a খালেদা জিয়া সিসিইউ থেকে কেবিনে
ঢাকা সোমবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

খালেদা জিয়া সিসিইউ থেকে কেবিনে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২, ০১:৫৫
খালেদা জিয়া সিসিইউ থেকে কেবিনে

ফাইল ছবি: বেগম খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালের সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি টেলিফোনে গণমাধ্যকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এতদিন সিসিইউতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

বিশেষ সূত্র মতে, এভারকেয়ার হাসপাতালের ৪র্থ তলার সিসিইউর কেবিন নম্বর ৪২১৯ থেকে ৭তম তলার কেবিন নম্বর ৭২০৪-তে খালেদা জিয়াকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করানো হয়। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। গত শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে সফলভাবে রিং পরানো হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন করার পর তার হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটি ব্লক ছিল ৯৫ শতাংশ। সেটিতে রিং পরানো হয়। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত ৫ গাড়িতে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১, ০১:৫০
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত ৫ গাড়িতে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত পাঁচটি যানবাহনে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। রবিবার (২৮ মার্চ) সকালে মহাসড়কের সাইনবোর্ডের কাঁচপুর এলাকায় দুইটি ট্রাক, একটি বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যানসহ পাঁচটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে আরও শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শাকিল (২৫) নামে একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি গুলিবিদ্ধ হন।

আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় ও আগুন নিভিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করে। 

কিছুক্ষণ পর আবারও অশান্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সড়কের যানবাহন ভাঙচুর ও আগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিজিবির সদস্যরা। এসময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে শাকিল (২৫) নামে একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, হেফাজতে ইসলামের সহস্রাধিক কর্মী ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের থেকে একটু দূরেই অবস্থান নিয়েছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এখানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

হরতালের সমর্থনে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এরপর হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় অবস্থান নেয় তারা। এ সময় মহাসড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন ধরিয়ে এবং রাস্তায় ইট বিছিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিআইটি, চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতাকর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে আজ রবিবার (২৮ মার্চ) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। গত শুক্রবার রাতে পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সিনহাকে ডাকাত বানিয়েই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রদীপ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪৪
সিনহাকে ডাকাত বানিয়েই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রদীপ

ফাইল ছবি

ডাকাত বানিয়েই মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য আসা নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দশম সাক্ষি হাফেজ জহিরুল ইসলামের আদালতকে দেওয়া জবানবন্দি থেকে জানা গেছে এমন তথ্য।

হাফেজ জহিরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম আমি। ঘটনার দিন রাতে উত্তর মারিশবনিয়া ওমরুল কুরান জামে মসজিদে এশার আযান দিচ্ছিল। আমিও মাইকে এশার আযান শুরু করি। আমার আযান শেষ হয়। এসময় উত্তর মারিশ বনিয়া ওমরুল কুরআন জামে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছিল পাহাড়ে আলো দেখা যায়, এলাকার মানুষ সতর্ক থাকবেন ওরা ডাকাত।

আমি নিজের কানে শুনতে পাই মাইকিং করা ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই মসজিদের ইমাম সাহেব মাওলানা মুক্তারকে ফোন করি আমি নিশ্চিত হয়ে জানতে চাই এ মাইকিং করছে কে? তখন আমি নিশ্চিত হই ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। এরপর আমরা আমাদের মসজিদের এশারের ফরজ নামাজের আগের সুন্নত আদায় করি এবং আমার ইমামতিতে এশারের ফরজ নামাজ আদায় করি। আমরা মোনাজাত করে ফেলি। আমাদের মসজিদে আমার পূর্বে মাওলানা হোসেন আহমেদ স্থানীয় একজন ইমাম ছিলেন। আমারে বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে। তুমিও জলদি মাইকিং করে দাও। আমি উত্তরে বলি মাইকিং করতে হবে না।

উনারা সেনাবাহিনীর লোক আমি নিজে পাহাড়ে যেতে দেখেছি। ওই সময় আমি সেনাবাহিনীর পোশাকের মত পরিহিত লোকটার বর্ণনা দেই। ওনার সাথে আরেকজন আছে এটাও বলি। নামাজ শেষে চায়ের দোকানে গেলে আমার মামা মোহাম্মদ আলি বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে, তুমিও মাইকিং করে দাও। আমি বলি যে এরা সেনাবাহিনীর লোক মাইকিং করার কোন দরকার নেই।

এরপর আমি ডিসি রোড দিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হই। আমি মুইন্না পাহাড়ের কাছাকাছি গেলে দেখতে পাই দক্ষিণ দিক থেকে নুরুল আমিন ও আয়াস আসছে। নুরুল আমিন ও আয়াশ আমাকে বলছে যে, আমরা মাইকিং করে দিয়েছি তুমি কেন মাইকিং করো নাই। আমি বলি মাইকিং করার কোন প্রয়োজন নাই এরা সেনাবাহিনীর লোক। ওরা বলে এরা সেনাবাহিনীর লোক নয় এরা ডাকাত। এরপর তারা আমার হাত থেকে টর্চ লাইট নিয়ে মুইন্না পাহাড়ের দিকে টর্চ মারতে মারতে যায়।

আমি বলি পাহাড়ের দিকে লাইট মারিও না, ওরা সেনাবাহিনীর লোক। নুরুল আমিন ও আয়াজ আমাকে বলে এত রাত্রে কিসের সেনাবাহিনীর লোক এরা আব্দুল হাকিম ডাকাত, সেনাবাহিনীর ড্রেস পড়ে ডাকাতি করতে এসেছে। আয়াজ ও নুরুল আমিন আমাকে বলে যে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ছিটখালি পর্যন্ত এসেছে। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ মুইন্না পাহাড়ে আসার জন্য বের হয়েছে।

নুরুল আমিন আমাকে বলেছে যে, ওসি প্রদীপ স্যার তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা দিবে ডাকাত মেরে ফেলার জন্য। তারা আরো বলেন ৫ লাখ থেকে দুই লাখ টাকা তোরে (তুই সম্ভোধন) দিমু আর দেড় লাখ টিয়া (টাকা) করি (করে) আমরা নিমু (নিব) আমি যেন ডাকাত বলে মাইকিং করে দেই। উত্তরে তাদেরকে আমি বলি ২ লাখ টাকা আমার কোন প্রয়োজন নেই আমি মাইকিং করবো না।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এসব সাক্ষ্য দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তা নিশ্চিত করেছেন সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজের সাথে যুক্ত একাধিক আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী ফরিদুল আলম বলেন, আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন ডা. রনধীর দেবনাথ ও ইমাম জহিরুল ইসলাম। মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য ভিন্ন পরিকল্পনাও ছিল আসামিদের হাতে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ইমাম।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে আরো চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় দশম সাক্ষিসহ আরো ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

সরকারী কৌঁসুলী ফরিদুল বলেন, মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৩ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষি জবানবন্দি প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলায় ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে আরো ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।

মঙ্গলবার কাঠগড়ায় উপস্থিত আসামিরা হলেন, আদালতে উপস্থিত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি