a
ফাইল ছবি
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরোচিত বোমা-হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে ‘দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স’ (কেয়ার) হোয়াইট হাউজের ঈদের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
১৬ মে রবিবার ঈদ-উৎসবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউজ। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কর্মরত আরো দুটি সংগঠন এসব অনুষ্ঠানের বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
মুসলিম-আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’ কেয়ারের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরর নিহাদ আওয়াজ শনিবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জেনেশুনে বাইডেন প্রশাসনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারি না, যখন গাজায় ইসরাইলি দুর্বৃত্তপনাকে আক্ষরিক অর্থে সহায়তা-সমর্থন দেয়া হচ্ছে, নিরীহ পুরুষ-নারীসহ শিশুদের নির্বিচারে বোমা হামলায় হত্যা করা হচ্ছে, সে সময় বাইডেনের নিরবতাকে আমরা মানতে পারছি না। এটা বিবেকের দংশন হবে-যদি বাইডেনের সাথে ঈদ-উৎসবে আমরা অংশ নেই। আমরা সর্বান্তকরণেই মনে করছি যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এহেন অন্যায়-অবিচার বন্ধ করা অথবা দমন করার ক্ষমতা ও নৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে। আমরা তাকে আহ্বান জানাচ্ছি ভিকটিমদের পক্ষে দাঁড়ানোর, হায়েনাদের পক্ষে নয়।’
‘ইসরাইলিদের বোমা হামলা বন্ধে বাইডেন প্রশাসন যদি কার্যকর অর্থে কোন পদক্ষেপ না নেন, এরফলে আরো অনেক শিশুর প্রাণহানী ঘটবে, এরমধ্য দিয়ে মূলত: মুসলিম-আমেরিকানদের সাথে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিদ্যমান সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। শুধু তাই নয়, যারা সত্যিকার অর্থে নাগরিক ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, তাদের সাথেও বাইডেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে’-মন্তব্য নিহাদ আওয়াজের।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোয়াইট হাউজের ঈদ-উৎসব প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জিল এবং আমি অধীর আগ্রহে রয়েছি রবিবারের ঈদ উৎসবে সকলকে স্বাগত জানাতে। সারাবিশ্বে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই। তবে আনন্দে পরিপূর্ণতা পায়নি মুসলিম সমাজের পবিত্র ভূমিতে হানাহানির কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানেরাও ব্যথিত এবং উদ্বিগ্ন ঐ একই কারণে।’
উল্লেখ্য, ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতায় বাইডেন প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে কংগ্রেসে প্রগতিশীল এবং উদারচিত্তের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সমালোচনা করেছেন।
ফাইল ছবি
ইউক্রেন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করে যাচ্ছে রাশিয়া। আর সেই হামলা প্রতিহত করে চলেছে ইউক্রেন বিমান বাহিনী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকা বরিসপিল ও বিভিন্ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে যাচ্ছে রাশিয়া।
তবে ওই বিবৃতিতে দক্ষিণ অঞ্চলে রুশ প্যারাট্রুপের সদস্যরা প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: বাংলাদেশ পাট ও বস্ত্র কল এবং কারিগরী শিক্ষা রক্ষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করা হয়। রাষ্ট্রয়াত্ত সকল বস্ত্র ও পাট কলগুলো অনতিবিলম্বে চালু করার দাবীতে বাংলাদেশ পাট ও বস্ত্র এবং কারিগরী শিক্ষা রক্ষা আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজকের এই মানববন্ধন।
মানব বন্ধনের সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফখরুল আলম। ইঞ্জিনিয়ার এ বি এম রুহুল আমীন আকন্দ এর পরিচালনায় বিজেএমসি, বিটিএমসি, তাঁত বোর্ড, বস্ত্র দপ্তর সহ টেক্সটাইল সেক্টরের সিনিয়র পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা দাবি রাখেন, অর্থনীতির মেরুদন্ড খ্যাত টেক্সটাইল সেক্টরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে রক্ষা করার জন্য। এবং রাষ্ট্রয়াত্ত সকল বস্ত্র ও পাট কলগুলো অনতিবিলম্বে চালু করার দাবিতে জোড়ালো বক্তব্য রাখেন।
উপরোল্লিখিত দাবীসমূহ দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হওয়ায় টেক্সটাইল সেক্টরের পেশাজীবিদের মধ্যে বৈষম্য ও বেকারত্বের হার বহুলাংশে বেড়ে চলছে। পাশাপাশি উক্ত কারখানাগুলোতে চাকুরিরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এখন সম্পূর্ণরূপে বেকার হয়ে পড়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড খ্যাত টেক্সটাইল সেক্টরকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় সমৃদ্ধ টেক্সটাইল সেক্টর, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপরোল্লিখিত দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে আগামী ১০ দিন সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সরকার যদি দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না নেয় আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব।