a
ফাইল ছবি
ডাকাত বানিয়েই মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য আসা নুরুল আমিন ও আয়াজ উদ্দিনকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দশম সাক্ষি হাফেজ জহিরুল ইসলামের আদালতকে দেওয়া জবানবন্দি থেকে জানা গেছে এমন তথ্য।
হাফেজ জহিরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম আমি। ঘটনার দিন রাতে উত্তর মারিশবনিয়া ওমরুল কুরান জামে মসজিদে এশার আযান দিচ্ছিল। আমিও মাইকে এশার আযান শুরু করি। আমার আযান শেষ হয়। এসময় উত্তর মারিশ বনিয়া ওমরুল কুরআন জামে মসজিদে মাইকিং করা হচ্ছিল পাহাড়ে আলো দেখা যায়, এলাকার মানুষ সতর্ক থাকবেন ওরা ডাকাত।
আমি নিজের কানে শুনতে পাই মাইকিং করা ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওই মসজিদের ইমাম সাহেব মাওলানা মুক্তারকে ফোন করি আমি নিশ্চিত হয়ে জানতে চাই এ মাইকিং করছে কে? তখন আমি নিশ্চিত হই ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিন। এরপর আমরা আমাদের মসজিদের এশারের ফরজ নামাজের আগের সুন্নত আদায় করি এবং আমার ইমামতিতে এশারের ফরজ নামাজ আদায় করি। আমরা মোনাজাত করে ফেলি। আমাদের মসজিদে আমার পূর্বে মাওলানা হোসেন আহমেদ স্থানীয় একজন ইমাম ছিলেন। আমারে বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে। তুমিও জলদি মাইকিং করে দাও। আমি উত্তরে বলি মাইকিং করতে হবে না।
উনারা সেনাবাহিনীর লোক আমি নিজে পাহাড়ে যেতে দেখেছি। ওই সময় আমি সেনাবাহিনীর পোশাকের মত পরিহিত লোকটার বর্ণনা দেই। ওনার সাথে আরেকজন আছে এটাও বলি। নামাজ শেষে চায়ের দোকানে গেলে আমার মামা মোহাম্মদ আলি বলেন ভাগিনা উত্তর মারিশবনিয়া মসজিদে ডাকাত বলে মাইকিং করে দেওয়া হয়েছে, তুমিও মাইকিং করে দাও। আমি বলি যে এরা সেনাবাহিনীর লোক মাইকিং করার কোন দরকার নেই।
এরপর আমি ডিসি রোড দিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হই। আমি মুইন্না পাহাড়ের কাছাকাছি গেলে দেখতে পাই দক্ষিণ দিক থেকে নুরুল আমিন ও আয়াস আসছে। নুরুল আমিন ও আয়াশ আমাকে বলছে যে, আমরা মাইকিং করে দিয়েছি তুমি কেন মাইকিং করো নাই। আমি বলি মাইকিং করার কোন প্রয়োজন নাই এরা সেনাবাহিনীর লোক। ওরা বলে এরা সেনাবাহিনীর লোক নয় এরা ডাকাত। এরপর তারা আমার হাত থেকে টর্চ লাইট নিয়ে মুইন্না পাহাড়ের দিকে টর্চ মারতে মারতে যায়।
আমি বলি পাহাড়ের দিকে লাইট মারিও না, ওরা সেনাবাহিনীর লোক। নুরুল আমিন ও আয়াজ আমাকে বলে এত রাত্রে কিসের সেনাবাহিনীর লোক এরা আব্দুল হাকিম ডাকাত, সেনাবাহিনীর ড্রেস পড়ে ডাকাতি করতে এসেছে। আয়াজ ও নুরুল আমিন আমাকে বলে যে শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ছিটখালি পর্যন্ত এসেছে। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ মুইন্না পাহাড়ে আসার জন্য বের হয়েছে।
নুরুল আমিন আমাকে বলেছে যে, ওসি প্রদীপ স্যার তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা দিবে ডাকাত মেরে ফেলার জন্য। তারা আরো বলেন ৫ লাখ থেকে দুই লাখ টাকা তোরে (তুই সম্ভোধন) দিমু আর দেড় লাখ টিয়া (টাকা) করি (করে) আমরা নিমু (নিব) আমি যেন ডাকাত বলে মাইকিং করে দেই। উত্তরে তাদেরকে আমি বলি ২ লাখ টাকা আমার কোন প্রয়োজন নেই আমি মাইকিং করবো না।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এসব সাক্ষ্য দেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তা নিশ্চিত করেছেন সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজের সাথে যুক্ত একাধিক আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী ফরিদুল আলম বলেন, আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন ডা. রনধীর দেবনাথ ও ইমাম জহিরুল ইসলাম। মেজর সিনহাকে হত্যার জন্য ভিন্ন পরিকল্পনাও ছিল আসামিদের হাতে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ইমাম।
এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে আরো চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় দশম সাক্ষিসহ আরো ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
সরকারী কৌঁসুলী ফরিদুল বলেন, মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৩ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষি জবানবন্দি প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলায় ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় প্রথম দিনে আরো ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
মঙ্গলবার কাঠগড়ায় উপস্থিত আসামিরা হলেন, আদালতে উপস্থিত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সূত্র: ইত্তেফাক
সংগৃহীত ছবি
এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এক চোর। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কর্মকর্তা চোরটিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গ্রেফতার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
রোববার (২৮ মার্চ) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর নিশ্চিত করে জানায়, থাইল্যান্ডে ওই ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক যুবক বেশ খানিকক্ষণ ধরেই স্থানীয় ফেচাবুন এলাকায় চুরির মতলবে ঘুরছিলেন। অবশেষে রাত ২টার দিকে তিনি এক পুলিশ অফিসারের বাসায় চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন। তবে, বাড়িতে ঢুকে চুরির আগে এসি চালিয়ে বিশ্রাম করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানায়, চোরটি যেই ঘরে ঘুমিয়েছিল সেই ঘরটি ওই অফিসারের মেয়ের। ওই সময় ঘরে তার মেয়ে ছিলেন না বিধায় সকালে উঠে তাঁর মেয়ের ঘরের এসি চালু দেখে অবাক হন ওই অফিসার। এরপর ঘরে প্রবেশ করে লেপ তুলতেই ধরা পড়ে চোর। ঘুম থেকে জোরে ডেকে তুলতেই কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হন ওই যুবক। কালবিলম্ব না করে যুবকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এক চোর। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কর্মকর্তা চোরটিকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গ্রেফতার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে।
রোববার (২৮ মার্চ) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর নিশ্চিত করে জানায়, থাইল্যান্ডে ওই ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক যুবক বেশ খানিকক্ষণ ধরেই স্থানীয় ফেচাবুন এলাকায় চুরির মতলবে ঘুরছিলেন। অবশেষে রাত ২টার দিকে তিনি এক পুলিশ অফিসারের বাসায় চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন। তবে, বাড়িতে ঢুকে চুরির আগে এসি চালিয়ে বিশ্রাম করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানায়, চোরটি যেই ঘরে ঘুমিয়েছিল সেই ঘরটি ওই অফিসারের মেয়ের। ওই সময় ঘরে তার মেয়ে ছিলেন না বিধায় সকালে উঠে তাঁর মেয়ের ঘরের এসি চালু দেখে অবাক হন ওই অফিসার। এরপর ঘরে প্রবেশ করে লেপ তুলতেই ধরা পড়ে চোর। ঘুম থেকে জোরে ডেকে তুলতেই কিছুক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হন ওই যুবক। কালবিলম্ব না করে যুবকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
সংগৃহীত ছবি
শেষ সময়ের ডাক...
একটু বুক ভরে শ্বাস নেবো
সে উপায় নাই,
মুক্ত বাতাসেও প্রাণঘাতী অসুখ !
এ কেমন লীলা তোমার প্রাণেশ্বর !?
প্রতিমুহূর্তে যে প্রাণ অকালপ্রয়াণে নিভে যায়!
বেঁচে থাকার তার কি আছে অধিকার !?
জীবনের জন্য জীবন -আজ বড়ো প্রাণহীন হিমশীতল।
তুমি হীন তুমিময় সংসার
মায়ার অলখ ডোরে বাঁধা কেবলি বিপ্রতীপ ইশারার জাল।
এ কেমন পরীক্ষা তোমার !?
জলের পরে তোমার ছায়া
ধরতে নাহি পারি,
ডুবসাঁতারে জনম গেলো মিছে... প্রভূ
না হইলাম তোমার সঙ্গের কান্ডারী !
দিনের শেষে সন্ধ্যা ঘনাইছে আকাশে
মেঘের ঘনঘটা, বিদ্যুৎ চমকে গর্জিছে যমরাজ !
সময়ের ইতি টেনে বুঝিবা জানায় সম্ভাষণ,
যেতে হবে এইবার... এসেছে ডাক ওপারের ।
বুক ভরে শ্বাস নেই ...!
নীল আকাশ, নীল সমুদ্র
কৃষ্ণচূড়ায় রক্তক্ষরণের ছায়া, সবুজে নীলের কায়া ।
বিষে বিষাক্ত চারিধার !
মরণ রে তুহু মম ঘনশ্যাম ।।