a
ফাইল ছবি
হরমুজ প্রণালি ও ওমান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরান ও ওমান। দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে এই নিয়ে ৯ বার যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হল।
ইরান ও ওমানের মধ্যকার যৌথ সামরিক কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
ওমান ও ইরানের যৌথ নৌ-মহড়ায় উভয় দেশের কয়েকটি রণতরী, বেশ কিছু হেলিকপ্টার এবং ইরানে তৈরি ড্রোন অংশ গ্রহণ করে। এ সময় ইরান এবং ওমানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
দু’দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা, সাগরে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং দু’দেশের নৌবাহিনীর সদস্যদের কার্যক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করাকে চলতি মহড়ার প্রধান উদ্দেশ্য বলে অভিহিত করে।
ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার মঙ্গলবার জানান, তার দেশ ওমানের নৌবহরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তিনি ওই আমন্ত্রণ জানান এবং তার আমন্ত্রণের দু’দির পর হরমুজ প্রণালিতে ওমান ও ইরানের নৌবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন হল। সূত্র: প্রেসটিভি
সংগৃহীত ছবি
আমেরিকার সীমান্তে মেক্সিকোর শহর রেনোসায় গালি চালিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে রাস্তার ১৮ পথচারীকে হত্যা করে। স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে অনেকটা সিনেমার দৃশ্যের মতো ঘটনাটি ঘটে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আততায়ী পলাতক। বেশকিছু মানুষ আহত অবস্থায় হাসপাতালে। পুলিশ আততায়ীর খোঁজে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে একটি এসইউভি গাড়ি চড়ে আততায়ী গুলি ছুড়তে ছুড়তে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রেনোসার একাধিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ।
পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি। তবে সীমান্ত অঞ্চল সিল করে দেওয়া হয়েছে। বর্ডারগার্ড, সেনা ও পুলিশ গোটা এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এর সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়া বা কার্টেলদের সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ।
অন্য আরেক ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনিও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মেক্সিকো প্রশাসন জানিয়েছে, আততায়ীকে ধরার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে কেন, কে এভাবে গুলি ছুড়লো, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
এফএ কাপের ফাইনালে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০১৫-১৬ সাল প্রিমিয়ার লীগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার এফএ কাপের শিরোপার দেখা পেলো চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটি। করোনা মহামারীতেও ফুটবল প্রিয় লন্ডনবাসী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল কিছু দর্শক। প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স উইলিয়ামস। চেলসির বিপক্ষে মাঠে নেমে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার এফ এ কাপের শিরোপা জিতলো লেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়ন দলটির সদস্য ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হামজা চৌধুরী। শিরোপা উৎসবের সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডারেএ সাথে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ওয়েসেলে ফোফান ও ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে জয় উদযাপন করেছেন।
বর্তমােন বিশ্ব ফুটবলের মুসলিম তারকারা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে অত্যাচারের শিকার ফিলিস্তিনে পক্ষ নিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগে খেলা পল পগবা, মোহাম্মদ সালাহ, রিয়াদ মাহরেজ থেকে আচরাফ হাকিমিরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
১-০ গোলে জয় পেয়ে এমন উদযাপনের পর চোখ এড়ায়নি কিছু বিখ্যাত গণমাধ্যমের ডেইলি মেইল, দ্য মিরর, ফার্স্টপোস্ট, আইরিশ টাইমস থেকে আল জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটরের মতো গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এমনকি খবর প্রকাশ করেছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েলও।
এই ঘটনার পর ইংল্যান্ডে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হুসাম জমলট দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে হামজাদের আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত জমলট হামজাদ বলেন, ‘শিরোপা জেতায় আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আশাকরি একদিন লেস্টার সিটি ক্লাব স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেমে খেলবে।’
উল্লেখ্য চেলসি মূলত ইসরায়েল সমর্থিত একটি দল। এর মালিক রোমান আব্রাহমভিচ একজন রুশ বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি ধনকুবের। তিনি একজন ইহুদি।