a
ফাইল ছবি
যুক্তরাজ্যে গত তিন দিনে ৩ বাংলাদেশি খুনের ঘটনায় কমিউনিটিতে বিরাজ করছে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার বাংলাদেশির কমিউনিটির লোকজন। যুক্তরাজ্যে ৩ বাংলাদেশি নিহত, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক সোয়েব কবীর। দেশে ফেরা হলোনা ২০ বছর পর স্থায়ী হওয়া বাংলাদেশি শেফ সেলিম উদ্দিনের।
ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ব্রিটেনে এসে প্রাণ গেল পঞ্চগড়ের ফাহাদ হোসেনের। আর রহস্যজনকভাবে মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হন ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে একদিনের ব্যবধানে তিন বাংলাদেশি খুন হয়েছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার স্কটল্যান্ডে রেস্তোরাঁর শেফ সেলিম উদ্দিন, ১৮ সেপ্টেম্বর ব্রিস্টলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন ও লন্ডনে ২৮ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার খুন হন। এসব ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তিন বাংলাদেশি খুনের ঘটনার মধ্যে স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার রহস্যজনক মৃত্যুতে কমিউনিটিতে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। খুনের এখনো কোন কূলকিনারা করতে পারেনি লন্ডন পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দাওরাই গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে সাউথ ইস্ট লন্ডনের কিডব্রুক এলাকার ক্যাটর পার্কে একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে সাবিনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে তার লাশ শনাক্ত হয় সোমবার বিকালে। তিনি লুইশাম রাশিগ্রিন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত খুনি সন্দেহে ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবিনার মৃত্যুর ঘটনায় কমিউনিটিতে বেশ উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনায় বাঁকরুদ্ধ সাবিনার পরিবার। কমিউনিটি নেতারাও স্বোচ্ছার হচ্ছেন এই ঘটনায়। কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের বলেন, সামিনার নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেশ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় তার পুরোপুরি বিপর্যস্ত। তিনি ছিল খুবই মেধাবী ও পরোপকারী। সবাই তার জন্য আফসোস করছেন। মানবাধিকার কর্মী আ.স.ম মাসুম, এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা আন্দোলন করে প্রতিবাদ জানাব।
কথা কাটাকাটির জের ধরে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে নিহত স্কটল্যান্ডে রেস্টুরেন্টের শেফ ৩৬ বছর বয়সী সেলিম উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামে। ব্রিস্টলে খুন হওয়া ফাহাদ হোসেন ব্যারিস্টারি পড়তে আসেন লন্ডনে। পঞ্চগড়ের পুর্বাজালাসি এলাকার নাজমুল প্রামানিকের একমাত্র ছেলে ফাহাদ বাংলাদেশে ভূইয়া একাডেমিতে পড়াশুনা করছিলেন।
ফাইল ছবি
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখনেতা হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ভারতে ড্রোন বিক্রি আটকে দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়্যার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ৩১ জানুয়ারি দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তাবিত ড্রোনগুলোর মধ্যে ছিল ১৫টি সি গার্ডিয়ান এবং ১৬টি স্কাই গার্ডিয়ান। ভারতের নৌ, সেনা এবং বিমানবাহিনী এই ড্রোন গুলো নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এসব সরঞ্জাবগুলো কেনার কথা ছিল, যার আর্থিক মূল্য তিন বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে এই ড্রোন কেনার চুক্তি করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারত রাষ্ট্রীয় এজেন্টের সহযোগিতায় হত্যার চেষ্টা করছে মর্মে অভিযোগ করে মার্কিন এবং কানাডীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলো।
পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। এই খবরে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ ভারতের ওপর এখনো ক্ষুব্ধ। অস্ত্র বিক্রি বন্ধের বিষয়ে তারাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তারা এই ঘটনার অর্থপূর্ণ তদন্ত চান।
ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—শুধু ড্রোন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য বিমান কেনারও কথা ছিল ভারতের। ছোট-বড় সবগুলো চুক্তির বাস্তবায়নই থেমে গেল। সূত্র: বাংলা নিউজ২৪
ফাইল ছবি
প্রথম আলোর অনুসন্ধানী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দেশের ১১ বিশিষ্ট নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে উক্ত ঘটনা তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এই দাবি জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তাঁরা বলেন, আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তাও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একই সাথে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতার মাধ্যমে সরকার উপকৃত হয়েছেন।
উল্লেখ্য গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিনা অনুমতিতে সরকারি কাগজ পত্রের ছবি তোলা এবং কিছু কাগজপত্র চুরি করার অভিযোগর ভিত্তিতে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় উক্ত মামলায় আজ পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে আদালতে প্রেরণ করেন।