a ইসরায়েল ইরানে গোপন অভিযান চালিয়েছিল: বিদায়ী মোসাদপ্রধান
ঢাকা রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইসরায়েল ইরানে গোপন অভিযান চালিয়েছিল: বিদায়ী মোসাদপ্রধান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১২ জুন, ২০২১, ০৭:৫৪
ইসরায়েল ইরানে গোপন অভিযান চালিয়েছিল: বিদায়ী মোসাদপ্রধান

ফাইল ছবি । ইয়োসি কোহেন

দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কীভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন সেখানকার গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।

গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে সাংবাদিক ইলান ডায়ানকে ওই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। ওই ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে সম্প্রচার করা হয়।

সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক তথ্যও সামনে চলে এসেছে। কোহেন ৫ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন, ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল মোসাদের। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। অথচ এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন না এবং তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দা প্রধান এসব অপারেশন দেখছিলেন। এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’

তিনি দাবি করেন, ওই অপারেশনে অংশ নেওয়া সব এজেন্ট জীবিত ফিরে এসেছিলেন। তবে কয়েকজন এজেন্টকে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিবিসি জানায়, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ। কোনো রোমাঞ্চধর্মী গল্পের মতোই কোহেন তাড়ার মুখে এজেন্টদের সিন্দুক ভেঙে ইরানের পারমাণবিক তথ্য বের করে আনার এবং তা দেশের বাইরে পাঠানোর ঘটনা বর্ণনা করেন।

সাক্ষাৎকারে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন কোহেন। তবে ওই সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট হিসাব–নিকাশ করেই প্রচার করেছে ইসরায়েল। তাদের সামরিক বাহিনীর সেন্সরও পার হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সমঝোতা চুক্তি যখন নতুন করে জীবন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সে সময় সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো।

কোহেন তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘তিনি ইরানের ওই স্থাপনা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। এমনকি তিনি ওই স্থাপনার ঘূর্ণমান সেন্ট্রিফিউজের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন। ইরান যে সেলার ব্যবহার করে সেটা ঘূর্ণমান। এখন অবশ্য এ ধরনের সেলার ব্যবহৃত হয় না।’

সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেকে নিয়েও কথা বলেন কোহেন। গত বছরের নভেম্বরে তেহরানের বাইরে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দোষারোপ করে ইরান। ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় সেসময়ে ইসরায়েলের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি কোহেন। তবে তিনি বলেন, ওই বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন। কারণ, তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রজ্ঞা মোসাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হামাস ও রাশিয়া কাউকে জিততে দেবেননা বাইডেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩, ১১:৪৯
হামাস ও রাশিয়া কাউকে জিততে দেবেননা বাইডেন

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও রাশিয়া একই রকমের। উভয়ই প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু কাউকেই জিততে দেওয়া হবে না।

 ওয়াশিংটনের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাইডেন এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেল আবিব সফর করেন বাইডেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি এই ভাষণ দেন।

 বাইডেন বলেন, ‘একটি মহান জাতি হিসেবে আমরা হামাসের মতো সন্ত্রাসী এবং পুতিনের মতো একজন স্বৈরাচারী শাসককে জয়ী হতে দিতে পারি না, দেব না।’

ভাষণে বাইডেন আরও বলেন, হামাস ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বেড়ায়। তবে উভয়ের সাধারণ হুমকি হলো, প্রতিবেশীর গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়া।

ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে বড় ধরনের সহায়তা দেওয়ার কথাও জানান বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই দুই দেশের জন্য সহায়তা প্রস্তাব ছাড় দিতে কংগ্রেসকে বলবেন তিনি। বাইডেনের মতে, এই সহায়তা বৈশ্বিক নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ।

এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, এটা একটি স্মার্ট বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ প্রজন্মান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য লভ্যাংশ জুগিয়ে যাবে।  

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্বের বিষয়েও কথা বলেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার নেতৃত্ব বিশ্বকে একত্রিত করে।

আমেরিকান জোট আমাদের নিরাপদ রাখে। এই মূল্যবোধ অন্যান্য জাতিকে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমেরিকা এখনো বিশ্বের জন্য একটি আলোকবর্তিকা।’

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে ১০ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্রস্তাব ছাড় দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এই অর্থ ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে দেওয়া হবে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও। এ পরিস্থিতিতে পুরানো মিত্র ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানাতে দেশটি সফর করেন জো বাইডেন। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজ ফখরুল-আব্বাসের জামিন শুনানি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৪৫
আজ ফখরুল-আব্বাসের জামিন শুনানি

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ চারজনের জামিন আবেদনের শুনানি হবে আজ।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্য দুজন হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

গত ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পুলিশ রাজধানীর বাসা থেকে আটক করে। পরদিন আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ওইদিন নয়াপল্টন কার্যালয় দলটির সিনিয়র কয়েকজ নেতাসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়।

পরদিন ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে উত্তরার বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শাহজাহানপুরের বাসা থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। ডিবি গত শুক্রবার দুপুরে তাদের গ্রেফতার দেখায়। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক