a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি অনন্য মাইলফলক। এদিন পূর্ণতা পায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ বছর জাতির পিতার ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’র ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী।
একই দিন ১০ জানুয়ারি বিজয়ের দেশে, বিজয়ীর বেশে, স্বপ্নের সোনার বাংলার মাটিতে পা রাখেন জাতির জনক। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’।
সেই থেকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে আসছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
এরই ধারাবহিকতায় আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পুষ্পার্পণের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন তার বক্তব্যে জানান, "বাংলাদেশের বিজয়ের পরিপূর্ণতা এসেছে ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তনের পর। এই দিনটি বাংলার সবচেয়ে আনন্দের দিন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্মান, সতের হাজার ছাত্রলীগ কর্মী তথা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাস যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জিত হলেও, বিজয়ের পরিপূর্ণতা আসে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। বাঙালি জাতির গর্ব অহংকারের মূল কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধু প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিরন্তর এগিয়ে যাবে। আজকের এই আনন্দের দিনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে শাণিত করে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।"
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- আমরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপনকালে বর্তমানের অনির্বাচিত সরকার যেভাবে মোদির আগমন বিরোধী প্রতিবাদকে সরকারের মদদপুষ্ট তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাষ্ট্রিয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যা করছে তা সন্ত্রাসের সামিল। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটাহাজারী ও বি-বাড়িয়ায় ৯ জন নিহত হয়েছে।
যেভাবে মসজিদে ও মাদ্রাসায় ঢুকে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তারও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শত শত শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। গত কয়েক দিনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গত দু’দিনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করছি।
সরকারী আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সুস্থ্য বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ভাল লোক আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ও দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধানের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন যাতে আইনানুগ পদক্ষেপ ভুলুন্ঠিত না হয় এবং যাতে জাতীর মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত হয়।
ফাইল ছবি
আঙুলের পুরনো ব্যথা ফিরে আসায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলেননি সাকিব আল হাসান। তবে প্রেসিডেন্টস বক্সে বসে খেলা দেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথাও বলেছেন সাকিব। পাপন বলেন, আজ সাকিব আমাকে বলছে যে এবারের বিশ্বকাপে আমাদের জন্য ভালো সুযোগ আছে। সাকিবের মতো খেলোয়াড় যখন বলে এবার ভালো সুযোগ আছে তার মানে দলের ওপরও তার আত্মবিশ্বাস আছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় অবশ্য আক্ষেপও ঝরেছে পাপনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা তা ঠিকঠাক মতো হয়নি। এটা নিয়েও সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আসলে দেড় বছর ধরে আমাদের মাথায় থাকা পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে গেছে। অনেক দেশ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তারপরও যতটুকু করতে পেরেছি আমি মনে করি, সেটা ভালোভাবে করেছি।
এদিকে, বাংলাদেশের পোস্টারবয়কে এখন টি-টেয়েন্টিতে মালিঙ্গার সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ছুঁতে অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন। তার আগে ৪ অক্টোবর দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
প্রথম রাউন্ডে টাইগারদের প্রথম প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুই দল স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। প্রথম রাউন্ডে সেরা দুই দলের মধ্যে থাকলে বাংলাদেশ পাবে সুপার-১২’র টিকিট। পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারলেও আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। টানা তিন সিরিজ জয় দলকে আত্মবিশ্বাস দেবে বলেই মনে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, সবশেষ তিন সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। টানা তিনটি সিরিজ জিতেছি। দলের জন্য অবশ্যই এটা ভালো হয়েছে। আশা করছি, এই জয়গুলো থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপে কাজে দেবে।