a হস্তাক্ষরে অপরাধীদের আচরণ নির্ণয় করা যাবে
ঢাকা মঙ্গলবার, ৮ পৌষ ১৪৩২, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

হস্তাক্ষরে অপরাধীদের আচরণ নির্ণয় করা যাবে


সিয়াম, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২, ০৫:০০
হস্তাক্ষরে অপরাধীদের আচরণ নির্ণয় করা যাবে

ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে "অপরাধপ্রবণ ব্যক্তির হাতের লিখার বৈশিষ্ট্য" শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাতের লেখার মধ্যে মানুষ তার অজান্তেই নিজের চেতন ও অবচেতন মনের আচরণ বা অবস্থা ফুটিয়ে তোলে। একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক বা গ্রাফোলজিস্ট হাতের লেখার গঠনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে মানুষ এর আচরণ বা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলতে পারে।

"হ্যান্ড রাইটিং ট্রেইটস অফ ক্রিমিনাল টেন্ডেন্সিস" - এই শিরোনামে ১২ই জুন (সোমবার) রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি  এর সহযোগিতায় একটি তথ্যবহুল ওয়ার্কশপ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার  মনিরা নাজমি জাহান।

উল্লেখ্য যে, তিনি বাংলাদেশ ক্রিমিনোলজি অ্যাসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক  হিসেবে যুক্ত আছেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর সভাপতি ফারিয়া আনজুম খান ধ্রুবা, সহ -সভাপতি  তানভির হাসান তালুকদার শাওনসহ অন্যান্য সদস্য।

আজকের প্রোগ্রামের ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্রাফোলজি এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মিরাজ হোসাইন।  তিনি একজন হস্তাক্ষর বিশ্লেষক। এর পাশাপাশি তিনি একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবেও কর্মরত আছেন।  

হাতের লেখার ধরণ পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে কিভাবে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত করা যায় তা ছিল আজকের কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য। মোঃ মিরাজ হোসাইন বলেন, "প্রায় ৫০ এর বেশি হাতের লেখার বৈশিষ্ট্যের চিহ্নিত করা হয়েছে  অপরাধীদের হাতের লেখা গবেষণা করে। এরমধ্যে  কারো কারো হাতের লেখায় যখন ৭-৮ টি বিষয় পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে অপরাধপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে গ্রাফোলজিস্টরা শনাক্ত করেন"।

মনিরা  নাজমি জাহান বলেছেন, "প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন করে গ্রাফোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন যাতে করে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ ও মানসিক অবস্থা  শনাক্ত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কর্মচারী নিয়োগ এর ক্ষেত্রে হাতের লেখা বিশ্লেষণ  করে ব্যক্তিত্ব অনুধাবন করে নিয়োগ দিলে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে"।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা বাংলা হাতের লেখার উপর গবেষণা করা এবং দেশে গ্রাফোলজিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া  আরো জোরদার করার আহবান জানায়। অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হয়েছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে একাংশ পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এবং আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে প্রধান অতিথি ও আজকের ট্রেইনার কে ক্রেস্ট দ্বারা সম্মান জানানোর মাধ্যমে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সাইফুর রহমান সুইটের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার প্রতারণা ও জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ!


সাইফুল, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১০:৩৯
সাইফুর রহমান সুইটের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার প্রতারণা ও জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ!

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি সাইফুর রহমান সুইটের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে তার নেতৃত্বাধীন একটি সুপরিকল্পিত প্রতারক চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত সাইফুর রহমান সুইটের প্রকৃত নাম মীর হাবিবুর রহমান। তার পিতার নাম মীর আঃ শুকুর ও মাতার নাম মোসা হাসিনা বেগম। স্থায়ী ঠিকানা যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা, মীরপাড়া। এসএসসি রোল নম্বর ৫৮৮১৩৩, রেজি নম্বর ২৩০৮৭০, সেশন ১৯৯৫-৯৬, জন্ম তারিখ ৩১-০১-১৯৮০, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর বোর্ড। তদন্তে জানা যায়, সাইফুর রহমান সুইট দীর্ঘদিন ধরে পরিচয় গোপন করে নানা ছদ্মনামে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। নিজের নাম পরিবর্তন করে তৈরি করেছেন নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র (নং: ১৯৭৯২৬৯২৫১৬০২৪২৬৭) এবং পাসপোর্ট (নং: J0070312), যেখানে তার জন্মতারিখ দেখানো হয়েছে ০৫/১০/১৯৭৯। তার স্ত্রী পারভিন সুলতানা রোজির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সাজিয়া খাতুন।

প্রতারণার বিস্তৃত চিত্র: সাইফুর রহমান ও তার চক্র ভুয়া কোম্পানি, জাল দলিল ও ভূয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিবি। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাকে ১৩ তলা ভবনের মালিকানা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কিস্তিতে কয়েক কোটি টাকা নেওয়া হয়, কিন্তু পরে কোনো ভবন তো দেয়াই হয়নি বরং হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন থানায় সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।

ব্যাংক লোন জালিয়াতি: ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, মীর হাবিবুর রহমান সুইট ছদ্মনামে “মীর ট্রেডিং কর্পোরেশন” নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফারমাস ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) মাওনা শাখা থেকে ২০১৬ সালে ১৩ কোটি টাকা লোন নেন। তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ফারমাস ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল চিশতির সঙ্গে। তার স্ত্রীর নামে আইকন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠা করে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোন পাশ করান। ২০১৬ সালে লুব কেয়ার বিডি লিমিটেড নামে তিন জন পার্টনার শীপে একটি কোম্পানী করে, উক্ত কোম্পানীর ব্যাংক সিসি অ্যাকাউন্ট থেকে পার্টনারদের সইকৃত চেক চুরি করে নিয়ে ৬ কোটি টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় কোম্পানি করার সময় যে এনআইডি (NID) ব্যবহার করেছে তা সম্পূর্ণরূপে ভুয়া। এতে করে পার্টনার ও ব্যাংকের সাথে প্রতারণা করে।

