a
হিজবুল্লাহ্ নেতা নাসরুল্লাহ । ফাইল ছবি
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের লাইফটাইম শেষ হয়ে এসেছে এবং কিছু সুনির্দিষ্ট আরব দেশের সাথে সম্পর্ক করে নিজেদের ধ্বংস ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা।
গতকাল বুধবার আল-মানার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ হুঁশিয়ারি প্রদান করেন। হিজবুল্লাহ্ নেতা নাসরুল্লাহ বলেন, “ইসরায়েলের আয়ু খুব শিগগিরই ফুরিয়ে যাবে। এটির লাইফটাইমের আর খুব অল্প সময় বাকি আছে।”
ইসরায়েল গভীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও নৈতিক সংকটে জর্জরিত- উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এমনকি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিগুলোও ইসরায়েলি দখল দারিত্বকে রক্ষা করতে পারবে না।”
প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবারের মতো আগামীকাল শুক্রবার পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব কুদস দিবস। ইসরায়েলের দখলদারিত্ব থেকে মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা আল-কুদসসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনেী এ দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন।
কুদস দিবসকে সামনে রেখে দেওয়া ভাষণে হিজবুল্লাহ নেতা আরও বলেন, তার প্রতিরোধ আন্দোলন ফিলিস্তিন মুক্ত করার সংকল্পে অটল রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ইসরায়েলের কবল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত করার কাজে এগিয়ে আসার জন্য সারা মুসলিম উম্মাহর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
ছবি সংগৃহীত: হিজবুল্লাহর হামলায় হতাহত ইসরাইলি সেনা
হিজবুল্লাহর একটি আক্রমণে চারজন ইসরাইলি সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলাটি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডাইসা এলাকায় সংঘটিত হয়েছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ এবং অধিকৃত উত্তর ফিলিস্তিনের সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইলের একটি সৈন্যদল হিজবুল্লাহর আক্রমণের শিকার হয়েছে। হামলায় বহু সংখ্যক ইসরাইলি সৈন্য আহত হয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদেরকে চারটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে হিজবুল্লাহর বরাত মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, লেবাননের সীমান্ত শহর মারুন আল-রাসে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে তারাও কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করেছে।
বুধবার লেবাননের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের এটি দ্বিতীয় সরাসরি সংঘর্ষ বলে জানায় হিজবুল্লাহ। তাদের মতে, দুটি সংঘর্ষেই ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে নিহত ও আহত হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি । সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ চতুর্থবারের মতো শপথ গ্রহণ করেছেন। শনিবার দেশটির সংসদে নতুন মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
সিরিয়ান গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এবার শপথ নেওয়ার মাধ্যমে আগামী সাত বছর ক্ষমতায় থাকছেন দেশটির এ স্বৈরশাসক।
শপথ শেষে বাশার আল-আসাদ বলেন, অনেকেই সিরিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ ঐক্যবন্ধ থেকে শত্রুদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটার উপস্থিত হয়েছিল দাবি করে বিষয়টির প্রশংসা করেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশটির রাজনীতিবিদ, আলেম, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক, শিল্পী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাশার আসাদ ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে বাশারবিরোধীরা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে মূলত সরকারনিয়ন্ত্রিত এলাকায়। বিদেশে সিরীয় কয়েকটি দূতাবাসেও ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে।
সিরিয়ার নির্বাসিত বিরোধী নেতারা এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে সিরিয়ার নির্বাচনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনের আগে দেওয়া বিবৃতিতে তারা বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ছাড়া এটি অবাধও নয়, সুষ্ঠুও নয়।
৫৫ বছর বয়সি বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ প্রায় ২৫ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন। তার পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাশার আল আসাদ।
সিরিয়াজুড়ে গৃহযুদ্ধের মধ্যে ২০১৪ সালে দেশটিতে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিরোধীরা ওই নির্বাচনও বর্জন করেছিল।