকস্মিকভাবে হাজির হন তিনি।
আজ ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ক্ষমতাসীন জোটের একজন সংসদ সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করার কারণে দুদককে যে ভাষায় হুমকি দিয়েছেন, তা শুধু আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনই নয়। তার কর্তৃত্বাধীন সাংগঠনিক সক্ষমতাকে পেশিশক্তি হিসেবে ব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ। অথচ আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করার প্রয়াসের পথে হাঁটতে পারতেন।
গত সোমবার দুদকের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এই সংসদ সদস্য সেদিন বলেন, ‘দুদক নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চেনেনি। যা তা কমেন্ট করছেন সহকারী পরিচালক। চামড়া সব ছিঁড়ে ফেলব। মাইজভান্ডারীর গায়ে হাত!’
সংসদ সদস্য নজিবুল বশরের এই বক্তব্যের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। নজিবুল বশরের এই বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয় বলে মনে করেন হাইকোর্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার নজিবুল বশরের বক্তব্য নজরে আনার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা সবাই কেমন যেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি। সিভিল সোসাইটির একজন মানুষ, ভালোভাবে বলতে পারতেন। তাঁর মন্তব্য আরও সুন্দর হওয়া উচিত ছিল।’
টিআইবির প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধক আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাতে জিম্মি করার হীন প্রয়াস। সরকার ও ক্ষমতাসীন দল দেশবাসীকে কী বার্তা দিতে চাইছে? ‘যেকোনো অপরাধই করা হোক না কেন, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা থেকে পার পাওয়া যাবে! রাজনৈতিক অঙ্গনকে পেশিশক্তি ও দুর্বৃত্তায়নের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের এই অশুভ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকার ও ক্ষমতাসীন জোটকেই নিতে হবে।’ সূত্র: প্রথম আলো