a
জাহিদ সবুর
২০০৬ সালে স্বপ্ন পুরণের সাক্ষী হয়ে ধরা দেয় বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত সার্চইঞ্জিন হিসেবে পরিচিত গুগল। কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তব হয় ২০০৭ সালে যখন গুগলের সাথে প্রথম কাজ শুরু।২০০৭ সালে গুগলের ব্যাক অ্যান্ড সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ভারতের বেঙ্গালুরু অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এক বাঙালি যুবক, হ্যা নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন কার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন পটুয়াখালীর সন্তান জাহিদ সবুর।
বিশ্বে গুগলের লক্ষাধিক কর্মীর মধ্যে ২৫০ জন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত রয়েছেন। যাদের মধ্যে জাহিদ সবুর একজন গর্বিত বাঙালি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে মেধা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সেরাদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জাহিদ সবুর। যোগ্যতা থাকলে বাঙালিরা যে বহুদূর যেতে পারে তার উজ্জ্বল প্রমাণ জাহিদ সবুর। জাহিদ সবুরের পিতা পটুয়াখালীর বাসিন্দা ড. মো. শাহজাহান সৌদি আরবে কিং ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। যার ফলে জাহিদের শৈশব কাটে সৌদি আরবে। মা লুৎফুন্নেসা বেগম দেশে থাকার সময় পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন।
সৌদি আরব থেকে মাত্র সাত বছর বয়সে দেশে ফিরে ঢাকায় অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হন জাহিদ। সেই ছোটবেলা থেকে শুধু পড়ালেখার মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ করে রাখেননি জাহিদ সবুর। স্কুলের বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেওয়া, ব্যাডমিন্টন খেলা, বোনের সংগ্রহের বাংলা বই পড়া আর বন্ধুদের সঙ্গেও দারুণ সময় কাটাতে পছন্দ করতেন এই বিস্ময় বালক।
মাধ্যমিকের রেজেল্ট তেমন ভাল না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পূর্বেই উদ্যোক্তা হবার জেদ ছিল তার মনে প্রাণে, আর সেখান থেকেই শুরু তার পথ চলা। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক পাস করেন জাহিদ। পেয়েছেন প্রায় সব একাডেমিক সম্মাননা। জাহিদ সবুর দ্বিতীয় সেমিস্টার থেকেই ফুল স্কলারশিপে পড়ে ধারাবাহিকভাবে নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসেই কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আর সিস্টেম ডিজাইন এসবের হাতেখড়ি। কোনো কিছু সৃষ্টির যে অপার আনন্দ, তা পুরোপুরিই উপভোগ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং পুরস্কারও জিতেছেন।
পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে জিআরইও দিয়েছিলেন তিনি। আমেরিকার সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টিতে আবেদন করে চারটিতে ডাক পান ফুল ফান্ডিংসহ। কিন্তু সে মুহূর্তে গুগলে কাজ করার সুযোগ লুফে নেন এই তরুণ। তাই ঢুকে পড়েন বিশ্বের সকল মানুষের কাঙ্ক্ষিত এই কর্মক্ষেত্রে। তিনি গুগলে কাজ শুরু করেন তৃতীয় গ্রেডে। বর্তমানে তার অবস্থান অষ্টম গ্রেডে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ভারতে কাজ করেছেন তার ছয় মাস পর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের সদর দপ্তরে। এখন কাজ করছেন গুগলের জুরিখ দপ্তরে।
জাহিদ সবুরের সাফল্য থেকে বর্তমান তরুণরা শিক্ষা নিতে পারে, সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধার দরকার নেই বরং অধ্যবসায় আর পরিশ্রমই পারে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
ফাইল ছবি
৪ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো শুক্রবার মধ্য রাতের পর ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে আবারও সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করা ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠাতে না পারার কথা জানান অনেক ব্যবহারকারীরা। খবর ব্লুমবার্গের
এব কথা স্বীকার করে ফেসবুক সমস্যার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে। যদিও বৃহত্তর ক্ষেত্রে শুক্রবার পরিসেবায় কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি।
এর আগে সোমবার রাতে দীর্ঘক্ষণ, কোথাও কোথাও সাত ঘণ্টার কাছাকাছি বন্ধ ছিল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম পরিসেবা। এক সপ্তাহের চার দিনের মধ্যেই ফের সমস্যায় পড়লেন ব্যবহারকারী।
শুক্রবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে একটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, আমরা জানি কিছু ব্যবহারকারী আমাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন। যত দ্রুত পরিসেবা স্বাভাবিক করা যায়, তা চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। সমস্যার জন্য ক্ষমা চাইছি।
ফাইল ফটো
ভারতীয় যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ অবস্থায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ল বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। এতে পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ গুপ্তের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে এরই মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
জানা যায়, যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য সকালে মধ্য ভারতের একটি বিমানঘাঁটি থেকে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান উড়ছিল। উড়ার সময় সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে। ভারতের কোন বিমানঘাঁটিতে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, দুই মাস আগেও রাজস্থানের সুরতগড়ে একটি মিগ-২১ ফাইটার জেট ভেঙে পড়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে সেসময়ে প্রাণে বেঁচে যান প্রশিক্ষনরত পাইলট। ভারতীয় বিমানবাহিনী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে ভারতে ২৭টি এয়ারক্রাফ্ট দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এর মধ্যে ১৫টি ফাইটার জেট। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস