a
ফাইল ছবি
নিত্যপণ্যের ঊর্দ্ধগতির প্রতিবাদে কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে রাখবে বিএনপি। দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এরকম সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
চাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। জনগণের এই ক্ষোভ কাজ লাগাতে চায় বিএনপি। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছে দলের নেতাকর্মীরা।
স্থায়ী কমিটির সভায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হাট সভা পালিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। আসন্ন রমজান মাসের পূর্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী দিনের কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘একটি অপ্রিয় সত্য কথা বলতে চাই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে যে দুর্বৃত্তায়ন চলছে এজন্য আজকে রাস্তায় মানুষ বলাবলি করছে ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব নাকি মেরুদণ্ডহীন প্রাণী’।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে মির্জা কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, আর নোয়াখালীর মানুষ বলাবলি করছে, নোয়াখালীর রাজনীতির এই দূরবস্থা এবং একরাম চৌধুরীর অপকর্মের জন্য মেরুদণ্ডহীন সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম দায়ী। তারপরে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতির আজকের এই অবস্থার জন্য আরেক মেরুদণ্ডহীন সাহাব উদ্দিন দায়ী।’
তিনি বলেন, এটা অপ্রিয় হলেও সত্য কথা। এটা মানুষের কথা, মানুষের মনের কথা। আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়ে রাজনীতি করবো। আমি নামাজের বিছানায় বসে শপথ করেছি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবো।
কাদের মির্জা বলেন, আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে আজও এক চুল পরিমাণ সরে যায়নি। হেফাজতের উত্থান কিভাবে হয়েছে আপনারা জানেন। আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণে তাদের উত্থান। তারা আজকে এমন পর্যায়ে গিয়েছে, তারা এখন মানুষ হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করে না। দলের এখন সুসময়। বসন্তের কোকিলদের আনাগোনায় ত্যাগীরা হারিয়ে যাচ্ছেন।
কাদের মির্জা বলেন, মন্ত্রীর স্ত্রী সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগান দিয়েছেন। যেহেতু তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত, তার দুর্নীতিকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমি যাতে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেত্রীর কাছে দেশবাসীর কাছে কোনো কিছু করতে না পারি সেজন্য তিনি আমার বিরোধীতা করছেন।
আমাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কার স্বার্থে, কিসের স্বার্থে, কেন আজকে সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমার নেতাকর্মীরা গুলি খেয়ে ঢাকাতে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। আপনি একবার তাদের দেখতেও যাননি, আপনার কোন প্রতিনিধিও যায়নি। এটার জবাব একদিন জনগণকে দিতে হবে, আল্লাহর আদালতে দিতে হবে।
ফাইল ছবি
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় আজ প্রদান করা হবে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে।
দেড় বছর ধরে চলা এ মামলায় দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১২ জানুয়ারি রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কে শামলাপুর এপিবিএন পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
হত্যাকান্ডের পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি করা হয় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে। আদালত মামলাটির তদন্তভার দেয় কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কে। এ ছাড়াও পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫।
৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসেন।
১৫ আসামির মধ্যে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বরখাস্ত কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব ছাড়া বাকি ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
এ মামলায় চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আসামি করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকান্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, আদালতের কাছে প্রসিকিউশন মেজর (অব.) সিনহাকে সুপরিকল্পিত হত্যা করার ঘটনাটি প্রমাণ করতে পেরেছে। আদালত এই মামলায় আসামি প্রদীপ, লিয়াকতসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির রায় ঘোষণা করবেন বলে আশা প্রসিকিউশনের।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, এই মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য, এভিডেন্স ও তথ্য প্রমাণে প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পেরেছে, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যা করেছে। তাই আশা করি আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে।
এই মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপের পক্ষে আদালতে আইনি লড়াইয়ে সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। তিনি আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়ে বলতে চেয়েছেন, সিনহা হত্যাকান্ডে ওসি প্রদীপ জড়িত ছিলেন না। মামলার এভিডেন্স অনুযায়ী ওসি প্রদীপ ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এই মামলায় ওসি প্রদীপকে খালাস প্রদানের দাবি করেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন