a যুদ্ধ-আলোচনা সামনে রেখে তালেবান ও মাসউদ বাহিনী মুখোমুখি
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যুদ্ধ-আলোচনা সামনে রেখে তালেবান ও মাসউদ বাহিনী মুখোমুখি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ আগষ্ট, ২০২১, ১১:২২
যুদ্ধ-আলোচনা সামনে রেখে তালেবান ও মাসউদ বাহিনী মুখোমুখি

ফাইল ছবি

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পরেই দীর্ঘ দিন পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে তালেবানরা। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে পুরো আফগানিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করে তারা। কিন্তু দেশটির পাঞ্জশির উপত্যকা এখনও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি তালেবান। ওই এলাকা দখল করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জশির দখলের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। জানা গেছে, পাঞ্জশির দখল করতে ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন শতাধিক তালেবান যোদ্ধারা।

আফগানিস্তানে একের পর এক প্রদেশ বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলেও সে পথে হাঁটেনি হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত পাঞ্জশির উপত্যকা। ১৫ আগস্টের পরও তালেবানের দখলের বাইরে ছিল এই এলাকার বেশ কয়েকটি প্রদেশ। আহমদ মাসউদের নেতৃত্বে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে সেখানে।

আশরাফ গনির শাসনামলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও রয়েছেন তার সঙ্গে। আফগান বাহিনীর একটি অংশও যোগ দিয়েছে তাদের সঙ্গে। এই বাহিনীর সামনে পড়ে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার পিছু হটেছে তালেবান। সেই পাঞ্জশির দখলে এবার সর্বশক্তি দিয়ে নামতে চাইছেন তারা। সম্প্রতি তালেবানের পক্ষে এক টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে-স্থানীয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি। তাই ইসলামিক আমির শাহির শতাধিক মুজাহিদীন পাঞ্জশির দখলের জন্য যাচ্ছে। এদিকে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিরোধী জোটরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঞ্জশিরে জড়ো হচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

মাসউদও এক সংবাদমাধ্যমকে গত রবিবার বলেছেন, আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সাবেক আফগান সরকারের বহু সেনা পাঞ্জশিরে এসেছেন। ফলে তালেবান বাহিনীকে রুখতে প্রস্তুত পাঞ্জশির। সেই প্রতিরোধ ভাঙতে এগোচ্ছেন তালেবান যোদ্ধারাও। এক সপ্তাহ আগে তালেবান কাবুল দখল করার পর দেশটির সাবেক সরকারি বাহিনীর সেনারা জড়ো হন কাবুলের উত্তরে অবস্থিত পাঞ্জশির উপত্যকায়। সেখান থেকেই তালেবানকে প্রতিরোধের সুর ওঠে। তবে ঐতিহ্যগতভাবেই ওই এলাকাটি তালেবান-বিরোধী হিসেবে পরিচিত।

কাবুলের উত্তর-পশ্চিমে পার্বত্য পাঞ্জশির উপত্যকায় মাসউদের শক্ত ঘাঁটি। এর আগে আফগানিস্তানের তালেবান বিরোধী প্রতিরোধের প্রধান আউটপোস্টের নেতা আহমাদ মাসউদ জানিয়েছিলেন, তিনি আশা করছেন এক সপ্তাহ আগে কাবুলে ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হবে। তবে, তার বাহিনী লড়াই করতে প্রস্তুত। সূত্র : আলজাজিরা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

আরও পড়ুন

রাস্তায় টাকা ভর্তি ব্যাগ পেলেন ডেলিভারি বয়


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ০৫:২০
রাস্তায় টাকা ভর্তি ব্যাগ পেলেন ডেলিভারি বয়

সংগৃহীত ছবি

জগতের ভালো মানুষের বদৌলতে আমি আপনি এখনও রাস্তায় বের হলে নিজেকে সেভ মনে করি। গোটা বিশ্ব যখন করোনার প্রাদুর্ভাব আর অভাব অনাটনে কাতরাচ্ছে। ঠিক তখনই বাসায় খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে রাস্তায় টাকাভর্তি ব্যাগ পেলেন এক ডেলিভারি বয়। তবে সেই টাকা আসল মালিককে ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অজিত নামের ওই যুবক। ৩ জুলাই কলকাতার বেলেঘাটায় এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, অজিতের সততায় মুগ্ধ কলকাতা পুলিশ তাকে পুরস্কৃত করার চিন্তা ভাবনা করেছে।

সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, গত ৩ জুলাই বেলেঘাটা প্রধান সড়ক দিয়ে খাবার নিয়ে গ্রাহকের বাসায় যাওয়ার পথে সিআইটি মোড়ের কাছে অজিত একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। তুলে দেখেন, তাতে রয়েছে বেশ কিছু দরকারি নথি আর ১০ হাজার ২০০ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে বেলেঘাটা থানায় যান তিনি। পুলিশ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন সেই টাকার ব্যাগ। পরে পুলিশ আসল মালিককে ফোন করে থানায় এনে টাকা ফেরত দেয়।

সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় অজিতের হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই সঙ্গে তাকে পুরস্কৃত করার জন্য নাম প্রস্তাব করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে বেশি কথা বলতে চাননি অজিত। তার ভাষ্য, রাস্তায় এমন কিছু পেলে তো পুলিশকেই দেয়া উচিত। অন্য কোনো কিছু মাথাতেই আসেনি।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সমন্বয়ক হাসনাত!


আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৪৪
আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সমন্বয়ক হাসনাত!

ফাইল ছবি: সমন্বয়ক হাসনাত!


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে নিজের আত্মহত্যা প্রবণতার কথা লিখেছেন। যা পড়ে সত্যিই অবাক হতে হয়।

তার এক প্রিয় বন্ধু মনজুর আত্মহত্যার ঘটনার পর আজ বুধবার সকালে তিনি এই পোস্ট ফেসবুকে প্রকাশ করেন।

হাসনাত লিখেছেন, আমি যে কোন সময় আত্মহত্যা করতে পারি। ঠিক যতগুলো কারনে আমার বন্ধু মনজু গতকাল এসএম হলে আত্মহত্যা করেছে,আত্মহত্যা করার জন্য আমার কাছেও ঠিক ততোগুলো কারণ রয়েছে। উদ্যাম তারুণ্য-পেরোনো প্রান্তিক বয়সে এসে, সেন্ট্রাল লাইব্রেরির নির্জনতায় বসে মাঝে মাঝে আমি ভাবি- আমি এখন পরিচয়হীন,পরিচর্যাহীন-বেকার। আমি না ছাত্র, না পেশাজীবী। না কারো দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতা আমার এখন হয়েছে, না আমার দায়িত্ব নিতে সমাজের আর আগ্রহ রয়েছে। অর্থাভাবে ভীষণভাবে জর্জরিত। আত্মবিশ্বাস ভয়াবহ তলানিতে। মানুষিকভাবেও ভীষণ বিপর্যস্ত।

তিনি লিখেন, কাটছাট করে এই দুর্মূল্যের বাজারে সত্তর টাকায় সারাদিন পার করতে হয়। ‘কড়া’ হয়েছে বলে ক্যান্টিন বয় যখন গরু দিতে চায়, টাকা বাঁচাতে শুষ্ক হাসি দিয়ে ডায়েটে থাকার অযুহাতে সবজি নিয়ে আসতে বলতে হয়। লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে মাঝে মাঝে মাছ কিংবা মাংসের একটু ঝোলের জন্য ক্যান্টিন বয়কে বলতে গিয়েও থেমে যাই। ডিম-আলু-ডাল জীবনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমান বাজার দরে এগুলোও এখন সাধ্যের বাইরে। খাবার খরচ, চাকরির এপ্লিকেশন ফি, পকেট খরচ, প্রিলি-রিটেনের বইয়ের দাম নিয়ে ভাবতে ভাবতে শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। রাত গভীর হয়,কাটাবন মসজিদের ফজরের আযান কানে আসে,মাস বাড়তে থাকে; এদিকে পাল্লা দিয়ে মুখে রুচি আর পেটে ক্ষুধা দুইটাই বাড়তে থাকে। শুনেছি অভাবে নাকি মানুষের ক্ষুধাও বাড়ে! যেসব বন্ধুবান্ধব ম্যাট্রিকের পর পড়াশোনা না করে বিদেশে চলে গিয়েছে, তারা এখন প্রতিষ্ঠিত। ঘর-সংসার করে থীতু হচ্ছে। বাপ-মা’কে হজ্জে পাঠাচ্ছে। এলাকায় জায়গাজমি কিনে তেজারত বাড়াচ্ছে।

হাসনাত আরও লিখেন, মাঝে মাঝে ফোন উঠিয়ে তাদের কাছে টাকা-পয়সা চাওয়ার কথা মনে হয়। দুই-একবার ফোন হাতে নিয়েও রেখে দিই। আত্মমর্যাদার বায়বীয় চাদরে মোড়ানো লাজুকতা ভুলে গিয়ে যখন বন্ধুদের কাছে ফোন দিইও, অপরপ্রান্তের বন্ধু থেকে নিজের সম্পর্কে যে উচ্চ ধারনা পাই, তা শুনলে যে উদ্দেশ্যে ফোন দিয়েছি, সেই প্রসঙ্গ আর উঠাতে সাহস হয় না। সেসব বন্ধু-বান্ধব ধরেই নিয়েছে দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে আমরা এখন অর্থ, বৈভব ও জাগতিক সম্মানে বিপুলভাবে পরিতৃপ্ত। পরিস্থিতি হয়েছে এমন, পকেটে নাই টাকা, কিন্তু চারদিক থেকে অস্বস্তিকর সম্মানের ছড়াছড়ি। আসলে ফাঁকা পকেটে সম্মান বেশি হয়ে গেলে সেটা বদহজম হয়ে যায়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ বছর যেসব পড়িয়েছে, আর এখন চাকরির পরিক্ষায় আমাদের থেকে যা জানতে চাওয়া হচ্ছে- সেসবের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।

একটার পর একটা শুক্রবার আসে, চাকরির পরীক্ষা আসে, শহরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সিট পাল্টায়, পকেটের এডমিট কার্ডটা পাল্টায়, কিন্তু এমসিকিউ-এর গোল্লার-বৃত্তে আটকে থাকা কপালটা আর কলমের খোঁচায় পাল্টায় না। কপাল কবে পাল্টাবে- সে প্রশ্নের উত্তরে আমার জীবন সন্ধানী মন এখন নিশ্চুপ।দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কখন কি হয়,কিছুই বলা যায় না।চলমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ক্রমশ হাতাশার নিঃশ্বাস ফেলতে হয়! পরিবার, সমাজ ও আশেপাশের মানুষের ‘এখন কি করো? আর কবে? আর কতদিন?’ প্রশ্নের উত্তর এড়াতে ইদেও হলে থেকে যেতে হয়। পরিচিত মানুষের ফোন কল এড়িয়ে যেতে পারলে মনটা স্বস্তিতে ভরে উঠে। নিজের কষ্ট,অসন্তোষ,রাগ কিংবা ভালোবাসা – আমরা কাউকে কিছুই এখন বলতে পারছি না, মুখ বুজে সমুদ্র গিলতে হচ্ছে!

দিন যত যাচ্ছে পরিবার,সমাজ ও নিজের প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। এতোদিন উড়তে থাকা আমি এবং আমার স্বপ্ন, এই সংকটে আটকে পড়ে ধুলোমলিন বেশে নিয়তির মুখোমুখি হতে চলেছে। লাগামছাড়া ব্যর্থতা ও সংকটের ত্রাহি ত্রাহি রবই শুধু নয়, আমাদের এখন সবার সামনে নিদারুণ উপহাসের পাত্রও হতে হচ্ছে। কাছে আসার ‘রঙিন দিনেরা’, ক্রমাগত দূরে যাওয়ার ধূসর বিবর্ণ গল্পে পরিণত হচ্ছে।

আর ঠিক তখন, ঠিক তখনই, জীবন থেকে মৃত্যুই পরম কাঙ্খিত বলে মনে হয়। ঠিক তখনই হাসনাতরা মনজু কিংবা রুপা কর্মকার হতে চায়। মনজু যেমন শরতের শিশিরের মতো রোদ উঠার আগেই নিঃশব্দে মিলিয়ে গিয়েছে, মনে হয়, ঠিক সেভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিভৃতে মিলিয়ে যাই। এক-পা,দু-পা করে মিলিয়ে যাওয়ার পথ ধরতে ইচ্ছে হয়। তবে,কোথায় যেনো বাধা পড়ে যাই!

সত্যজিত রায়ের অপুর সংসার মুভিতে অপুকে বলতে শোনা যায় -তার মধ্যে মহৎ কিছু একটা করার ক্ষমতা আছে, সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সেটা সে পারছে না। আবার এই না পারাটাও শেষ কথা নয়, ট্রাজিডিও নয়। সে মহৎ কিছু পারছে না, তার দারিদ্র্য যাচ্ছে না, তার অভাব মিটছে না, কিন্তু এত কিছুর পরেও সে জীবনবিমুখ হচ্ছে না, সে পালাচ্ছে না, স্কিপ করছে না, মনজুর মতো আত্মহনন করছে না বরং সে বাঁচতে চাইছে, সে বলছে- বাঁচার মধ্যেই স্বার্থকতা, বাঁচার মধ্যেই আনন্দ। He wants to live.

এই পয়েন্টটাতে এসে আর জীবনবিমুখ হতে পারি না। আসলেই, বেঁচে থাকতে পারছি এটাই তো সার্থকতা।

একটা থেঁতলে যাওয়া ব্যাঙও মাটির সাথে অর্ধেক লেপ্টে থাকা দেহটা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লাফানোর চেষ্টা করে,দুষ্টু ছেলের হাতে ধরা পড়ে পাখা হারানো লাল ফড়িংটাও চেষ্টা করে নীল আকাশে আবার উড়ে বেড়ানোর। আর আমি তো মানুষ, শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। ভয় কি? আবার শুরু করবো। সমাজ-পরিবার ও আশেপাশের মানুষের প্রত্যাশায় বেঁচে থাকা বন্ধ করে,নিজের আশার উপর নির্ভর করে বাঁচবো। আত্মহত্যা করতে জীবন আমাকে হয়তো শতশত যৌক্তিক কারন দেখাচ্ছে; কিন্তু আমি জীবনকে শুধু একটা কারন দেখিয়েই বেঁচে থাকবো। আর সেটা হলো ‘আশা’। থেমে না গিয়ে এই সম্বলটুকু নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। ইংরেজিতে একটা কথা আছে ‘Every man dies but not everyman lives’। মৃত্যুকে দেখিয়ে দিবো আমি জীবন থেকে পালিয়ে যাইনি,যাঁরা বেঁচেছে,আমি তাদের একজন।

অজানা এক লুপ্ত নক্ষত্রের মতো হারিয়ে যাওয়ার আগে,ভবিষ্যতের অপ্রত্যাশিত সব বিস্ময়ের মুখোমুখি হতে আমাদের স্বপ্ন ও আত্মবিশ্বাস-এ আমাদের সুস্থির থাকতে হবে। দীর্ঘ খড়া কাটিয়েও আবার যেমন প্রকৃতিতে বৃষ্টি নামে, শুকিয়ে যাওয়া নদীতেও আবার যেমন ঢেউ উঠে,আমরাও জানি,কষ্ট পেতে পেতে কোন একদিন আবার আমরা সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে সুস্মিত শিশিরের মতো সবার মাঝে আবারও প্রকাশিত হবো। স্বতেজে। তাই, সমাজের কাছে অনুরোধ- অপেক্ষা করুন।আমাদের সময় দিন।আমরা যা,আমাদের সেভাবেই মেনে নিন। ‘কে কী হয়েছে’- এসব উদাহরণ টেনে এনে, ‘আমাদের কী হতে হবে’- এইসব বলা বন্ধ করুন।

পাশাপাশি, আর কোনো হাসনাত যেনো তেলহীন প্রদীপের মতো ধীরে ধীরে নিভে গিয়ে মনজু না হতে হয় সেজন্য দেখা হলেই ‘এখন কি করো’ প্রশ্নটা না করে, ‘এখন কেমন আছো?’-এ প্রশ্নটা করুন। কারণ ,রাষ্ট্রের এই অসম ও অপ্রতুল আয়োজনে আমরা ভালো নেই।”

পোস্টের শেষে তিনি উল্লেখ করেন, আমি একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে গত বছর (২৩ আগস্ট ২০২৩) এই লেখাটি লিখেছিলাম, যেখানে চাকরিপার্থীদের কষ্ট ও হতাশা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। একজন চাকরিপ্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ কখনোই বুঝতে পারবে না যে, এই যন্ত্রণার মাত্রা কতটা অসহনীয়। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, পিএসসির সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাকরির পরীক্ষা ও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করুন। এছাড়া, বেকারত্বের প্রেক্ষাপটে প্রহসনমূলক আবেদন ফি বাতিল করুন। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক