a
ফাইল ছবি
শুক্রবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। প্রথমে কারিগরি ত্রুটির কথা জানালেও সোমবার রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ইউরোপের শেয়ার বাজারে। তাছাড়া গত ২০ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে ইউরোর সবচেয়ে বড় দরপতন হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, গ্যাসের দাম প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া তেলের দামও বেড়েই চলেছে।
সোমবার রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদনকারী সংগঠন ওপেক ঘোষণা দেয় তারা অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে দেবে। দাম বাড়ানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
জার্মানি ও ফ্রান্স দুই দেশেই শেয়ারের দরপতন হয়েছিল, পরবর্তীতে কিছুটা বেড়ে যায়।
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউরোপিয়ান মুদ্রা ইউরোর রেকর্ড দরপতন হয়। সোমবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম ০.৯৯ এ নেমে আসে। ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসের পর যা সর্বনিম্ন। পাশাপাশি পাউন্ডেও দরপতন দেখা গেছে। সূত্র: আল জাজিরা, এপি, বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ করছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। বুধবার রাজধানীতে গিয়ে পৌঁছায় সেই লংমার্চ।
এদিকে, লংমার্চে বাধা না দিতে এবং সেখান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করতে বুধবার নির্দেশ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে ইসলামাবাদের এইচ-৯ এবং জি-৯ এলাকার মধ্যে পেশোয়ার মোড়ের কাছে ‘আজাদি মার্চ’ও বিক্ষোভ সমাবেশের অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন।
এদিকে, সব বাধা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদের ‘রেড জোনে’ ঢুকে পড়েছে ইমরান খানের লংমার্চ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ইসলামাবাদে ‘আজাদি মার্চ’ থেকে নতুন নির্বাচনের জন্য দেশটির সরকারকে ৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ইমরান খান। অন্যথায়, পরবর্তীতে গোটা জাতিকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজধানীতে আসার হুঁশিয়ারি দেন।
ইমরান খান বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- সরকার সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন ঘোষণা না করা পর্যন্ত এখানে বসে থাকব, কিন্তু আমি গত ২৪ ঘণ্টায় যা দেখেছি, তারা (সরকার) জাতিকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতি ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টাও করছে।”
ইমরান খান বলেন, “সরকার খুশি হবে যদি আমি ইসলামাবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করি। কারণ এতে জনগণ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হবে।”
এ সময় তিনি পিটিআই-এর মিছিল ঠেকাতে অভিযান এবং গ্রেফতারসহ ‘আমদানি করা সরকার’ দ্বারা ব্যবহৃত ‘কৌশলের’ নিন্দা জানান। একই সঙ্গে লংমার্চের বিষয়টি আমলে নিয়ে নির্দেশনা দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টকেও ধন্যবাদ দেন তিনি।
ইমরান খানের এই আল্টিমেটামের পরই ‘রেড জোনে’ ঢুকে পড়ে তার দলের কর্মী–সমর্থকরা। পাকিস্তানের প্রভাবশালী ডন পত্রিকার অনলাইনের খবরে বলা হয়, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই রেড জোনে ঢুকে পড়েছে পিটিআই সমর্থকরা।
ডনের খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের ‘রেড জোনের’ নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমতিও দিয়েছে সরকার। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ একটি প্রজ্ঞাপন টুইট করে বলেছেন, সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদের অধীনে রেড জোনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পরও ‘রেড জোনে’ ঢুকে পড়েছে ইমরান খানে কর্মী-সমর্থক ও নেতারা।
ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্রের জারি করা এক বিবৃতি বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের পুলিশ, রেঞ্জার্স এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। তিনি বলেন, ইসলামাবাদের পুলিশের মহাপরিদর্শক ডক্টর আকবর নাসির খানও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং বিক্ষোভকারীদের রেড জোন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সূত্র: ডন/বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আমেরিকার ওকল্যান্ড বন্দরের শ্রমিকরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের একটি কার্গো জাহাজের মালামাল খালাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ইহুদিবাদীদেরকে বয়কটের যে ডাক দেয়া হয়েছে, তার সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে ওকল্যান্ড বন্দর শ্রমিকরা ওই পদক্ষেপ নেন। খবর এবিসি নিউজের।
ফিলিস্তিনপন্থী আমেরিকার বিক্ষোভকারীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে ওকল্যান্ড বন্দরে ইসরাইলি জাহাজ নোঙ্গর ও খালাস করা নিষিদ্ধ করেন। পরবর্তীতে জাহাজটি ওকল্যান্ড বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এ সময় বন্দর শ্রমিকরা এবং অন্য বিক্ষোভকারীরা মিলে সেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বিক্ষোভ আয়োজনকারীদের মুখপাত্র ওয়াসিম হেজ সাংবাদিকদের বলেন, আজ আমরা ওকল্যান্ড শহরের পক্ষ থেকে একথা প্রমাণ করে দিলাম যে, আমরা বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই না।