a
ফাইল ছবি
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে তা আর হচ্ছে না। ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এ তথ্য জানান। এ সময় করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দীপু মনি।
এর আগে গত বুধবার (২৪ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন যে, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেদিন খোলা সম্ভব নয়। শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন খুলছে না।
মো. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সাথে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি ভাল থাকলে আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সংস্কার জোট। ৮ দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করা, সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা, বিচারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনের ৩ মাস পূর্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য আগের সকল নিয়ম বাদ দিয়ে সকলের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ উন্মুক্ত করা।
২১ জুন, শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সংস্কার জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানান। ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সরকারকে অবিলম্বে আমাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। তা নাহলে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব.), সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জনতার দল বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসাআ আমিন, জনতার পার্টি বাংলাদেশ এর মহাসচিব শওকত মাহমুদ, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু, জাতীয় সংস্কার জোটের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, নির্বাহী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নূরসহ জাতীয় সংস্কার জোটের ৫টি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিকী ছবি
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নে এক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ১২ বছরের পঞ্চম শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিকসহ আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের মজিদ ঢালী কান্দি এলাকার আজাহার মোল্লার ছেলে মোঃ সাইদুর রহমান মোল্লা (২৬) ও তার সহযোগী লতিফ ঢালীর ছেলে শরীফ ঢালী (২৭)। অপর আসামি শুকুর মাদবরের ছেলে কাশেম মাদবরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মামলাসূত্রে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাইদুর রহমান মোল্লার সাথে ঐ ছাত্রীর আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ঈদুল ফিতরের দিন শুক্রবার (১৪ মে) বিকেলে প্রেমিক সাইদুর রহমান ও তার বন্ধু শরীফ ঢালী ঐ ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কৌশলের স্থানীয় কাশেম মাদবরের বাড়িতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে প্রেমিক সাইদুর রহমান। পরে বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি সব বলে দিলে জাজিরা থানায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত (১৭ মে) জাজিরা থানা পুলিশ সাইদুর রহমান ও শরীফ ঢালীকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মাহফুজুর রহমান বলেন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।