a
ফাইল ছবি
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এই ইউনিটে ১ হাজার ৩৩৬ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭৮ হাজার ৩১ জন। সেই হিসাবে আসনপ্রতি প্রার্থী ৫৮ জন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (দেড় ঘণ্টা) এই পরীক্ষা চলবে।
২০ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ও ফি জমা নেওয়া শুরু হয়। পাঁচটি ইউনিটেই এবার আবেদনের যোগ্যতার শর্ত কিছুটা শিথিল ছিল।
শুক্রবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক ইউনিটের, ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত গ ইউনিটের ও ৪ জুন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ শিক্ষার্থী। আবেদন ফি ছিল এক হাজার টাকা। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ৩৫। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন।
এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পাঁচটি ইউনিটে (ক, খ, গ, ঘ ও চ) দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা হবে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (দেড় ঘণ্টা)।
ঢাবির ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটে এবার মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। দুই অংশের উত্তর দেওয়ার জন্য ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট সময় থাকবে। চ ইউনিটে সাধারণ জ্ঞান অংশে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে। এর উত্তর দেওয়ার জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট। সূত্র: সমকাল
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে নতুন ভবনের ঠিক সামনে অবস্থান করছে "৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি "নামে যে ভাস্কর্যটি অবস্থান তা বাংলাদেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য এটি। ভাস্কর্যটির সামনে পেছনে আছে দুইটি অংশ। অত্যন্ত সুনিপুণ হাতে ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন শিল্পী ভাস্কর রাসা।
এই শিল্পকর্মে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন সহকারী ভাস্কর রাজীব সিদ্দিকী, রুমি সিদ্দিকী, ইব্রাহীম খলিলুর রহমান ও মিয়া মালেক রেদোয়ান। ভাস্কর্যের এক অংশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৯৭১ সালে ২৫ এ মার্চ রাতে ঢাকায় পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরচিত গণহত্যার দৃশ্য। গণহত্যায় নিহত সে সমস্ত ব্যক্তিবর্গের স্মৃতি রক্ষার্থে ভাস্কর্যের এক অংশে নির্মাণ করা হয় ৭১ এর গণহত্যা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’। তখন থেকে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে দা, ছুরি, বটি, বল্লমসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয় নারী-শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবীরা।
২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে ও দেশকে শত্রুমুক্ত করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। বর্তমান ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোভা বর্ধনের এক অদ্বিতীয় শিল্পকর্ম। এর চারদিকে আছে পানির ফোয়ারা। পানির ফোয়ারা ছাড়লে নয়নাভিরাম এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাতের বেলায় রঙ্গিন বাতির আলোয় এর রূপ যেন আরও চমৎকার হয়ে ওঠে। সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এর শুভ উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে ভার্স্কটিকে শান্ত চত্বর নামে অভিহিত করা হয়। শান্ত চত্বর নাম করার পিছনে রয়েছে বিশেষ এক অর্থ। কে এই শান্ত? যার নামানুসারে এই চত্বরের নামকরন করা হলো। মেহেদী আলম শান্ত যিনি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থী। মেহেদী আলম শান্তর জন্ম ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটাইল গ্রামে। যিনি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। যিনি ২০১০ সালে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই ভাস্কর্য অঙ্গণ এর নামকরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখরিত থাকে এই চত্বর। নানা ধরনের উৎব অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও কাজ করে চত্বরটি। মাঝে মাঝে পর্যটকদের পদাচরাণায় আরও বিকশিত হয় এর সোভা।
ভাস্কর্যটি ঘিরে আছে ২টি শিক্ষাভবনে প্রায় ১২টি বিভাগ। ক্লাসের ফাঁকে অবসর সময় কাটাতে এ সমস্ত বিভাগর শিক্ষার্থীরা এসে এখানে ভিড় জমায়। চলে আড্ডা গল্পও। কেউ আবার ফেসবুক চালাতে কিংবা বই পড়াতে মশগুল থাকে। জবি শান্ত চত্বর সত্যিই যেমনি ঐতিহ্যের ধারক বাহক তেমনি শিক্ষার্থীদের চেতনা ও প্রাণের তারুন্যের জায়গা।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে যে নিস্তব্ধ নীরবতা বিরাজ করে চলেছে তার মাঝেই প্রাণের তারণায় স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে ভাস্কর্যটি যে এক অনন্য ভালোবাসার জায়গা। করোনা মহামারী পেরিয়ে আবারো মুখরিত হোক জবি, আবার জনসমাগমে উল্লাসিত হোক শান্ত চত্বর। সকল শিক্ষার্থীদের এই প্রত্যাশায়ই কেটে যাচ্ছে মহামারীর দিনগুলো।
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ হাজার ৫০৩ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৮৮২২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৫৫০ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন।