a
ফাইল ছবি
ইরানের জাতীয় সংসদে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি শপথ গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে তিনি এই শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান, সংসদের স্পিকার, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিদেশি অতিথিরা সংসদ ভবনে আসন গ্রহণ করেন।
ইরানের সংবিধানের ১২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রায়িসি দেশের জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণ করেন। এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিচার বিভাগের প্রধান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও রীতি অনুযায়ী রায়িসির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় এবং এরপর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হয়। কুরআন তেলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ এবং তার বক্তব্যের পর বিচার বিভাগের প্রধান গোলামহোসেইন মোহসেনি এজেয়ি বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের শেষে শপথ গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
এর আগে ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের ৭৩টি দেশের অন্তত ১১৫ জন রাষ্ট্রীয় অতিথি প্রেসিডেন্ট রায়িসির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও অংশ গ্রহণ করেন। সূত্র: পার্সটুডে
জো বাইডেন ও নরেন্দ্র মোদি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে মহাবিপর্যয়ে আছে ভারত। অক্সিজেনসহ প্রায় সকল চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে ইতমধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটি।
মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
আমেরিকার মতোই করোনার ধাক্কায় ভারতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়েছে। এসব পরিস্থতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমেরিকা এবং ভারত যৌথভাবে কাজ করতে একমত হয়েছেন।
সোমবার রাতে ফোনে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্র প্রধানের সাথে। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়।
দু’দেশের শীর্ষনেতার মধ্যে আলোচনায় ভারতের কোভিড রোগীরা যে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছেন, তা নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বলে জানায় হোয়াইট হাউস।
করোনা টিকার কাঁচামাল সরবরাহ করার ব্যাপারে পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে ভারতকে রবিবারই টিকার কাঁচামাল সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তার একদিন পর সোমবার বাইডেন জানিয়েছেন, ভারতের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আপৎকালীন সব ধরণের সহযোগিতা করবে তার প্রশাসন।
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফাইজার ও বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগী কোভ্যাক্স গ্রুপ থেকে ফাইজারের টিকা দেশে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে বিনামূল্যে দেশের ১১ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সেসব গ্রুপ থেকে কিনে আরও টিকা আনতে পারবে।
প্রথম চালান হিসেবে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসবে এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক উপকরণ সামগ্রী আগামী সপ্তাহে দেশে পৌঁছাবে।