a
ফাইল ছবি: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতেয়াহ
ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাওয়ার ঘোষণা দিলো ফিলিস্তিন। সাম্প্রতিক নৃশংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দায়ের করে মামলা করবে ফিলিস্তিন ।
শুক্রবার (২১ মে) ইসরায়েলের গণমাধ্যম হারেৎজের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতেয়াহ এ ঘোষণা দিয়েছেন।
খবরে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েল সরকারের হুকুমে সেনাবাহিনী গাজায় বিমান হামলার মাধ্যমে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তার বিচার চেয়ে আইসিসিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ফিলিস্তিন। সম্প্রতি গাজায় চালানো নৃসংশতা হার মানিয়েছে সকল অপরাধকে। ইসরায়েলের আচরণ যুদ্ধাপরাধের শামিল।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরীহ নারী ও শিশুদের ওপর তাদের গণহত্যার জন্য তাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২০টি ফিলিস্তিনি পরিবার প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বস হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পুরো উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলার চিহ্ন দৃশ্যমান।
গাজায় সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪ শিশু এবং ৩৮ নারী আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১৩ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন।
সংগৃহীত ছবি
ওমান উপকূলে তেলের জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরানকে দুষছে ইসরায়েল। ওই হামলায় দুই ক্রু নিহত হয়েছেন। তাদের একজন ব্রিটিশ নাগরিক। অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি পরিচালনা করে লন্ডন-ভিত্তিক জোডিয়াক মেরিটাইম। আরব সাগরে ওমান উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
ইসরায়েলি শিপিং ম্যাগনেট আইল ওফার মালিকানাধীন কোম্পানিটি বলছে, তারা ঘটনার বিস্তারিত জানতে কাজ করছে। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড শুক্রবার এটিকে সরাসরি ‘ইরানের সন্ত্রাসবাদ’ বলে উল্লেখ করেন।
এক বিবৃতিতে লাপিড বলেন, ‘ইরান শুধু ইসরায়েলের সমস্যা নয়’ এবং ‘এ ঘটনায় বিশ্ব চুপচাপ থাকতে পারে না’।
তবে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাপানি মালিকানাধীন ট্যাংকারটিতে হামলার ঘটনা এখনও অস্পষ্ট এবং এ বিষয়ে ইরান এখনও কোন মন্তব্য করেনি।
এ হামলা ওই অঞ্চলে উত্তেজনা গুরুতরভাবে বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ফাইল ফটো:অভিযোগ করা যুবক ও আড়ংয়ের লোগো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়ংকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই হ্যাশট্যাগ আড়ং দিয়ে ওই ব্রান্ডের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছেন। সম্প্রতি ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তি ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, দাড়ি থাকায় তিনি চাকরি পাননি আড়ংয়ে। তার সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আড়ংয়ের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন অনেকে।
সিলেটে আড়ংয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় একদল বাসিন্দা। পরে আড়ং এক বিবৃতি দিয়ে ওই যুবকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আট মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায় এক যুবক, নিজেকে ইমরান হোসেন ইমন নামে পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি আড়ংয়ে বিক্রয়কর্মীর একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মুখে মাস্ক পরেই তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তার সাথে সন্তুষ্ট বলে তার মনে হয়েছিল।
কিন্তু এক পর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের চাহিদা মোতাবেক তিনি মাস্ক খোলেন এবং তার মুখভর্তি দাড়ি দেখে সাক্ষাৎকারগ্রহীতারা তাকে বলেন, তাদের নীতিমালা অনুযায়ী তারা দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের বিক্রয়কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন না। তারা বললো আপনি যদি ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করতে পারবো।
কিন্তু বহু মানুষ আজ দিনভর এটিকে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এবং তারা 'বয়কট আড়ং' হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করছেন। ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর সিলেটে আড়ংয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিলেটের সচেতন আলেম সমাজের ব্যানারে একদল স্থানীয় অধিবাসী।
তাদের একজন মুখপাত্র শাহ মোমশাদ আহমেদ বলছেন, তারা বিক্ষোভ থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন, যার মধ্যে আছে দাড়ি রাখা নিয়ে আড়ংয়ের যদি কোন নীতিমালা থাকে সেটা পরিবর্তন করতে হবে, চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং এই ঘটনার জন্য সুস্পষ্টভাবে ক্ষমা চাইতে হবে, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আড়ং এর পণ্য বর্জন করার আহবান জানাবেন।
এদিকে আড়ংয়ের পক্ষ থেকে যুবকের সাথে ঘটে যাওয়া ওই অভিজ্ঞতাকে 'দুঃখজনক' উল্লেখ করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বাংলা ও ইংরেজি - দুই ভাষায় দেয়া বিবৃতি দুটি দেয়া হয়েছে ব্র্যাক-আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের নামে। বাংলা বিবৃতিতে লেখা হয়, "এটি নিঃসন্দেহে আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী। আড়ং বয়স, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, অক্ষমতা বা জাতিগত উৎস নির্বিশেষে সকলের জন্য মানবিক মর্যাদাএবং অন্তর্ভুক্তির অধিকারগুলো সমুন্নত রাখে। আমাদের নিয়োগের সিদ্ধান্তে ধর্মী বিশ্বাস ও পালনকে কখনই বিবেচনা করা হয় না।
বিবৃতিটি আরও বলছে, "আমাদের ভবিষ্যতের ইন্টারভিউ বোর্ডগুলোর পরিচালনায় আমাদের মূল মূল্যবোধগুলোর প্রতিফলন নিশ্চিত করতে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করবো।
তবে ইংরেজি ও বাংলা ভাষার বিবৃতি দুটির মধ্যে কিছু তথ্যের ফারাক দেখা গেছে।
ইংরেজি বিবৃতি বলা হয়, তারা ওই চাকুরিপ্রার্থী যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু বাংলা বিবৃতিটিতেএর কোনো উল্লেখ ছিল না।
এদিকে সিলেটের বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আড়ংয়ের বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়নি তাই তারা আড়ংয়ের পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা/বাংলাদেশ প্রতিদিন