a
ফাইল ছবি
টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউটার ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইদ্রিচ গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছাকাছি দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটি টাঙ্গাইল টু ঢাকা অভিমুখে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন টাঙ্গাইল স্টেশন ত্যাগ করার পর আগুন লাগে। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
ঘারিন্দা রেলস্টেশনের বুকিংমাস্টার সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৩টার দিকে ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির দুইটি বগিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে এক ঘণ্টার মতো চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি কেউই। সূত্র: যুগান্তর
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে "অপরাধপ্রবণ ব্যক্তির হাতের লিখার বৈশিষ্ট্য" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাতের লেখার মধ্যে মানুষ তার অজান্তেই নিজের চেতন ও অবচেতন মনের আচরণ বা অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক বা গ্রাফোলজিস্ট হাতের লেখার গঠনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে মানুষ এর আচরণ বা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলতে পারে।
"হ্যান্ড রাইটিং ট্রেইটস অফ ক্রিমিনাল টেন্ডেন্সিস" - এই শিরোনামে ১২ই জুন (সোমবার) রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর সহযোগিতায় একটি তথ্যবহুল ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মনিরা নাজমি জাহান।
উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশ ক্রিমিনোলজি অ্যাসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যুক্ত আছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর সভাপতি ফারিয়া আনজুম খান ধ্রুবা, সহ -সভাপতি তানভির হাসান তালুকদার শাওনসহ অন্যান্য সদস্য।
আজকের প্রোগ্রামের ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মিরাজ হোসাইন। তিনি একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক। এর পাশাপাশি তিনি একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবেও কর্মরত আছেন।
হাতের লেখার ধরণ পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে কিভাবে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত করা যায় তা ছিল আজকের কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য। মোঃ মিরাজ হোসাইন বলেন, "প্রায় ৫০ এর বেশি হাতের লেখার বৈশিষ্ট্যের চিহ্নিত করা হয়েছে অপরাধীদের হাতের লেখা গবেষণা করে। এরমধ্যে কারো কারো হাতের লেখায় যখন ৭-৮ টি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে গ্রাফোলজিস্টরা শনাক্ত করেন"।
মনিরা নাজমি জাহান বলেছেন, "প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন করে গ্রাফোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন যাতে করে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ ও মানসিক অবস্থা শনাক্ত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কর্মচারী নিয়োগ এর ক্ষেত্রে হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিত্ব অনুধাবন করে নিয়োগ দিলে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে"।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা বাংলা হাতের লেখার উপর গবেষণা করা এবং দেশে গ্রাফোলজিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া আরো জোরদার করার আহবান জানায়। অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে একাংশ পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এবং আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে প্রধান অতিথি ও আজকের ট্রেইনার কে ক্রেস্ট দ্বারা সম্মান জানানোর মাধ্যমে।
ফাইল ছবি
ডিম মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সাতটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে র্যাব।
প্রতিষ্ঠানগুলোর চারটি ডিমের দোকান, একটি ফলের দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-১ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। র্যাব সূত্র আরো জানায়, সম্প্রতি কতিপয় অসাধু ব্যক্তি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সুযোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মজুত করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এর ধারাবাহিকতায় উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল রোড এলাকায় আবদুল্লাহ স্টোর, এমবিএ ট্রেডার্স, সুমন ডিমের আড়ত, ফলের মেলা, কামরুল রেস্টুরেন্ট, নিউ গ্রিন ঢাকা রেস্টুরেন্ট ও আমিন ট্রেডার্সে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
র্যাব-১ সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) পারভেজ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ডিম মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির অপরাধে ওই সাত প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, অভিযানে আমিন ট্রেডার্সের মালিক নুরুল আমিন (৪৫), সুমন ডিম আড়তের মালিক সুমনকে (২৫), এমবিএ ট্রেডার্সের মালিক মাহবুবুল আলম (৪৫) ও আবদুল্লাহ স্টোরের মালিক আমিনুলকে (৪৯) ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া ফলের মেলার মালিক রাসেলকে (৩৫) ২০ হাজার টাকা ও নিউ গ্রিন ঢাকা রেস্টুরেন্টের মালিক সৈয়দ আ. হান্নানকে (৪৮) ৫০ হাজার টাকা এবং কামরুল রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী পরিমল চন্দ্র দেকে (৫১) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো