a
মুক্তা দাশ
একটা কথা ছিলো
একটা কথা ছিলো
চার অক্ষরের একটা কথা!
এতোগুলো দিন পেরোলাম
কত সকাল বাসি হলো,
দুপুরের খা খা খা রোদ্দুরে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হলাম!
বিকেল..!
একটু গা এলিয়ে যেই না বাতাসে গা ভিজাচ্ছি,
এলোচুলে হারিয়ে যাচ্ছি অন্য কোন মনে
অমনি ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে এলো উঠোনে।
বারান্দার গ্রিল এর এপাশে আমি!
এতো সব দেখি, শুনি, গায়েও মাখি...
টুকটাক মনমতো সিন্দুকে পুরেও রাখি
সবটাই লোহার গ্রিল এর এপাশে !!
একটা কথা ছিলো
চার অক্ষরের একটা কথা ...!
হাসতে ভুলে গেছি অনেক দিন,
ইটের দেয়াল কাঁপানো বকা খাওয়া হাসি..
এখন আর চাইলেও হাসতে পারি না।
লজ্জাবতী শরীর ছুঁয়েছিলে কোন এক অমৃতযোগে !
শেষ হাসিটা উধাও হলো
আত্মহত্যার অমৃতসুরা পানে ।
লজ্জাবতী’র গোলাপী আভা আজ রক্তাক্ত !
ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের এফোড় ওফোড়।
একটা কথা ছিলো
চার অক্ষরের একটা কথা ...!!
ভা...লো..বা...সি
ভা...লো....বা...সা ।।
ছবি সংগৃহীত: মেজর জলিল
নিউজ ডেস্ক: এম এ জলিল নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। জন্ম থেকেই পিতৃহীন, নানার বাড়িতে বেড়ে ওঠেন। লড়াই করে নিজের জায়গা করে নিতে হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া বাহিনীতে কমিশন পান। সবে মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ছুটিতে বরিশালে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে স্থানীয় তরুণদের নিয়ে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। প্রতিরোধ ভেঙে পড়লে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যান।
অস্থায়ী সরকার তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধিনায়ক নিযুক্ত করে। সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে একমাত্র তিনিই নিয়মিত দেশের ভেতরে ঢুকে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতেন।
পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগকারী তিনিই একমাত্র সেনা কর্মকর্তা, যাঁকে হারিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (পরবর্তী সময়ে সেনাপ্রধান) লে. জেনারেল গুল হাসান খান আফসোস করে বলেছিলেন,
"ভালো অফিসার। ১ নম্বর সাঁজোয়া ডিভিশনে আমার সঙ্গে কাজ করেছে। বিদ্রোহীদের নেতৃত্বদানের জন্য সে দলত্যাগ করেছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল ।"
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেজর জলিল বরিশাল অঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
যুদ্ধের সময় নানা ঘটনায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর মনে ক্ষোভ তৈরি হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর ৩১ ডিসেম্বর জলিল ভারতীয় বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন । ভারতীয় বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ আনে।
জলিলের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ছিলেন ষড়যন্ত্রের শিকার। ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চকিত ছিলেন বলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এক মাস তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁর খবর না পেয়ে তাঁর মা ঢাকায় আসেন এবং সব জায়গায় তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন । প্রধানমন্ত্রী এই বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে জলিল নির্দোষ এবং শিগগিরই তিনি ছাড়া পাবেন।
ডিসেম্বরে খুলনা শত্রুমুক্ত হওয়ার পরের ঘটনাবলি জলিলকে খুবই ক্ষুব্ধ এবং উত্তেজিত করেছিল। তাঁর মনে হয়েছিল, ভারতীয় বাহিনী স্বাধীন বাংলাদেশে দখলদার বাহিনীর মতোই আচরণ করছে। ওই সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে জলিল বলেছেন :
১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের সূত্র ধরেই বলা যায়...ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাপক লুণ্ঠন প্রক্রিয়া...বিজিত ভূখণ্ডে বিজয়ী সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্পদ লুটতরাজ করাকে আনন্দ-উল্লাসেরই স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।...
আমি সেই 'মোটিভেটেড' লুণ্ঠনের তীব্র বিরোধিতা করেছি—সক্রিয় প্রতিরোধও গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। লিখিতভাবেও এই লুণ্ঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন, কর্নেল ওসমানী এবং ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল অরোরার কাছে জরুরি চিঠিও পাঠিয়েছি।
তাজউদ্দীন সাহেবের পাবলিক রিলেশনস অফিসার জনাব আলী তারেকই আমার সেই চিঠি বহন করে কলকাতায় নিয়েছিলেন ।...
আমার সাধের স্বাধীন বাংলায় আমিই হলাম প্রথম রাজবন্দী । ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা সাড়ে ১০টায় আক্রমণকারী বাহিনীর হাতে আমি বন্দী হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আসল রূপের প্রথম দৃশ্য দেখলাম।...
