a
মুক্তা দাশ
একটা কথা ছিলো
একটা কথা ছিলো
চার অক্ষরের একটা কথা!
এতোগুলো দিন পেরোলাম
কত সকাল বাসি হলো,
দুপুরের খা খা খা রোদ্দুরে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হলাম!
বিকেল..!
একটু গা এলিয়ে যেই না বাতাসে গা ভিজাচ্ছি,
এলোচুলে হারিয়ে যাচ্ছি অন্য কোন মনে
অমনি ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে এলো উঠোনে।
বারান্দার গ্রিল এর এপাশে আমি!
এতো সব দেখি, শুনি, গায়েও মাখি...
টুকটাক মনমতো সিন্দুকে পুরেও রাখি
সবটাই লোহার গ্রিল এর এপাশে !!
একটা কথা ছিলো
চার অক্ষরের একটা কথা ...!
হাসতে ভুলে গেছি অনেক দিন,
ইটের দেয়াল কাঁপানো বকা খাওয়া হাসি..
এখন আর চাইলেও হাসতে পারি না।
লজ্জাবতী শরীর ছুঁয়েছিলে কোন এক অমৃতযোগে !
শেষ হাসিটা উধাও হলো
আত্মহত্যার অমৃতসুরা পানে ।
লজ্জাবতী’র গোলাপী আভা আজ রক্তাক্ত !
ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের এফোড় ওফোড়।
একটা কথা ছিলো
চার অক্ষরের একটা কথা ...!!
ভা...লো..বা...সি
ভা...লো....বা...সা ।।
মুক্তা দাশ
ইট পাথরের এই শহরে তুমিহীন আমি ...
বড় একা!
আকাশ দেখিনা অনেকদিন। নরম ঘাসে ভেঁজা মাটিতে
হাতে হাত রেখে পাশাপাশি দু'জনে
অনেকদিন একসাথে হাঁটি না।
করোনা র মৃত্যু ভয়ে সবাই যখন ব্যস্ত হাটে-বাজারে
কিংবা শপিংমলের লম্বা লাইনে। তখন
আমি অপেক্ষায়.....
চারদেয়ালে বন্দী হবার আগে তোমার
শেষ ছোঁয়াটুকু পাবার আশায়।
ঠিক এসেছিলে,,, যেমনটি কাছে আসো বরাবর।
মুখোমুখি চায়ের কাপ ,,, উষ্ণতা জড়ানো ছোঁয়া
চোখের আয়নায় নিষ্পলক চোখ
আকাশছোঁয়া চাওয়া - পাওয়া ;
খুঁজে ফিরে না বলা অনুভব .....
সন্ধ্যারাগে শেষ চৈত্রে,,,, উঠেছিলো ঝড়
ঠোঁটের স্পর্শে লন্ডভন্ড ! কালবৈশাখী প্রহর।
করোনা ঝড়ে ছিটকে পরা নীড়ে আজ
দু'জনেই বন্দী! চারদেয়ালের বন্দীশিবিরে।
এমনি করেই ভাবছো কি আমায়?
নির্ঘুম রাতের নির্জন প্রহরে স্বপ্নেরা ভেসে বেড়ায়,
আকাশ কাঁদে। আমার বন্দীদশায়!
নতুন সূর্যোদয়ের আশায় বুক বেঁধে
বেঁচে আছি, তোমার চোখের মায়ায় .....
বড্ড মনে পড়ে তোমায় ...!
বড্ড মনে পড়ে তোমায়....।।
সংগৃহীত ছবি
চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে কেনা ৩০ লাখ করোনাভাইরাসের টিকা ঢাকায় এসেছে। বাংলাদেশ বিমানের তিনটি পৃথক ফ্লাইটে এই টিকা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ও আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকায় আসে। বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিনটি পৃথক ফ্লাইটে মোট ৩০ লাখ সিনোফার্মের টিকা ঢাকায় এসেছে। টিকা নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকায় আসে গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে। দ্বিতীয় ফ্লাইটটি আসে গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে। আর তৃতীয় ফ্লাইটটি আসে আজ ভোররাতে।
তাহেরা খন্দকার জানান, বিমানের ফ্লাইটগুলো ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সুবিধা প্রদান করা হয়।
গতকাল বাংলাদেশ বিমানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই বিমানের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এগুলোর মধ্যে ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারীকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।
এ নিয়ে তিনটি চালানে বাংলাদেশকে মোট ৭০ লাখ টিকা পাঠাল চীনের সিনোফার্ম। প্রথম দুই চালানের প্রতিটিতে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা বেইজিং থেকে ঢাকায় আসে। চলতি জুলাইয়ের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে এসব টিকা নিয়ে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীন। কেনার বাইরে বাংলাদেশকে দুই দফায় উপহার হিসেবে চীন সিনোফার্মের ১১ লাখ টিকা দিয়েছে।
চীন গত মে মাসে সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ উপহারের টিকা প্রথম বাংলাদেশে পাঠায়। চীনের দ্বিতীয় দফা উপহারের ছয় লাখ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসে জুনে।