a পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্র
ঢাকা বুধবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্র


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২৪, ০৫:৫২
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্র

সংগৃহীত ছবি

 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কলকাতার সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করায় পুরো পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। খবর আনন্দবাজার

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মহাত্মা গান্ধী সড়ক, কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুল, সাঁতরা গাছি এবং হাওড়া সেতু এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্যের মাথা ফেটে গেছে।

বিক্ষোভের কারণে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, অনেকেই মেট্রো ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চলছে। পরে এই আন্দোলন মমতার পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়। ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ’ প্ল্যাকার্ডে এসব স্লোগান লিখে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেখানে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। অন্যদিকে, পুলিশকে প্রতিরোধ করতে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন এবং বিক্ষোভ চলার সময় সেখানে অবস্থান করছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, যদি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর নির্যাতন চালায় তাহলে তিনি কঠোর প্রতিরোধ করবেন। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও আন্দোলনে তিনি তাদের পাশে থাকবেন এবং যদি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার করে তাহলে রাস্তা অবরোধ করবেন।

তিনি আরও বলেছেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অত্যাচারের খবর আসছে বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, যদি এ পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে বুধবার পুরো পশ্চিমবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হামাসের কাছে হেরে গেছে ইসরায়েল: ইসরায়েলি সাবেক সেনা কর্মকর্তা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ০৯:৫৬
হামাসের কাছে হেরে গেছে ইসরায়েল: ইসরায়েলি সাবেক সেনা কর্মকর্তা

এক ইসরায়েলি সাবেক সেনা কমান্ডার দাবি করেছেন, হামাসের বিপক্ষে এরইমধ্যে ইসরায়েল হেরে গেছে। আইজ্যাক ব্রিক নামের ওই ইসরাইলি মেজর জেনারেল হিব্রু সংবাদমাধ্যম মারিভে একটি কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনি দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য সাধারণ মানুষের সাথে মিথ্যাচার করতে পারেন না।’

ওই জেনারেল লিখেছেন, ‘গাজায় এবং হিজবুল্লাহর বিপক্ষে কী ঘটছে, তা অচিরেই কিংবা কিছুটা পরে আমাদের মুখে চুনকালি মেখে দেবেই। এটা হবে ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা এরই মধ্যে হামাসের সাথে হেরে গেছি। আমরা এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় আমাদের বিশ্ব মিত্রদেরও হারিয়ে দিয়েছি।’

আইজ্যক আরো বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য কোনো রকম প্রস্তুতই ছিলো না। সামনে তাদের জন্য আরো হাাজারো কঠিন পরিস্থিতি আসন্ন। আর তা হবে গাজা যুদ্ধের চেয়েও ভয়ংকর। এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ‘যদি আমরা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারি, তবে এটা জনগণের কাছে ইসরায়েলের বড় পরাজয় হিসেবেই গণ্য হবে।’ তার মতে ৭ অক্টোবরের পর থেকেই পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে যে কারণে রণক্ষেত্র পরিণত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৫৫
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে যে কারণে রণক্ষেত্র পরিণত

ফাইল ছবি

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাঁটানো অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড-প্লাকার্ড অপসারণকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উপজেলা পরিষদ এলাকা। তিন দফা গুলি ও দফায় দফায় লাঠিচার্জে আহত হন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের পদদিধারী নেতাসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন জেলা আনসার কমান্ডারসহ পুলিশের দুইজন সদস্য। এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। 

অপরদিকে, এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত দাবি করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর। এদিকে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। 

সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নগরীর অবৈধ ব্যানার-বিলবোর্ড অপসারণ চলছিল। 

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিসিসি কর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিলবোর্ড অপসারণ করতে গেলে তাদের বাঁধা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। একপর্যায়ে তিনি বিসিসি কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং সরকারি কাজে বাধা দেন। এ নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের বাসিন্দা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের ওপর গুলির খবর পেয়ে মেয়র ঘটনাস্থলে গেলে তাকেসহ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ফের গুলি করেন আনসার সদস্যরা। এতে তিনিসহ (হারুন) বেশ কয়েকজন আহত হন। 

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, মানববর্ম করে মেয়রকে গুলির হাত থেকে রক্ষা করে, তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন তারা। এরপর দফায় দফায় গুলি ও লাঠিচার্জ করে আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২৩ জনকে শের-ই বাংলা মেডিকেলেসহ অন্যান্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা। তাদের মধ্যে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মনির হোসেন পেশকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহক শ্রমিকলীগ কর্মী নাসির আলমসহ পুলিশের দুই সদস্যকে ভর্তি করা হয় জেলা পুলিশ হাসপাতালে। কোতয়ালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলামের বুকেও একটি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি।

হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, গুলিবিদ্ধ ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে মনির নামে একজনের চোখে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চিকিৎসা চলছে। 

এদিকে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এবং জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারসহ অন্যান্যরা। 

এ সময় তাদের সামনে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, রাতে ব্যানার অপসারণে বাধা দেওয়ায় কিছু লোক তার ওপর চড়াও হয়। তাদের হামলার হাত থেকে বাঁচতে গুলি করে আনসার সদস্যরা। তখন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুকে টেনে তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান।

এ ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা বলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। তদন্তে যে বা যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি। 

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্ভুত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। তবে তাদের সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পুলিশ কমিশনার। 

অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে উদ্দেশ্যেমূলক বলে দাবি করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে এ ঘটনায় সাংগঠনিক ও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর। 

সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন চোখের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবিদ্ধ হতে দেখে তিনি ব্যথিত। তিনি এ ঘটনায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক