a ইসরায়েল ইরানে গোপন অভিযান চালিয়েছিল: বিদায়ী মোসাদপ্রধান
ঢাকা শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩২, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ইসরায়েল ইরানে গোপন অভিযান চালিয়েছিল: বিদায়ী মোসাদপ্রধান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১২ জুন, ২০২১, ০৭:৫৪
ইসরায়েল ইরানে গোপন অভিযান চালিয়েছিল: বিদায়ী মোসাদপ্রধান

ফাইল ছবি । ইয়োসি কোহেন

দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কীভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন সেখানকার গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।

গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে সাংবাদিক ইলান ডায়ানকে ওই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। ওই ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে সম্প্রচার করা হয়।

সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক তথ্যও সামনে চলে এসেছে। কোহেন ৫ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন, ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল মোসাদের। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। অথচ এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন না এবং তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দা প্রধান এসব অপারেশন দেখছিলেন। এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’

তিনি দাবি করেন, ওই অপারেশনে অংশ নেওয়া সব এজেন্ট জীবিত ফিরে এসেছিলেন। তবে কয়েকজন এজেন্টকে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিবিসি জানায়, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ। কোনো রোমাঞ্চধর্মী গল্পের মতোই কোহেন তাড়ার মুখে এজেন্টদের সিন্দুক ভেঙে ইরানের পারমাণবিক তথ্য বের করে আনার এবং তা দেশের বাইরে পাঠানোর ঘটনা বর্ণনা করেন।

সাক্ষাৎকারে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন কোহেন। তবে ওই সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট হিসাব–নিকাশ করেই প্রচার করেছে ইসরায়েল। তাদের সামরিক বাহিনীর সেন্সরও পার হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সমঝোতা চুক্তি যখন নতুন করে জীবন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সে সময় সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো।

কোহেন তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘তিনি ইরানের ওই স্থাপনা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। এমনকি তিনি ওই স্থাপনার ঘূর্ণমান সেন্ট্রিফিউজের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন। ইরান যে সেলার ব্যবহার করে সেটা ঘূর্ণমান। এখন অবশ্য এ ধরনের সেলার ব্যবহৃত হয় না।’

সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেকে নিয়েও কথা বলেন কোহেন। গত বছরের নভেম্বরে তেহরানের বাইরে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দোষারোপ করে ইরান। ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় সেসময়ে ইসরায়েলের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি কোহেন। তবে তিনি বলেন, ওই বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন। কারণ, তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রজ্ঞা মোসাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চীনের নতুন সুর, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৩৯
চীনের নতুন সুর, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই

ফাইল ছবি

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ করেছেন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বাইডেন এবং শি জিনপিং সোমবার ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছে দুই নেতা সাক্ষাৎ ও করমর্দন করেন। খবর আনাদোলুর।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা চীনের নেই। চীন চায় তার স্বাধীনতায় কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করে।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। এ সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বনেতারা বালিতে সমবেত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শির সঙ্গে বাইডেনের এটিই প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। যদিও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন শপথ গ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে পাঁচবার ফোনে বা ভিডিওকলে কথা হয়েছে।

তাদের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল, বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এবং বাইডেন সেসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের সামনে বক্তৃতা দেন বাইডেন। সেখানে তিনি চীনের সঙ্গে ব্যক্তিগত এবং সরকারি উভয় পর্যায়ে যোগাযোগের রাস্তা সবসময় খোলা রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় শি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে বাইডেনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সাকিব-তামিম সম্পর্কের সেকাল-একাল


ক্রীড়া ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৯:১১
সাকিব-তামিম সম্পর্কের সেকাল-একাল

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমানে সফল দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। সাকিব দেশ সেরা অলরাউন্ডার তবে এতে তিনি সীমাবদ্ধ থাকেনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। অন্যদিকে রানের বিচারে তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার। বর্তমানে তারা দুই জন তিন ফরম্যাটে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সাকিব টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ফরম্যাটে এবং তামিম ইকবাল ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করছেন।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের চেয়ে সাকিব ছয় মাসে এগিয়ে। সাকিবের অভিষেক ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট, তামিমের ২০০৭ এর ৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর তারা দ্রুত বাংলাদেশের পোস্টারবয় হয়ে ওঠেন পারফরম্যান্স দিয়ে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে একসঙ্গে থাকায় তাদের বোঝাপড়া দারুণ হয়। সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সাকিব ও তামিম সময়ের সঙ্গে হয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। একসময়ে সাকিব-তামিমকে বলা হত মানিকজোড়। দুজনের বন্ধুত্বের খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে সবখানেই। তবে সামপ্রতিক সময়ে যা আর নজরে আসে না। জানা গেল তারা নাকি একে অপরের সঙ্গে এখন কথাই বলে না!

এদিকে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজের তামিম-সাকিব দুই জনই রয়েছে দলে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সফরেও চলে এসেছে ইংল্যান্ড দল। মার্চের প্রথম দিনই মাঠে গড়াবে খেলা। তার আগেই সাকিব-তামিমের সম্পর্কের ফাটল ধরার ব্যাপারটি আসলো প্রকাশ্যে। তবে এর থেকেও বড় সমস্যা জাতীয় দলে নাকি চলছে গ্রুপিংও যা কিনা জানালেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে তামিম-সাকিবের সম্পর্কের ফাটলের কথা এতদিন ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু খোলাখুলিভাবে কেউ তা প্রকাশ করেনি। সম্প্রতি ক্রিকবাজের সঙ্গে জাতীয় দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। এসময় বিসিবি বস বলেন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়! তিনি বলেন, ‘এটি একটি স্বাস্থ্যকর ড্রেসিং রুম নয়, এটি আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি। এই ব্যাপারটা (সাকিব ও তামিমের মধ্যে ফাটল), এটা এমন নয় যে, আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি তাদের উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি অনুভব করেছি যে এই মুহূর্তে সমস্যাগুলো (তাদের মধ্যে) নিষ্পত্তি করা সহজ নয়। এই আমার পর্যবেক্ষণ।’

এসময় বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন সাকিব-তামিমের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা খুব ভালোই জানতেন সাবেক হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেও পারেননি দুজনের সম্পর্কটাকে স্বাভাবিক করতে। তবে মাঠের বাইরে সাকিব-তামিমের যেই সম্পর্কই হোক তা যেন আসন্ন সিরিজে সমস্যা না করে এটাই চাওয়া বিসিবি সভাপতির। এ নিয়ে তাদের দুই জনকে কড়া বার্তাও দিয়েছে বিসিবি বস। তিনি বলেন, ‘তাদের উভয়কে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে - আমরা জানি না আপনাদের মধ্যে কী চলছে, তবে আপনারা যে ম্যাচে বা সিরিজ খেলছেন, সেখানে এই সমস্যাগুলো সামনে আসতে পারে না। তারা দুজনেই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এটি খেলার সময় থাকবে না।’ তবে আসন্ন সিরিজে সাকিব-তামিমের সম্পর্ক পরিবর্তন করতে চান পাপন। বলেন, ‘তাদের (সাকিব ও তামিম) মাঠে এবং ড্রেসিংরুমেও কথা বলতে হবে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খারাপ ছিল তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সিরিজ থেকে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ) আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে এটি (তাদের সম্পর্ক) পরিবর্তন করতে চাই। তারা বাইরে যা করে তা আমার জন্য চিন্তার বিষয় নয়।’

এদিকে শুধু সাকিব-তামিম সম্পর্কই নয়, দলে গ্রুপিং হয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি বস। তার মতে এটিই বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা এই গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর অন্য কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধুমাত্র এই গ্রুপিং সম্পর্কে ভীত এবং আমি কিছুদিন আগে এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপেও ওদের হোটেলে না থাকার পরও যা দেখেছি শুনেছি বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কীভাবে সম্ভব! সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে আমাদের এর অবসান ঘটাতে হবে কারণ একটা জিনিস সবারই বোঝা দরকার তা হল গ্রুপিং করার সুযোগ নেই।’ সূত্র: স্পোর্টস রিপোর্ট, ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক