a
ফাইল ছবি
টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউটার ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইদ্রিচ গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছাকাছি দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটি টাঙ্গাইল টু ঢাকা অভিমুখে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন টাঙ্গাইল স্টেশন ত্যাগ করার পর আগুন লাগে। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
ঘারিন্দা রেলস্টেশনের বুকিংমাস্টার সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৩টার দিকে ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির দুইটি বগিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে এক ঘণ্টার মতো চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি কেউই। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই সুযোগকে অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, এই সুযোগ অর্থ পাচারের মতো অপরাধকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার নামান্তর। এতে অর্থ পাচারসহ সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা প্রদান। অথচ অর্থ পাচার রোধ আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার গুরুতর অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচার করা অর্থ বাজেয়াপ্ত এবং তার দ্বিগুণ জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
পাচার করা অর্থ বৈধ করার সুযোগকে কালোটাকা সাদা করার বেআইনি সুযোগের ধারাবাহিকতা বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, বারবার সুযোগ দিয়েও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি। যাঁরা অর্থ পাচার করেছেন, তাঁরা এ ধরনের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত নিয়ে আসবেন, এ রকম দিবাস্বপ্নের কোনো ভিত্তি নেই। অর্থ পাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার আরও বিস্তৃতি পাবে। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
আজ সোমবার ২০২০ ইউরো কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। ২৪ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি স্পেন অধিনায়ক সার্জিও রামোসের। তাছাড়া ঘোষিত দলে নেই কোন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়।
করোনা কারনে যদিও ইউরোর জন্য সব দলকেই ২৬ জন করে ফুটবলার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে এনরিকে আপাতত ২৪ জনের দলই ঘোষণা করেছেন।
দলে সুযোগ পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ৪ জন, বার্সেলোনা থেকে ৩ জন, ভিলারিয়াল / অ্যাটলেটিকো থেকে ২ জন করে, ব্রাইটন / চেলসি / লিডস/লিভারপুল / ম্যান ইউনাইটেড / উলভস / পিএসজি / আরবি লেইপজিগ / জুভেন্টাস / নাপোলি / অ্যাথলেটিক / রিয়েল সোসিয়েদাদ / ভ্যালেন্সিয়া থেকে সুযোগ হয়েছে করে নিয়েছে একজন করে খেলোয়াড়, এখনো স্পেনের হয়ে না খেলে প্রথমবার যায়গা পেয়েছে ২ জন।
পুরো মৌসুমে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলা ২০ বছর বয়সী ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সেন্টার ব্যাক এরিক গার্সিয়া, গোটা মৌসুম ধরে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁকেও দলে রেখেছেন এনরিকে। আবার গার্সিয়ার সতীর্থ ম্যান সিটিরই আইমেরিক লাপোর্তে চোট সমস্যায় ভুগছেন তাও দলে যায়গা পেয়েছেন। তবুও তিনি দলে সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জায়গা হয়নি রামোসের।
এনরিকে বলেছেন, ‘রামোসকে নিয়ে আমি যেই সিদ্ধান্ত নিতাম, তাতেই বিতর্ক হত। আমি জানি, আমি কী করেছি। আর সংবাদমাধ্যমের বিরোধীতার মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।
২০২০ ইউরোর জন্য স্পেনের ২৪ সদস্যের স্কোয়াড :
গোলরক্ষক: উনাই সাইমন, দাভিদ দি গিয়া, রবার্ত সানচেজ।
ডিফেন্ডার: হোসে গায়া, জর্দি আলবা, পাউ তরেস, আইমেরিক লাপোর্তে, এরিক গার্সিয়া, দিয়েগো লোরেন্তে, সিজার আজপিলিকুয়েতা, মার্কোস লোরেন্তে।
মিডফিল্ডার: সার্জিও বুসকেটস, রদ্রি, পেদ্রি, থিয়াগো, কোকে, ফ্যাবিয়ান রুইজ।
ফরোয়ার্ড: দানি ওলমো, মিকেল ওয়ারজাবল, আলভারো মোরাতা, জেরার্দ মোরেনো, ফেরান তরেস, অ্যাদামা ত্রাউরে, পাবলো সারাবিয়া।