a
ফাইল ছবি
দ্বিতীয় বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। গত ২৭ মে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে সে খবর জানানো হলো প্রায় ২ মাস পর।
পূর্ণিমার স্বামীর নাম আশফাকুর রহমান রবিন। এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামীর নাম আহমেদ ফাহাদ জামাল। সে সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামে পূর্ণিমার একটি মেয়ে সন্তান আছে।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে পূর্ণিমার যে বিচ্ছেদ হয়েছে তার খবর গণমাধ্যমে আসেনি। তার আগেই দ্বিতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ পেল গণমাধ্যমে। এদিকে দাবি করা হয় পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতেন না তার সাবেক স্বামীও।
গণমাধ্যমকে প্রাক্তন স্বামী বলেন, পূর্ণিমার বিয়ের খবর আমিও জানতাম না। গণমাধ্যমের মাধ্যমে এখন জানতে পেরেছি। আমার পক্ষে তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। আর আমার সন্তানের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
সাবেক স্বামীকে নতুন বিয়ের খবর না জানানের কারণ জানাতে পূর্ণিমা বলেন, যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়েটা স্কুলে পড়ে। সব বিবেচনা করে আমরা বিষয়টি জানাতে চাইনি।
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহমেদ ফাহাদ জামালকে ভালোবেসে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি।
তিন বছর আগে প্রথম স্বামী ফাহাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় পূর্ণিমার। বিচ্ছেদের পর থেকে তাদের একমাত্র সন্তান আরশিয়া উমাইজা উভয়ের কাছেই থাকেন।
এদিকে দুই মাস পর বিয়ের খবর প্রকাশের কারণ জানালেন পূর্ণিমা নিজেই। বলেন, ‘বিয়ের পরেই তিনিসহ পরিবারের অন্যরা অসুস্থ ছিলেন। কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এ জন্য বিয়ের খবর জানাতে দেরি হয়েছে।’
পূর্ণিমার দ্বিতীয় স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন একটি বহুজাতিক কোম্পানির বিপণন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লেখাপড়া করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
বাংলা নাটকের ছোটপর্দার বেশ জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। নিজের সফল ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকবার শিরোনাম হয়েছেন। এবার তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় এ অভিনেতা।
আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আমেরিকা প্রবাসী শাম্মা দেওয়ানের সঙ্গে অপূর্ব তৃতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন । এ সময় দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপূর্ব’র তৃতীয় বিয়ের ছবি প্রকাশিত হওয়া মাত্রই মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের পর ভক্ত ও সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন অপূর্ব। তিনি বলেন, আলহামদুল্লিাহ, ছোট পরিসরে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হলো। আপনার সবাই আমাদরে নতুন সম্পর্কের জন্য দোয়া করবেন।
বিয়ে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান উল্লেখ করে অপূর্ব বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করতে যাচ্ছি না যে, আমাকে লুকিয়ে বা চুপিসারে করতে হবে। এটা জানবেই। স্বাভাবিকভাবে এটা জানাতেই হবে। যেভাবে প্রথমে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে সেটা করতে চাইনি। আমি সুন্দর করে সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম।’ আলাপকালে জনপ্রিয় এ অভিনেতা জানান, শাম্মা দেওয়ানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। শাম্মা বিবিএ সম্পন্ন করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন।
পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রায় ২৫ দিন আগে বিয়ের দিনতারিখ ঠিক করা হয়েছে। আরও পড়ুন: অপূর্ব ‘পরকীয়া’ করে বিয়ে করছেন: সাবেক স্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে শোবিজের সবাইকে দাওয়াত করার পরিকল্পনা ছিল অপূর্ব। কিন্তু করোনার কারণে তা বাতিল করতে হয়েছে। অভিনেতার ইচ্ছা ছিল, বিয়ের পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর মিডিয়ার বন্ধুদের পুরো খবরটি জানাবেন। কিন্তু সেটাও এখন আর হচ্ছে না।
আলাপের শেষে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, ‘কানাঘুষা শুরু হওয়ায় বিষয়টি আর চাপিয়ে রাখতে চাইনি। আমি খুব পজিটিভ মনোভাব নিয়ে থাকি। কিছু লুকাতে চাই না। আমি একটি পবিত্র সম্পর্কে জড়াচ্ছি। এই সময়ে আসলে সবার দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১০ সালে অভিনেত্রী প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বিচ্ছেদ হয় তাদের। ওই বছরই ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন এ অভিনেতা। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৯ বছরের সংসারে ইতি টানেন অপূর্ব-অদিতি। প্রায় দেড় বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন অদিতি। অপূর্ব-অদিতি দম্পতির আয়াশ নামের একটি পুত্রসন্তান আছে।
ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ
সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রকাশিত খবরে জানতে পারলাম উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। জানিনা খবরের সত্যতা কতটুকু। যদি সত্য হয় তবে তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এই ধরনের কাজ আবারও হতে পারে তাই আগামী কিছুদিন আমাদের সবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। ফেসবুক ব্যবহার যখন করতেই হয়, তখন এখানে নিরাপদ থাকতেই হবে। না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা তো বটেই, মারাত্মক বিপদেও পড়তে পারেন। নিচের বিষয়গুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকলে এ ধরনের অযাচিত ঝামেলা এড়িয়ে চলা সম্ভবঃ
১। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড:
ফেসবুক একাউন্টের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড এমন হবে যা সাধারনভাবে কেউ ধারণা করতে পারবে না। পাসওয়ার্ড বড় এবং কঠিন হতে হবে। শুধু বড় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার একাউন্ট নিরাপদ হবে না। কারণ হ্যাকাররা ‘ডিকশনারি অ্যাটাক' নামে একটি কৌশল অবলম্বন করে যেখানে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে তৈরি করা যায় এমন সব শব্দই ব্যবহার করা হয়। তাই পাসওয়ার্ডে সবসময় ছোটবড় অক্ষর, সংখ্যা, বিশেষ চিহ্ন যেমন #@%&*!$ ইত্যাদি ব্যবহার করা ভাল।
যে ভুলগুলো বেশিরভাগ মানুষ করে থাকে তা হলঃ নিজের নাম, বান্ধবী/বন্ধু/স্বামী/স্ত্রীর নাম, নিজের ডাকনাম, সাথে কমন ১২৩৪৫, ফোন নম্বর, বিভাগের নাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, জন্মতারিখ, বিয়ে বার্ষিকী, পরীক্ষার বছর ইত্যাদি পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত বা বন্ধুদের কেউ আপনার পাসওয়ার্ড পেতে চাইলে প্রথমেই এগুলো দিয়ে চেষ্টা করবে।
ভিন্ন ভিন্ন সাইটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা ভাল৷ যেমন ফেসবুক, ইয়াহু মেইল, জিমেইল, টুইটার ও গুগল অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা৷ সবগুলোতে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার যে কোনো একটি অ্যাকাউন্টে হ্যাক হলে সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্যগুলোতেও ঢুকতে পারবে।
২। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন:
আপনাকে অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন চালু রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি আপনার পাসওয়ার্ড পেয়েও যায় তারপরও সহজে লগইন করতে পারবে না। লগইন করার সময় আপনার ফোনে একটি কোড আসবে। এই কোড না থাকার কারণে অন্য কেউ লগইন করতে পারবে না। সিকিউরিটি এন্ড লগইন সেকশনে গিয়ে আপনার মোবাইল নম্বরটি যোগ করে দিতে পারেন। এরপর থেকে প্রতিবার ফেসবুকে লগইনের সময় বিনামূল্যে একটি এসএমএস আসবে এবং সেটি প্রবেশ করিয়ে লগইন করতে হবে।
৩। ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করুন:
যদি কোন কারণে আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয় তখন আপনার একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর সহায়তায় আপনার আইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। সিকিউরিটি এন্ড লগইন পেজে আপনি তিন থেকে পাঁচজন বন্ধুকে ট্রাস্টেড কন্টাক্ট হিসেবে সেট করে রাখুন। আপনার একাউন্ট হ্যাক হলে তাঁরা আপনাকে ইউআরএল এর মাধ্যমে একটি রিকভারি কোড পাঠাতে পারবে।
৪। সন্দেহজনক লিংক:
কখনোই সন্দেহজনক কোন লিংকে ক্লিক করবেন না
অপরিচিত বা অপ্রয়োজনীয় লিংকে কখনও ক্লিক করবেন না। বিশেষ করে যাদের আপনি চিনেন না বা বিশ্বাস করেন না এমন কারো কাছ থেকে আসা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার একান্ত কাছের বন্ধু অথবা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে যদি এমন কোন লিংক, মেসেজ অথবা পোস্ট পান যা তাঁর স্বাভাবিক কার্যক্রমের সাথে মেলে না, সেক্ষেত্রে তা এড়িয়ে যান। সন্দেহজনক এটাচমেন্ট ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন।
৫। ফেসবুকের নামে পাসওয়ার্ড চাইলে:
মনে রাখবেন ফেসবুক কখনো মেইলে আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে না। এ ধরনের মেইল পেলে তা ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন।
৬। ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণে সতর্কতা:
এমন কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবেন না যাকে আপনি চেনেন না। হ্যাকাররা মিথ্যা পরিচয়ে আপনার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে। আর পরে আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে অথবা আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে পারে অথবা হ্যাকিংয়ের মেসেজ পাঠাতে পারে।
৭। লগইন এ সতর্ক হোন:
স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে (যেমনঃ www.facebooc.com) সেখানে আপনার ফেসবুকের লগইন ইমেইল/ফোন নম্বর বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। মনে রাখবেন www.facebook.com ছাড়া অন্য কোন ইউআরএল ফেসবুক ব্যবহার করে না। সতরাং ফেসবুকের বাইরে অন্য কোন শব্দ থাকলে বা সন্দেহ হলে সঠিক ইউআরএল চেক করে নিন।
পাব্লিক প্লেসে বা সাইবার ক্যাফে বা অন্য কারো কম্পিউটারে ফেইসবুক ব্যবহারের সময় কখনো ‘কিপ মি লগড ইন' বা ‘সেভ পাসওয়ার্ড’-এ ক্লিক করেবন না৷ যদি কখনো লগইন করার পর লগআউট করতে ভুলে যান তাহলে অন্য কোন কম্পিউটার বা মোবাইলে পুনরায় লগইন করে সিকিউরিটি এন্ড লগইন সেটিংসয়ে সর্বশেষ লগইন হিস্টরি থকে ডিভাইস সনাক্ত করে লগআউট করে দিন।
৮। প্রাইভেসি সেটিংস এবং টুলস:
আপনার ফেসবুকের প্রাইভেসি আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফেসবুকে নিজেকে নিরাপদ রাখার এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। https://www.facebook.com/privacy মেনু থেকে আপনার পছন্দমত সেটিংস করে নিন। বিশেষ করে, How People Find and Contact You ট্যাব থেকে Email address, phone number অপশনগুলোকে Friends অথবা Only Me করে রাখুন। এছাড়া ‘সিকিউর ব্রাউজিং' অপশন, ‘লগইন নোটিফিকেশনস' অপশন চালু করে রাখা আর Who can see your future posts অপশন এ Friends করে রাখলে আপনি অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন।
সবশেষে বলব, ফেসবুকে কিছু শেয়ার করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, এটা ফাঁস হলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে কি না। মনে খানিকটা দ্বিধা থাকলেও সম্মতি দেবেন না।
লেখক: ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ, সহযোগী অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়