a
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন।
তালেবানের কাবুল দখলের পর তিনি দেশত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সঙ্গে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা প্রত্যাখান করেন। খবর আরব নিউজের।
গত বুধবার আশরাফ ঘানি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি শুধু দেশবাসীর শান্তির কথা ভেবে দেশত্যাগ করেছি। সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সা আনিনি। এগুলো সব মিথ্যা প্রচারণা।
গত রোববার তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন আশরাফ ঘানি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশরাফ ঘানি তার বক্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এতে তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে এভাবে তিনি থাকতে চান না। দেশে ফেরার জন্য আফগান নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা চলছে বলেও জানান ওই ভিডিও বার্তায়।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফ ঘানি চারটি গাড়িভর্তি নগদ অর্থ সঙ্গে নিয়েছিলেন বলে আফগানিস্তানে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়।
রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনের মুখপাত্র নিকিতা ইশেনকো জানিয়েছিলেন, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে পালানোর সময় চার গাড়ি নগদ অর্থ সঙ্গে নিয়েছিলেন আশরাফ ঘানি। সেই অর্থের একটি অংশ তিনি হেলিকপ্টারে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সব কিছু গড়বড় হয়ে যায়। কিছু অর্থ বিমানবন্দরেই রেখে যান ঘানি।
ফাইল ছবি
ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত খবরটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এই কারণে নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তিকর খবরটি সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরুদায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। তাই তাদেরকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করা হয় না।
এতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ লক্ষ্যে তাদের সবার সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কোনো দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করবো। শিগগিরই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সব বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
গ্রাজুয়েশন শেষ করে ছেলে একদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করল,
— বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?
বাবা সরাসরি কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু মৃদু হেসে বললেন,
— চল, আজ ঘুড়ি ওড়াই। তখন তোমাকে তোমার প্রশ্নের উত্তর দেব।
ছেলে বিস্মিত হয়ে বলল,
— এই বয়সে ঘুড়ি ওড়াবেন বাবা? আজব তো!
কিছু না বলে বাবা ছেলের হাত ধরে টেনে বাড়ির পেছনের মাঠে নিয়ে গেলেন। সেখানে কয়েকজন ছোট্ট বাচ্চা রঙিন ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। বাবা তাদের একজনের কাছ থেকে একটা ঘুড়ি চেয়ে নিলেন। তারপর নাটাই হাতে নিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে শুরু করলেন। সুতা আস্তে আস্তে ছাড়তে ছাড়তে ঘুড়িটাকে আকাশের অনেক ওপরে তুলে দিলেন। ছেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।
একসময় বাবা বললেন,
— দেখছো খোকা? ঘুড়িটা কত ওপরে উঠেছে, অথচ এখনও সুতো ধরে রাখা আছে। তোমার কি মনে হয় না, এই সুতোর টানটাই ওকে আরও ওপরে যেতে বাধা দিচ্ছে?
ছেলে কিছু না ভেবেই বলল,
— হ্যাঁ, ঠিকই তো! সুতো না থাকলে ঘুড়ি আরও উপরে উঠতে পারত।
মৃদু হাসলেন বাবা। তারপর হালকা টানে সুতা কেটে দিলেন। মুক্ত ঘুড়ি প্রথমে একটু ওপরে উঠল বটে, কিন্তু তারপরই দিশাহীন হয়ে দুলতে দুলতে নেমে এল নিচের দিকে... অবশেষে কোথায় যেন হারিয়ে গেল দৃষ্টিসীমার বাইরে।
বাবা এবার ছেলের পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন,
— দেখলে খোকা? জীবনে যখন আমরা কোনো উচ্চতায় থাকি, তখন মনে হয় — কিছু বন্ধন আমাদের টেনে রাখছে। যেমন পরিবার, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধুবান্ধব, নীতিবোধ, দায়িত্ব, শৃঙ্খলা — এসব আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে, আমাদের আর এগোতে দিচ্ছে না। তখন আমরা ভাবি, এই সবকিছু থেকে মুক্ত হলেই বুঝি অনেক ওপরে উঠে যাব।
— কিন্তু বাস্তবতা হলো, ঠিক এই বন্ধনগুলোর জন্যই আমরা টিকে থাকি। এগুলোই আমাদের ভারসাম্য দেয়, পথ দেখায়, পতন থেকে রক্ষা করে। সুতা ছাড়লে যেমন ঘুড়ি পড়ে যায়, তেমনি বন্ধন হারালে আমরাও অচিরেই পতিত হই।
— মনে রেখো খোকা, সফল জীবন মানে কেবল ওপরে ওঠা নয়। সফল জীবন মানে হলো, নিজের শিকড়ের সাথে যুক্ত থেকে, দায়িত্বের বাঁধনকে সম্মান করে, মনের আকাশে টিকে থাকা। যারা বন্ধনকে ভালোবাসে, তারাই সত্যিকারের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে।
এটাই জীবনের সত্য। এটাই সফল জীবন।
.....ফেসবুক থেকে সংগৃহীত