a
ফাইল ফটো:
গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদানের প্রচারাভিযান শুরু হওয়ার পর এপর্যন্ত মোট ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩ শ’ ২৪ জন নিবন্ধন করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএইচএস) সূত্র জানায়, সোমবার (১ মার্চ) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করোনা টিকা গ্রহণে ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৪ জন নিবন্ধন করেছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা গ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫২৫ জন। টিকা প্রাপকদের মধ্যে ২০ লাখ ১২ হাজার ১৮১ জন পুরুষ এবং ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৪ জন নারী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জনসাধারণের মাঝে ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা করোনার টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন।
ডিজিএইচএস জানায়, ঢাকা শহরের ৫০টি হাসপাতাল এবং রাজধানীর বাইরে ১০০৫টি হাসপাতালে সপ্তাহের শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়।
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান কিছু হাসপাতাল সারাদিন টিকা দান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। জনসাধারণকে করোনা টিকা পেতে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে (www.surokkha.gov.bd) গিয়ে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
টিকা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য জরুরি হটলাইন নম্বর হল ১৬২৬৩, ৩৩৩ এবং ১০৬৫৫।
সূত্র. বাসস
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সংস্কার জোট। ৮ দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করা, সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা, বিচারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনের ৩ মাস পূর্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য আগের সকল নিয়ম বাদ দিয়ে সকলের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ উন্মুক্ত করা।
২১ জুন, শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সংস্কার জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানান। ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সরকারকে অবিলম্বে আমাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। তা নাহলে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব.), সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জনতার দল বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসাআ আমিন, জনতার পার্টি বাংলাদেশ এর মহাসচিব শওকত মাহমুদ, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু, জাতীয় সংস্কার জোটের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, নির্বাহী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নূরসহ জাতীয় সংস্কার জোটের ৫টি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
সংগৃহীত ছবি
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তান। এতে পাকিস্তানে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক লোক। এছাড়া বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা একনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৬।
মঙ্গলবার (২১ মার্চের) রাতের ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালার মাটির ১৮০ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের পাশাপাশি তাজিকিস্তানেও ভূমিকম্পের ‘প্রভাব’ পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানে ভূপর্যবেক্ষণ সংস্থা। রাজধানী ইসলামাবাদসহ লাহোর, কোয়েটা, পেশোয়ারের মতো পাক শহরে বুধবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের নাগরিকেরা।
এদিকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেও ভূমিকম্প হয়। রাজধানী দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাসহ জম্মু-কাশ্মির, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন স্থায়ী হয়েছিল ৪০-৫০ সেকেন্ড। বিশেজ্ঞদের মতে, পরবর্তীতে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। সূত্র : আল জাজিরা।