a
ফাইল ছবি
গৃহকর্মী নির্যাতন ও মাদকদ্রব্য আইনে করা পৃথক দুই মামলায় চিত্রনায়িকা একার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার (১ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত শুনানি শেষে নায়িকা একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শনিবার (৩১ জুলাই) গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী একাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে তাকে আটক করার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় নেওয়া হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন। তিনি জানান, ‘গৃহকর্মী হাজেরা বেগমকে (৩০) নির্যাতনের অভিযোগে চিত্রনায়িকা একাকে আটকের সময় রামপুরার বন্ধুনিবাসে অবস্থিত তার বাসা থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একার বিরুদ্ধে মাদক ও গৃহকর্মী নির্যাতন আইনে দু’টি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
এর আগে, নায়িকা একা তার গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন বলে ৯৯৯-এ অভিযোগ যায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ তাকে বাসা থেকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়। সেখানে বেশকিছু সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর একাকে আটক করে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর নায়িকা একার বাসার গৃহকর্মী হাজেরা বেগমকে (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাজেরা বেগম থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ‘রঙিন রাখাল রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা একার। তিনি ১৯৯৯ সালে কাজী হায়াতের ‘ধর’ ও ‘তেজি’ সিনেমা দু’টির মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। দুটিতেই তার নায়ক ছিলেন প্রয়াত মান্না।
এরপর রুবেল, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো ও অমিত হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধেও সফলতা পান একা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তাকে ‘বাহাদুর সন্তান’ সিনেমায় দেখা গেছে। এরপর অনেক দিন ধরে নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি নায়িকা একাকে।
সংগৃহীত ছবি
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ তারকাদের মধ্যে একজন শাকিব খান। এছাড়া চলচ্চিত্রের অভিনেতা ছাড়াও প্রযোজক, গায়ক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব তিনি। আজ ২৮ মার্চ (রোববার) বিশেষ এই দিনটিতে জন্ম তাঁর। ৪১ বসন্ত অতিক্রম করে ৪২-এ পদার্পণ করলেন এই নায়ক। বিশেষ দিনটি উদযাপন করলেন‘অন্তরাত্মা’সিনেমার শুটিং সেটে।
পাবনার এক বিলাসবহুল রিসোর্টে শুটিং করছেন শাকিব খান। জন্মদিনে নায়ককে চমকে দিতে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল দুটি হাতি। তারা শাকিবের মাথায় শুঁর বুলিয়ে দেয়।
এছাড়াও ঢাক বাজানোর সঙ্গে কেক কাটেন শাকিব খান। আকাশে উড়ানো হয় ফানুস। পুরো আয়োজনটি করেছেন‘অন্তরাত্মা’র সিনেমার প্রযোজক সোহানী হোসেন।
সোহানী হোসেনের এমন আয়োজনে শাকিব খান চমকে যান। প্রযোজকের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জন্মদিন উদযাপনের পুরো মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করা হয়। সেটি শাকিব খানের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পায়।
শাকিব খানের জন্ম গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ। তার পারিবারিক নাম মাসুদ রানা। বাবা আব্দুর রব ছিলেন সরকারি কর্মচারী। বাবার চাকরির সূত্রেই শাকিব খানের শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জে।
শাকিব খান এক দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক। চিত্রনায়ক মান্নার পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের হাল ধরেন তিনি। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ চলচ্চিত্র দিয়ে ১৯৯৯ সালে ঢালিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন শাকিব খান। যদিও শাকিব খান আফতাব খান টুলু পরিচালিত ‘সবাইতো সুখী হতে চায়’ সিনেমা দিয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।
ফাইল ছবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা তিনটি বাস ও একটি অফিস ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পালিয়ে যায় তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উপজেলায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার ড্রিম লাইন বাসগুলো বসুরহাট নতুন বাস স্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখে বাস মালিক সমিতি। রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বাসস্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস, কার্যালয় ভাঙচুর করে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ অভিযোগ করেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমার তিনটি বাস ও অফিস ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে অপরিচিত ব্যক্তি রিসিভ করে জানায় স্যার বিশ্রামে আছেন। কথা বলতে চাইলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাজিম উদ্দিন মিকনের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুরসহ কোম্পানীগঞ্জের সব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজ এর সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থিত ২০-২৫ জন মির্জা বিরোধী শ্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেটে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।