a
ফাইল ছবি
ভারতের জম্মু বিমানবন্দরের বিমানবাহিনী স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এতে ২ জন আহত হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে আজ রবিবার এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।
জম্মু বিমানবন্দরের রানওয়ে ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভারতীয় বিমানবাহিনী অধীনে রয়েছে। সেখান থেকে যাত্রীবাহী বিমানও চলাচল করে। সেই জায়গায় প্রযুক্তি বিভাগের কাছে রবিবার রাতে বিস্ফোরণ দু’টি ঘটে। রাত ১টা ৩৭ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণটি একটি ভবনের ছাদে ঘটে এবং দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে খোলা জায়গায় রাত ১টা ৪২ মিনিটে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ততটা তীব্র না হলেও, দু’কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটাতে ৪ কেজি ৭০০ গ্রাম মতো আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ছুড়ে এই হামলা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।
বিস্ফোরণে দু’টি বারাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিমানবাহিনীর কোনও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফরেনসিক দল এবং বোম্ব স্কোয়াড। এই ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
ফাইল ছবি । তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলোভ
মার্কিন জোটের পর এবার আফগানিস্তানে বেপরোয়া হয়ে উঠা তালেবানদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
আফগানিস্তানের নতুন নতুন এলাকা দখলকারী তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসা জরুরি হয়ে পড়েছে মনে করছে রাশিয়া। খবর তাসের।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। যদিও এখন পর্যন্ত রাশিয়া তলেবানকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবেই মনে করে।
পেসকভ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানে যা কিছু ঘটছে বিশেষ করে আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তালেবানের সঙ্গে সংলাপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
তবে তালেবান গোটা আফগানিস্তান দখল করে ফেললে মস্কো সম্ভাব্য তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর পরিস্কারভাবে দেননি পেসকভ।
দিমিত্রি পেসকভ এমন সময় তালেবানের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বললেন, যখন তালেবানের একটি প্রতিনিধিদল মস্কো সফর করছে।
তাজিকিস্তানসহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর চলমান গোলযোগ নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ দূর করতে তালেবানের একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধিদল মস্কো সফরে গেছে।
তালেবান হামলার জের ধরে আফগানিস্তানের শত শত সীমান্তরক্ষী ও সাধারণ নাগরিক এরইমধ্যে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মস্কোয় তালেবান প্রতিনিধিদল রাশিয়ার আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলোভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ওই সাক্ষাতে তালেবান রাশিয়াকে এই নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সীমান্তে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করবে না।
জাখারোভা শুক্রবার মস্কোয় বলেন, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র তাজিকিস্তানেরর সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়া সফরকারী তালেবান কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন দেলোয়ার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তারা কোনো অবস্থায় আফগান ভূমিতে আইএসের মতো উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে তৎপরতা চালাতে দেবেন না।
তিনি বলেন, কোনো প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে আফগান ভূমি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।তিনি আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা তালেবানের দখলে রয়েছে বলেও দাবি করেন।
তবে তালেবানের এই দাবি আফগান সরকার মেনে নেয়নি। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বুধবার ৮০টি জেলা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।
ফাইল ছবি
রাশিয়া জার্মানিতে গ্যাস সরবারার বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জার্মানি। সরকারের একজন প্রতিনিধি জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাশিয়া জার্মানিতে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের গ্যাস সরবাহ বন্ধ করে দিতে পারে।
জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক এজেন্সির প্রধান ক্লাউস ম্যুলার দেশটির ফুংকে মিডিয়া গ্রুপের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এমন হতে পারে যে, রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে গ্যাসের সরবাহ বন্ধ করে দিতে পারে। তার সন্দেহ, গ্যাস লাইনটিকে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যে ১১ দিন সময় প্রয়োজন তা দীর্ঘায়িত করতে পারে রাশিয়া। আর তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া যদি গ্যাস সরবারাহ কমিয়ে দেয় তাহলে আমাদেরকে বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে এবং গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।'' উল্লেখ্য, ইউক্রেনে হামলান পর ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বেশ কযেকটি দেশে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জবাবেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।
ম্যুলার ইতোমধ্যেই গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে জার্মানির বাসিন্দাদের মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির বাসিন্দাদের সম্ভাব্য এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে শীতকাল শুরুর ১২ সপ্তাহ আগে থেকেই অর্থাৎ এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তার মতে, গ্যাস বয়লার এবং হিটারগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী কি না তা জরুরিভিত্তিতে যাচাই করা প্রয়োজন। এর ফলে গ্যাসের ব্যবহার ১০ থেকে ১৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করে দিলে শুধু জার্মানিতে গ্যাসের উপরই চাপ পড়বে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি তেলের সংকট হবে না।
তাছাড়া এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে জার্মানিতে কোনো গ্যাস থাকবে না বিষয়টি এমন নয়। এ সময় তিনি নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়েকে জার্মানির গ্যাসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে মন্তব্য করেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে/বিডি প্রতিদিন।