যশোর সেনাছাউনির অফিসার কোয়ার্টারের একটা নির্জন বাড়িতে আমাকে বেলা ১১টায় বন্দী করা হয়। জলিলকে সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এই আদালতের চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল লে. কর্নেল আবু তাহের।
ট্রাইব্যুনালে জলিলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সরকার খুলনা জেলে আটক সেখানকার সাবেক ডেপুটি কমিশনারকে নিয়ে এসেছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সহযোগী ছিলেন। সাক্ষীর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার কথা জেনে লে. কর্নেল তাহের তাঁকে আদালতকক্ষ থেকে বের করে দেন।
তাহের বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারের বিরুদ্ধে কোনো স্বাধীনতাবিরোধীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ট্রাইব্যুনাল জলিলকে বেকসুর খালাস দেন।
জলিল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি আর সেনাবাহিনীতে চাকরি করবেন না । ২৮ জুলাই (১৯৭২) তিনি সেনাপ্রধানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পদত্যাগপত্রে জলিল উল্লেখ করেন, সামরিক বাহিনীতে চাকরির শর্ত পূরণ করা মানসিকভাবে তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা'র অন্যতম অভিযুক্ত এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবেক লিডিং সি-ম্যান সুলতানউদ্দিন আহমদের নাখালপাড়ার বাসায় জলিলের যাতায়াত ছিল। সুলতানউদ্দিন জলিলের নেতৃত্বে নবম সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন।
একদিন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে শেখ জামাল জলিলের খোঁজে ওই বাসায় আসেন এবং জলিলকে গণভবনে নিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডারদের সন্তানের মতো দেখতেন। তিনি জলিলকে সেনাবাহিনীতে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেন, 'তুমি চলে গেলে আমার ট্যাংক চালাবে কে?'
জলিলের জবাব ছিল, 'আপনার তো ট্যাংকই নেই। জলিল স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া প্রথম বিরোধী রাজনৈতিক দল জাসদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন।
৩১ অক্টোবর (১৯৭২) তিনি জাসদের যুগ্ম আহ্বায়ক নিযুক্ত হন এবং 'সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক ও পুতুল সরকারকে উৎখাত করার’ কাজে শামিল হওয়ার ঘোষণা দেন। ২৩ ডিসেম্বর (১৯৭২) অনুষ্ঠিত জাসদের সম্মেলনে তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন । সরকারবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে জলিল ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ ঢাকায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের আগে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল কীভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায়।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত/সূত্র: বিএনপি সময়-অসময় (২০১৬, পৃ. ১৬-২০)। লেখক: মহিউদ্দিন আহমদ
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা প্রতিনিধি: কর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে ‘কর আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৪’–এর লিখিত পরীক্ষা আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়। বিসিএস (কর) অ্যাকাডেমি থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিতভাবে এসব বিষয়ে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— ‘আয়কর আইন ২০২৩’ এর ধারা ৩২৭ এবং‘ আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪’ এর বিধি ৩৭ অনুযায়ী প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত কর আইনজীবী নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরীক্ষার সময় ও কেন্দ্রের বিস্তারিত উল্লেখসহ প্রবেশপত্র ডাউনলোডের লিংক আবেদনকারীদের মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়।
পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র ও আসন বিন্যাস নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ: রোল ১২০০০০০১ থেকে ১২০০৬০০০ পর্যন্ত।
২. ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (স্কুল ক্যাম্পাস- ভেন্যু ২): রোল ১২০০৬০০১ থেকে ১২০০৭৪৭০ পর্যন্ত।
৩. ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কলেজ ক্যাম্পাস - ভেন্যু ১): রোল ১২০০৭৪৭১ থেকে ১২০১০০০০ পর্যন্ত।
৪. সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ: রোল ১২০১০০০১ থেকে ১২০১৩৪০০ পর্যন্ত।
৫. হাবিবুল্লাহ্ বাহার কলেজ: রোল ১২০১৩৪০১ থেকে ১২০১৬৪০০ পর্যন্ত।
৬. মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: রোল ১২০১৬৪০১ থেকে ১২০২২৪০০ পর্যন্ত।
৭. মতিঝিল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়: রোল ১২০২২৪০১ থেকে ১২০২৪০৯১ পর্যন্ত।
৮. আবুজর গিফারী কলেজ: রোল ১২০২৪০৯২ থেকে ১২০২৬৫৯১ পর্যন্ত।
৯. সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়: রোল ১২০২৬৫৯২ থেকে ১২০২৮১৯১ পর্যন্ত।
তবে কেউ যদি প্রবেশপত্র ডাউনলোডে কোনও সমস্যা বা টেকনিক্যাল জটিলতার সম্মুখীন হলে, সেক্ষেত্রে তারা https://www.facebook.com/alljobsbdTeletalk পেজে ইনবক্সে মেসেজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ই-মেইলে alljobs.query@teletalk.com.bd বা মোবাইল নম্বর ০১৮১৬-০৫৪৮৭৩-এ বিসিএস (কর) অ্যাকাডেমির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুম বিল্লাহ’র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত কর আইনজীবী নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তানুযায়ী জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়াতে উল্লেখযোগ্য কর আইনজীবি নিয়োগের বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রের মারফতে জানা যায়।