২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাবুল চিশতির ছত্রছায়ায় একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ পাশ করিয়ে একটি বিশাল লোন বাণিজ্যের চক্র গড়ে তোলেন। এই ঋণ জালিয়াতির ফলেই ফারমাস ব্যাংক আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল বাবুল চিশতি গ্রেফতার হন। এরপর ডিবিসি নিউজে স্ক্রলিংয়ে সাইফুর রহমান সুইট ও তার পরিবারের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধের খবর প্রকাশ হলে, তিনি তেজগাঁওয়ের গুলশান লিংক রোডের “লুব কেয়ার বিডি লিঃ”-এর অফিস থেকে যাবতীয় কাগজপত্র সরিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান এবং পার্টনারদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সাইফুর রহমান সুইট তার নাম এবং স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া লোনের অর্থ মালয়েশিয়ায় পাচার করে সেখানে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় পলাতক রয়েছেন। এইসব প্রতারণার সাথে তার ছোট ভাই হাফিজুর রহমান (বাদল) জড়িত। অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় তারপরও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে সে পলাতক।

 পদ্মা ব্যাংকের দায়ের করা মামলার বিস্তারিতঃ
অর্থঋণ মোকদ্দমা নং: ০৩/২০২০ (গাজীপুর ঋণ আদালত-১)
আইকন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল-এর বিরুদ্ধে মোকদ্দমা নং: ৩১/২০২১
মোট ঋণ খেলাপির পরিমাণ: প্রায় ২৪ কোটি টাকা
ডিবি'র মন্তব্য: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার বলেন, সাইফুর রহমান একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা। আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। বহু মানুষ এই চক্রের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে।

এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সাইফুর রহমান সুইটকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, এই জালিয়াত চক্রের সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সিএন্ডএফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রয়ারি, ২০২৫, ০৯:০২
সিএন্ডএফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনীতির চাকা আরো বেশি সচল হয়। তাই কেউ যেন রাজস্ব ফাঁকি দিতে না পারে এজন্য সরকার সব সময় সচেষ্ট থাকে। এত সচেতনতা থাকার পরেও কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বার বার রাজস্ব ফাঁটির অভিযোগ উঠছে।

রাজস্ব ফকির এই বিষয়টি নিয়ে আজ বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩১ নং ইয়ার্ড কাঁচামালের তিনজন সিএনএফ সিন্ডিকেটের মাছ ও ফলের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষতিগ্রস্ত সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের (২য় তলায়) তোফাজ্জল হক মানিক মিয়া হলে সিএন্ডএফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ করেন "মেসার্স মা ট্রেডার্স, মের্সাস সাঈদ এক্সিম, এইচ এম কর্পোরেশন, নাজ এন্টারপ্রাইজ"।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নির্দিষ্ট কিছু সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) প্রতিষ্ঠান অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ব্যবসায়ীদের প্রতারণার শিকার করছে এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।

আমাদের প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আসাদ ও খোকন সিএন্ডএফ-এর মাধ্যমে ভারত থেকে মাছ আমদানি করে আসছে। তবে, তারা প্রতি কেজিতে ২৮ থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত ডিউটি আদায় করলেও কাস্টমস ওজন স্লিপের মাধ্যমে প্রতিটি গাড়িতে ৬-৮ টন পর্যন্ত ডিউটি ফাঁকি দিয়ে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি করছে।

২০২৩ সালে এই প্রতারণার প্রবণতা চরমে পৌঁছায়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা ইন্ডিয়া থেকে ১৮টি গাড়ি ছাড় করানোর পর প্রতারণার শিকার হই। আমাদের কোনো গাড়ির চালান যথাযথভাবে পাস করা হয়নি, বরং গাড়ি বন্দরে আটকে রেখে পাস করানোর জন্য ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা করে ঘুষ দাবি করা হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত ৭০,০০০-৮০,০০০ টাকা বিল চাপিয়ে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি আমরা রয়েল সিএন্ডএফ-এর মাধ্যমে একটি মাছের চালান আমদানি করি, যেখানে ব্যাংকের ডকুমেন্টের ভিত্তিতে ডিউটি বাবদ ৭,৬০,০০০ টাকা জমা দিই। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার পরও নানান অজুহাতে কাগজপত্র সম্পন্ন করতে বিলম্ব করা হয় এবং গাড়িগুলো ৭-৮ দিন বন্দরে আটকে রাখা হয়, যার ফলে আমাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

এছাড়া, রয়েল সিএন্ডএফ আমাদের ব্যবসায়িক পার্টনারদের সরাসরি যোগাযোগ করে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও প্রতারণামূলক।

আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যাতে ব্যবসায়ীরা তাদের পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য পায় এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা যায়।

আমরা সকল ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে এই প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স মা ট্রেডার্স, মের্সাস সাঈদ এক্সিম, এইচ এম কর্পোরেশন, নাজ এন্টারপ্রাইজ" এর স্বত্বাধিকারী সাইদ খান এবং মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমাদের ফ্রোজেন ফিস আমদানী/রপ্তানীতে “সিএন্ডএফ” সিন্ডিকেটের কারণে বিশেষ সমস্যা হওয়ায় আমাদের মাছ আমদানী ও রপ্তানী করতে কিছু সিন্ডিকেট আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, তার জন্য আমাদের ব্যবসা করতে অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়ে আপনাদের সহযোগীতা একান্তভাবে কামনা করছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