a
ফাইল ছবি
দিমোনা পরমাণু স্থাপনার কাছে সিরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর দখলদার ইসরায়েল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দিমোনা পরমাণু কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানলে পরিণতি কী হতো তা নিয়ে আজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট।
সেখানে বলা হয়েছে, গত রাতের ক্ষেপণাস্ত্রটির আঘাতের স্থানটি যদি দিমোনা পরমাণু স্থাপনা হতো, তাহলো আজকের ইসরায়েলের জনজীবন এই অবস্থায় থাকত না। একটা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতই ইসরাইলের জন্য এক মহাবিপদের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
পত্রিকাটিতে আরো লেখা হয়েছে যে, দিমোনা পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছের এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ঘটনা সব বিপদকে একসঙ্গে স্মরণ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে আঘাত হানে। ওই মুখপাত্র জানান, সিরিয়ার দীর্ঘপাল্লার এসএ-৫ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল এটি এবং রাশিয়ার এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা ছোঁড়া হয়।
দিমোনা পরমাণু স্থাপনার কাছে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ এবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি সঠিক নিশানা আঘাত করতে সক্ষম হয়। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
ইউরোপজুড়ে একাধিক তেল পরিবহণ ও মজুদকারী প্রতিষ্ঠান সাইবার আক্রমণের মুখে পড়েছে। খবর বিবিসি জার্মানির ‘অয়েলট্যাঙ্কিং’, বেলজিয়ামে ‘এসইএ-ইনভেস্ট’ এবং নেদারল্যান্ডসের ‘ইভোস’ কোম্পানির তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা সাইবার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, বিশ্বজুড়ে তেল মজুদকারী, পরিবহণ প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক ডজন টার্মিনাল সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে—সপ্তাহ শেষে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি বলছে—উল্লিখিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
বেলজিয়ামের কৌঁসুলিরা বলছেন—তাঁরা ‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর টার্মিনালগুলোকে বাধাগ্রস্ত করা সাইবার-আক্রমণের তদন্ত করছেন।
‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত রোববার ইউরোপ ও আফ্রিকায় তাদের প্রতিটি পোর্ট সাইবার-হামলার শিকার হয় এবং ক্ষতিগ্রসথ হয়। প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে বিকল্প তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এর মুখপাত্র আরও জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠান অন্যান্য কোম্পানিতেও সাইবার-আক্রমণের বিষয়ে অবহিত। তবে, সেসব হামলার সঙ্গে ‘এসইএ-ইনভেস্ট’-এ হামলার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসের ‘ইভোস’-এর এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানায়—সাইবার-হামলায় টারনিউজেন, ঘেন্ট ও মাল্টার টার্মিনালগুলোতে তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা ‘দিতে কিছুটা সময় লাগছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত
ফাইল ছবি : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও কালজয়ী গানের স্রষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অসুস্থ অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, তার পালস পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহানা মির্জা আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে এসিডিটির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আমরা শনিবার তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল। রোববার উনার আরও অনেক কিছু পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু সকালে তো তিনি চলে গেলেন।
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য। গীতি কবিতায় অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো— ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’ প্রভৃতি। সূত্র: যুগান্তর