a
ফাইল ছবি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আলোর মুখ দেখতে পেল হলিউডের জনপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন মুভি ম্যাট্রিক্সের চতুর্থ কিস্তির ট্রেইলার। আগের তিনটি কিস্তিতে চ্যালেঞ্জিং ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর যে ধারা রয়েছে সেটি ধরে রাখা হয়েছে এবারের দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনসে। নিও এবং ট্রিনিটির ভূমিকায় অভিনয় করা কিয়ানু রিভস এবং ক্যারি-অ্যান মস আবারও একসঙ্গে হয়েছেন নিজেদের চরিত্রে।
তবে মরফিয়াস হিসেবে লরেন্স ফিশবার্নকে ফেরানো হয়নি এই কিস্তিতে। রিভস এবং মস-এর সঙ্গে নীল প্যাট্রিক হ্যারিস, ইয়াহিয়া আব্দুল-মতিনের পাশাপাশি বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনয় করেছেন দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনসে। আবদুল-মতিন নতুন ছবিতে একজন তরুণ মরফিয়াসের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন বলে খবর রটেছে। বরাবরের মতো দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস পরিচালনা করেছেন লানা ওয়াচোস্কি।
যুক্তরাষ্ট্র ও অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এইচবিও আগামী ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস। ওয়েবসাইটে ভক্তরা কোন ফুটেজ দেখবেন, তা নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবেন। সাইটে যাওয়ার পর ভিজিটররা একটি লাল বা নীল 'পিল' নির্বাচন করতে পারবেন। তাদের নির্বাচিত পিল অনুযায়ী বাজবে একটি টিজার।
'দ্য ম্যাট্রিক্স' মুভিতে দেখানো হয়, লাল পিলটি কিয়ানু রিভস অভিনীত 'নিও' চরিত্রকে মুক্ত করেছিল। অন্যদিকে, নীল পিল তাকে তার মিথ্যা বাস্তবতায় আটকে রেখেছিল। আরেক টিজারে বলা হয়, 'আপনি কি মনে করতে পারেন এখানে কীভাবে এসেছেন? আপনি কল্পনা থেকে বাস্তবতাকে আলাদা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, যা কিছু বাস্তব, তা রয়েছে এখানেই।
এ ছাড়া আর যা কিছু আছে, তা আপনার ওপর নিজেরই মনের চালানো কৌশল। কল্পনা আমাদের বিপদে ফেললে ব্যাপারটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা চাই না কেউ আহত হোক, তাই না?' দুই দশক আগে ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক চলচ্চিত্র দ্য ম্যাট্রিক্স।
এ ছবি দিয়েই কানাডার অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী কিয়ানু রিভস জনপ্রিয়তা পান। এরপর ২০০৩ সালের শুরুতে ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিলোডেড’ এবং ওই বছরের শেষ দিকে ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেজল্যুশন’ দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দেড় দশকেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি ম্যাট্রিক্স ফোর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন পরিচালক লানা ওয়াচোস্কি। তিনি নিজেই চতুর্থ সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছেন।
ফাইল ছবি
দ্বিতীয় বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। গত ২৭ মে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে সে খবর জানানো হলো প্রায় ২ মাস পর।
পূর্ণিমার স্বামীর নাম আশফাকুর রহমান রবিন। এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামীর নাম আহমেদ ফাহাদ জামাল। সে সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামে পূর্ণিমার একটি মেয়ে সন্তান আছে।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে পূর্ণিমার যে বিচ্ছেদ হয়েছে তার খবর গণমাধ্যমে আসেনি। তার আগেই দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ পেল গণমাধ্যমে। এদিকে দাবি করা হয় পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতেন না তার সাবেক স্বামীও।
গণমাধ্যমকে প্রাক্তন স্বামী বলেন, পূর্ণিমার বিয়ের খবর আমিও জানতাম না। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এখন জানতে পেরেছি। আমার পক্ষে তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। আর আমার সন্তানের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সাবেক স্বামীকে নতুন বিয়ের খবর না জানানের কারণ জানাতে পূর্ণিমা বলেন, যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়েটা স্কুলে পড়ে। সব বিবেচনা করে আমরা বিষয়টি জানাতে চাইনি।
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ ফাহাদ জামালকে ভালোবেসে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি।
তিন বছর আগে প্রথম স্বামী ফাহাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় পূর্ণিমার। বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের একমাত্র সন্তান আরশিয়া উমাইজা উভয়ের কাছেই থাকেন।
এদিকে দুই মাস পর বিয়ের খবর প্রকাশের কারণ জানালেন পূর্ণিমা নিজেই। বলেন, ‘বিয়ের পরেই তিনিসহ পরিবারের অন্যরা অসুস্থ ছিলেন। কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এ জন্য বিয়ের খবর জানাতে দেরি হয়েছে।’
পূর্ণিমার দ্বিতীয় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন একটি বহুজাতিক কোম্পানির বিপণন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লেখাপড়া করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
মুসলমানদের জন্য পবিত্র রমজানে মাস উপলক্ষে সাবেক জার্মান তারকা মেসুত ওজিল সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খাদ্য সহায়তা দেবে বলে তুর্কিসংবাদ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে। ওজিলের খাদ্য সহায়তার অংশ বিশেষ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের খাদ্য সহায়তা দেবেন সাবেক বনে যাওয়া জার্মানির তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে দুস্থ ও অসহায় শিশুদের জন্য তার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৭০ ডলার দান করেছেন জার্মান মিডফিল্ডার ওজিল।
এই অর্থ খরচ করা হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইফতারের খাবার কেনার জন্য। যার একটি অংশ আসবে বাংলাদেশেও। ‘দ্য তার্কিশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’ জানিয়েছে, ৭৫০টি খাবারের পার্সেল আসবে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিম শিশুদের হাতে।এ ছাড়া তুরস্কে ২৮০০ জনের মাঝে তুলে দেওয়া হবে খাবার। পাশাপাশি ১ হাজার খাবারের প্যাকেট পাঠানো হবে ইন্দোনেশিয়ায়।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ওজিলের পাঠানো ইফতারের খাবার সিরিয়ার ইদলিবে এবং সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতেও পাঠানো হবে।
তুর্কিশ রেড ক্রিসেন্টের প্রেসিডেন্ট ড. ক্রেম কিনিক বলেন, অনেক বছর ধরে ওজিল বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
ওজিল তুর্কিশ-জার্মান পেশাদার ফুটবলার। তিনি আগে আর্সেনাল ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলতেন।
বর্তমানে ওজিল তুর্কির একটি ক্লাবে খেলছেন পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের নির্যাতিত নিষ্পেষিত শিশুদের পাশে প্রায়ই দেখা যায় এই তারকাকে।