a
ফাইল ছবি। কবি কাজী নজরুল ইসলাম
আজ মঙ্গলবার ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮। সাম্যের কবি, বিরহ-বেদনার কবি, বিদ্রোহের কবি, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী। কবির জন্ম হয়েছিল বাংলা ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬/১৮৯৯ ইং।
তার পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় দুঃখ-দারিদ্র্য ছিল তার নিত্যসঙ্গী। তার ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া। পিতার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তিনি শিশু বয়সেই মক্তবে শিক্ষকতা, হাজি পালোয়ানের মাজারে খাদেম এবং মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজ করেছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচেছিলেন ৭৭ বছর। জন্মের পর থেকে মাত্র ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন কাটিয়েছেন। এর মধ্যে সাহিত্য রচনার কাল ছিল মাত্র ২৪ বছর।
১৯৭২ সালের ২৪ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে কবি সপরিবারে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন।
কবি নজরুলের বয়স ৭৭ বছর হলেও ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘ ৩৪ বছর ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নির্বাক জীবন কাটিয়েছেন।
কবির জন্মদিনে আয়োজনে থাকবে:
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এদিকে, নজরুল একাডেমি জাতীয় কবির জন্মদিন উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এদিকে, নজরুলজয়ন্তীতে এ বছর ছায়ানটের নিবেদন ‘শান্তির জয় হোক’। নজরুলের মানবতা, স্বদেশ ও উদ্দীপনামূলক গান ও কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে আজ মঙ্গলবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়, ছায়ানটের ফেসবুক গ্রুপ (facebook.com/groups/chhayanaut) ও ইউটিউব চ্যানেলে (youtube.com/ ChhayanautDigitalPlatform)।
এছাড়া, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘কবি স্মরণ’-এর আয়োজন করেছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় সংগঠনের ফেসবুক পেইজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখা যাবে। ৯টি সদস্য সংগঠনের ৯ জন শিল্পী এ অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন।
ফাইল ছবি
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমে যাচ্ছে সময় ও নম্বর। ২০২২ সালের এই দুই পাবলিক পরীক্ষা তিন ঘণ্টার পরিবর্তে নেওয়া হবে দেড় ঘণ্টায়। আর পরীক্ষায় পূর্ণমান ১০০ নম্বরের পরিবর্তে নির্ধারিত থাকছে ৫০ নম্বর।
এছাড়াও চলতি বছরের এসএসসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, আইসিটি এবং ধর্ম- এই তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
ইতিমধ্যে এ ধরনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যরা এতে অংশ নেন।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত বছর তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ নিয়ে সমালোচনা ছিল দেশ জুড়ে। ফলে চলতি বছর বেশির ভাগ বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দেন বোর্ড চেয়ারম্যানগণ।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। কিন্তু করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় সেই প্রস্তাব অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রমতে, সভায় তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় এবং পূর্ণমান ১০০-এর পরিবর্তে ৫০ নম্বরে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং আইসিটি বিষয় বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা হতে পারে।
গত বছর এসএসসি-এইচএসসিতে টেস্ট বা নির্বাচনি পরীক্ষা নেওয়া না হলেও এ বছর চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে নির্বাচনি পরীক্ষা হতে পারে। আর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি (এসএসসি পর্যায়ে ১৫০ দিনের এবং এইচএসসি পর্যায়ে ১৮০ দিনের) অনুযায়ী এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, শিক্ষা বোর্ডগুলোর এই পরিকল্পনার খবরে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য- পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা যদি এই তিন বিষয়ের প্রস্তুতি না নেয় এবং শেষ পর্যন্ত যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হয় তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তারা মনে করছেন, এ বিষয়ে এখনই সুরাহা হওয়া উচিত। একই মত শিক্ষক ও অভিভাবকদের। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
করোনার বিস্তৃতি মোকাবেলায় বন্ধ আছে লঞ্চ চলাচল কিন্তু লঞ্চ শ্রমিকদের থাকতে হচ্ছে লঞ্চেই। পাহাড়া দিতে হবে কোটি কোটি টাকা দামের এই জলযান। কিন্তু ঈদের পূর্বে বেতন ও বোনাস পাওয়া নিয়ে তাদের ভিতর শঙ্কাবিরাজ করছে। লঞ্চমালিকরা শুধু খাওয়া খরচ দিয়ে দায় সাড়ছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে লঞ্চ মালিকদের অভিযোগ তাদেরও দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। টানা লকডাউনে বন্ধ থাকা কিছু লঞ্চ সদরঘাট এলাকায় দেখা গেলেও সেখানে দেখা যায় শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। লঞ্চ চললে তাদের জন্য মিলবে বেতন বোনাস। তবে আদৌ এবার কি ঈদ উদযাপন করতে পারবেন এ সংশয় নিয়ে দিন পান করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের বিষয়ে নৌযান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য প্রনোদনার কথা বললেও এখনো পাইনি। অধিকাংশ শ্রমিকরাই বেতন বোনাস থেকে বঞ্চিত থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।