a তালেবানের সক্ষমতা শিগগিরি জানতে পারবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি
ঢাকা বুধবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

তালেবানের সক্ষমতা শিগগিরি জানতে পারবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৬ আগষ্ট, ২০২১, ১০:০২
তালেবানের সক্ষমতা শিগগিরি জানতে পারবে বলে ভারতকে হুঁশিয়ারি

ফাইল ছবি

আফগানিস্তানে তালেবানের নেতৃত্বে নতুন সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জবাবে মুখ খুললো তালেবান। তালেবান নেতা শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার বলেছেন, আফগানিস্তানের সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তালেবানের সক্ষমতা সম্পর্কে ভারত শিগগিরই জানতে পারবে।

আজ বৃহস্পতিবার রেডিও পাকিস্তানকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শাহাবুদ্দিন দিলওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভারত যেন আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, শ্রদ্ধাবোধের ওপর ভিত্তি করে তালেবান সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়।’

এসময় তিনি আফগানিস্তানের ৩০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় জন্য পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানান। 

উল্লেখ্য, ১ সপ্তাহ আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, সন্ত্রাসের ওপর ভিত্তি করে একটি সাম্রাজ্য হয়তো কিছু সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। তবে তার অস্তিত্ব কখনো স্থায়ী হতে পারে না। গত ২০ আগস্ট নরেন্দ্র মোদি এক টুইটার পোস্টে এসব কথা বলেছিলেন। সূত্র: পার্সটুডে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিজেপি ‘মন্ত্রী’কে চড় মারতে কার্পণ্য করেননি সোনিয়া নামে নারী আইপিএস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ১১:২৮
বিজেপি ‘মন্ত্রী’কে চড় মারতে কার্পণ্য করেননি সোনিয়া নামে নারী আইপিএস

ফাইল ছবি

তখন ২০০৬ সাল। এক নারী আইপিএস কর্মকর্তা হঠাৎ করেই ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। বিজেপির এক বিধায়ককে প্রকাশ্যে চড় মারতে কার্পণ্য করেননি।

বিজেপির সেই চড় খাওয়া বিধায়ক বর্তমানে কর্নাটকের মন্ত্রী। নাম রেণুকাচার্য। ঘটনার দিন তিনি কংগ্রেস বিরোধী একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশ বারবার অনুরোধ করলেও রাস্তা ছাড়তে রাজি হননি তিনি।

বিধায়ক কথা না শুনার কারনে তাকে চড় মারেন নারী এই পুলিশ কর্মকর্তা। গ্রেফতারও করেন তাকে। অভিযোগ রয়েছে, ওই নারীকে গালিগালাজ করেছিলেন বিধায়ক।

ওই একটি ঘটনাই গোটা ভারতে পরিচিতি এনে দেয় নারী আইপিএসকে। তার নাম সোনিয়া নারং। যদিও পুলিশ মহল তাকে চেনে ‘আয়রন লেডি’ নামে।

হাসিমুখের আড়ালে সোনিয়ার দৃঢ়চিত্ততা বিস্ময়ের কারণ। পুলিশ মহলে তাকে নিয়ে চালু রয়েছে নানা কাহিনিও।

চণ্ডীগড়ের মেয়ে তিনি। সোনিয়ার আদর্শ তার বাবা এ এন নারং। পুলিশের ডেপুটি সুপার হিসেবে অবসর নেন তিনি। সোনিয়া জানিয়েছেন, বাবাকে দেখেই আইপিএস হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল তার। তাকেই তিনি নিজের আদর্শ মনে করেন।

সমাজের চোখে পুলিশ কর্মকর্তার সম্মান এবং তার সমাজ বদলানোর ক্ষমতা আকৃষ্ট করেছিল সোনিয়াকে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই ইউপিএসসির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তিনি।

পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী সোনায়িা। উচ্চ মাধ্যমিকে শীর্ষ স্থান পেয়েছিলেন। পরে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে পড়ে স্বর্ণ পদক পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৬ সালের ঘটনাটি যখন ঘটে সোনিয়া তখন কর্নাটকের দেবাঙ্গেরের পুলিশ সুপার। দু’বছর হলো যোগ দিয়েছেন পুলিশ সার্ভিসে। বয়স সবে ২৭ বছর।

তবে কম বয়স বা অভিজ্ঞতা সঠিক পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত করেনি সোনিয়াকে। বিধায়ককে চড় মারার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ তার বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছিল। স্বয়ং বিধায়ক রেণুকাচার্য তার বদলির জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি।

সোনিয়া বলেছিলেন, সততা এবং পরিশ্রম এই দু’টি বিষয় প্রশাসনিক ক্ষেত্রে থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। এই দু’টি ক্ষেত্রে ঠিক থাকলে কেউ আটকাতে পারবে না।

২০০৪ সালে পুলিশ বিভাগে কর্মজীবন শুরু সোনিয়ার। ২৫ বছরের শিক্ষানবিশ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রথমেই পাঠানো হয়েছিল কর্নাটকের গুলবর্গা জেলায়। গুলবার্গ অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য কুখ্যাত। সেখানে তাকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। গুলবার্গে সোনিয়ার সুষ্ঠু ভোট পরিচালনা পুলিশ মহলের প্রশংসা পায়।

বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে সোনিয়াকে। প্রতি বারই সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন, সসম্মানে উতরেও গেছেন। 

২০০৬ সালের ঘটনার পর তাকে সাম্প্রদায়িক সমস্যাসঙ্কুল বেলগামে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় । বেলগামের মতো এলাকায় তিনিই ছিলেন প্রথম নারী পুলিশ সুপার। 

দিন রাত এলাকায় ঘুরে ঘুরে সমাজবিরোধীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সোনিয়া। সোনিয়ার এই পদক্ষেপে ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়েছিল বহু অপরাধী।

২০১৩ সালে সরাসরি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেন সোনিয়া। কর্নাটকে তখন কংগ্রেসের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ১৬ হাজার কোটি টাকার খনি কেলেঙ্কারিতে সোনিয়ার নাম করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের জবাব সর্বসমক্ষেই দেন সোনিয়া। ২০১৩ সালে তখন তিনি বেঙ্গালুরুর দক্ষিণ শাখার ডেপুটি কমিশনার। বেঙ্গালুরুর ইতিহাসে তিনিই দ্বিতীয় নারী পুলিশ কমকর্তা, যাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি সাধারণত অভিযোগকারী রাজনৈতিক পদাধিকারীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেই মিটিয়ে নেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সোনিয়া কিন্তু সেই পথ ধরেননি।

তিনি প্রকাশ্যে একটি বিবৃতি জারি করে লেখেন, খবরের কাগজ মারফৎ জানতে পেরেছি মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। যে খনি কেলেঙ্কারির দায় তিনি আমার ওপর চাপিয়েছেন তা সত্য নয়। যে সমস্ত এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কোনও দিন আমি দায়িত্বে ছিলামই না। তাহলে আমার নাম আসছে কোথা থেকে। এমনকি আমি খনি দফতরের দায়িত্বেও ছিলাম না কখনও। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের বিরুদ্ধে আমি আইনি পথেই লড়তে চাই। কারণ আমি জানি আমি সৎ।

সোনিয়ার এই উত্তরে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সিদ্দারামাইয়া। আইপিএস হিসেবে সোনিয়ার কর্মজীবনের আরেকটি পালক লোকায়ুক্ত অফিসের দুর্নীতি ফাঁস করে দেওয়া। 

দুর্নীতি দমনের জন্য তৈরি লোকায়ুক্তের অন্দরেই চলছিল দুর্নীতি। সোনিয়ার বদৌলতে তা প্রকাশ্যে আসে। দায়িত্বে থাকা সাবেক বিচারপতি ওয়াই ভাস্কর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। গ্রেফতার হন তার ছেলে ওয়াই অশ্বিনও। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা/বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৫৩
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা

ফাইল ছবি

অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে (৫০)। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে নয়টার দিকে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প-১-এর উয়েস্ট’ ডি-৮ ব্লকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কুতুপালং ক্যাম্পে কর্মরত-৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কমান্ডার (পুলিশ সুপার ) শিহাব কায়সার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারের আরকান মংডু এলাকার মৌলভী ফজল আহম্মদের ছেলে। তিনি ‘আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইট’(এআরএসপিএইচ) -এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন-এর এসপি শিহাব কায়সার খান বলেন, ‘এশার নামাজের পরে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল অস্ত্রধারী অকস্মাৎ এসে মুহিবুল্লাহকে লক্ষ করে পরপর ৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এপিবিএনের সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কুতুপালং এমএসএফের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুহিবুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন। ৫ রাউন্ড গুলিতে তিনটি তার বুকে বিঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরে নিহতের লাশ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক