a বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জবি ছাত্রলীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ
ঢাকা সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জবি ছাত্রলীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ


মাহাদী সিয়াম, প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৫৩
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জবি ছাত্রলীগের পুষ্পস্তবক অর্পণ

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি অনন্য মাইলফলক। এদিন পূর্ণতা পায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ বছর জাতির পিতার ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’র ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী।

একই দিন ১০ জানুয়ারি বিজয়ের দেশে, বিজয়ীর বেশে, স্বপ্নের সোনার বাংলার মাটিতে পা রাখেন জাতির জনক। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’।

সেই থেকে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে আসছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

এরই ধারাবহিকতায় আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

পুষ্পার্পণের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন তার বক্তব্যে জানান, "বাংলাদেশের বিজয়ের পরিপূর্ণতা এসেছে ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তনের পর। এই দিনটি বাংলার সবচেয়ে আনন্দের দিন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্মান, সতের হাজার ছাত্রলীগ কর্মী তথা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাস যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় অর্জিত হলেও, বিজয়ের পরিপূর্ণতা আসে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে। বাঙালি জাতির গর্ব অহংকারের মূল কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গবন্ধু প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিরন্তর এগিয়ে যাবে। আজকের এই আনন্দের দিনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে শাণিত করে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।"

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সংস্কার বিহীন নির্বাচন, গণতন্ত্র যাবে নির্বাসন: বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৪৩
সংস্কার বিহীন নির্বাচন, গণতন্ত্র যাবে নির্বাসন: বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  এখনি সময় সংস্কার পন্থি সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগণকে একই ছাতার নিচে একত্রিত করে সংস্কার তথা পরিকল্পিত সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্তু, সুপ্রতিষ্ঠিত করে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে অগ্রণী ভূমিকা রাখা। "সংস্কার বিহীন নির্বাচন, গণতন্ত্র যাবে নির্বাসন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।  

বাংলাদেশ সংস্কার পার্টির উদ্যোগে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ, সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে, (তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল, ২য় তলায়) আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ডঃ দিলারা চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেঃ জেনারেল আমিনুল করিম (অব) বিশিষ্ট অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল (BUP) ঢাকা। উক্ত আলোচনা আনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব), নির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি এবং আহ্বায়ক, জাতীয় সংস্কার জোট।

উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব, রাজনিতীবিদ, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি, সামাজিক সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সামরিক ও বেসামরিক অবসরপ্রাপ্ত/সাবেক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রচিন্তক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরের বিজয়ের পর থেকে ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশর রাজনৈতিক, বৈশ্বিক সম্পর্ক, অর্থনীতি ও দেশ পরিচালনার সাফল্য ও ব্যর্থতার কথা আমারা সবাই জানি। ৫ আগষ্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবী বিজয়ের পর রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন না গণতন্ত্র! কতটুকু উন্নয়ন, কতটুকু গণতন্ত্র, উন্নয়ন আগে না গণতন্ত্র আগে? এ বিতর্ক আমরা স্বৈরতন্ত্রের কৌশল হিসেবে ৫ আগষ্টের পূর্ব পর্যন্ত শুনেছি।

৫ আগষ্টের পর শুনছি সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন আগে? কতটুকু সংস্কার আর কবে নির্বাচন? ইত্যাদি বহুমুখী আলোচনায় আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও বিজয়ের নায়কদের আত্মদান ও শহীদের রক্তের অবদান কি ভুলতে বসেছি? ক্ষমতার মোহে আর আন্দোলনের কৃতিত্ব ভাগাভাগি করতে গিয়ে আমরা কি সংস্কার ও বিজয়ের ফসল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা ভুলতে বসেছি? আমরা কি পুনরায় আমরা আবার অন্ধকেরের দিকে ধাপিত হচ্ছি। এসব বিষয় নিয়েই হবে, আজকের আলোচনা।

বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি মনে করে - "সংস্কার বিহীন নির্বাচন, গণতন্ত্র যাবে নির্বাসন"। সংস্কার কি ও কেন? কে করবে সংস্কার? কত দিন হবে এর ব্যাপ্তি? কি হবে নেতৃত্বের গঠন এবং কর্মপন্থা সবই নির্ধারিত হবে, প্রকৃতি গণতান্ত্রিক পন্থায় আলোচনার মাধ্যমে।

আসুন দেশের কথা ভাবি। ভবিষ্যৎ পজন্মের জন্য রেখে যাই এক অভূত পূর্ব "নতুন বাংলাদেশ"। প্রস্তাবিত এই প্রকৃত সংস্কার আন্দোলনে আপনি ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকলকে সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্ত মুক্ত করতে কাজ করতে হবে- ড. বদিউল আলম মজুমদার


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫, ১২:১৩
রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্ত মুক্ত করতে কাজ করতে হবে- ড. বদিউল আলম মজুমদার

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি:  দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ (সিপিএস) এবং ইউনিভার্সিটি স্টাডি ফোরাম (ইউএসএফ)- এর যৌথ উদ্যোগে ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, বিকালে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. এম আবদুল আজিজ এর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সুজন’র সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আমিন ব্যাপারী, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ফজলে ইলাহি। 
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্ত মুক্ত করতে কাজ করতে হবে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী না করলে টাকার খেলায় দুরুহ সমস্যা তৈরি হয়। ব্যবসা রাজনীতিতে পরিণত হলে আর রাজনীতি ব্যবসায় পরিণত হলে দেশ-জাতি এগিবে না। পদ্ধতিগত ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে একজনই দলীয় প্রধান ও আইনসভার প্রধান থাকায় সে দানব হয়ে ওঠে।

এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সফি উল্লাহ, রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান কর্নেল আব্দুল হক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রাক্তন গবেষণা পরিচালক কর্নেল (অব.) জেড আর এম আশরাফ উদ্দিন, ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মিরাজ মিয়া এবং সিটিজেন ইনিশিয়েটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. তালহা।

আলোচকরা বলেন, কেন সচিবালয়কে এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত করা যায়নি?  কেন জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য একটি সমন্বিত ও কার্যকর রোডম্যাপ দেয়া হয়নি?  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার করতে হবে। ফ্যাসিবাদ আমলে ঘটে যাওয়া গুম, খুন ও গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। 
দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অবদানকে স্বীকার করতে হবে। রাজনীতিবীদদের সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। সংবিধান সংস্কার এমনভাবে হতে হবে যাতে দুইবারের বেশি মেয়াদে একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে এবং আত্মীয়রা ক্ষমতায় আসতে না পারে। নির্বাচনী বিধি সংস্কার করতে হবে। যাচাই-বাছাই করে নিষ্ক্রিয় দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। যারা অঞ্চল ভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় তাদের সুযোগ করে দিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন দেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গবেষক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - রাজনীতি