a
ফাইল ছবি
নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল আজারবাইজান। ৪৪ দিনব্যাপী চলা সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ নভেম্বরের ১০ তারিখ রাশিয়ার মধ্যস্থতায় থেমে যায়। আজারবাইজান ফিরে পায় তাদের কাঙ্খিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল। কিন্তু এর বিনিময়ে আজারবাইজানকে ২ হাজার ৯০০ জন সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
বুধবার (২ জুন) আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমনটাই দাবি করে। এদিন ৪৪ দিনের যুদ্ধে (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে ১০ নভেম্বর ২০২০) যে ২ হাজার ৯০০ জন সৈন্য প্রাণ শহীদ হয়েছেন সেখানে তাদের নাম, ডাকনাম, জন্ম তারিখ, র্যাঙ্ক, ব্যাজসহ বিস্তারিত তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
পাশাপাশি যারা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। আর নিখোঁজ সৈন্যদের খুঁজে বের করার সকল প্রক্রিয়া অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।
ছবি সংগৃহীত
ইসরায়েল দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক চাপে অবশেষে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অনুমোদন দিতে বাধ্য হলো। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে ইসরায়েল সরকার।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। বিনিময়ে ইসরায়েলেও তাদের জেলে বন্দি থাকা প্রায় সমসংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এদিকে, বন্দি বিনিময় সাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে এখনো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। সূত্র: আল জাজিরা, সিএনএন ও বিবিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থানরত দুর্নীতি বিরোধী সমাজের শিক্ষকদের গুলি করে মারার হুমকি দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ সিন্ডিকেট সভা তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষকদের বাধার মুখে ১১টার দিকে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্যের এই সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকেরা। উল্লেখ্য, এর আগেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা।
সকাল ১০টা ১৫টার দিকে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্য তার বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এসময় ছাত্রলীগকে নিবৃত্ত করার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে অনুরোধ জানান শিক্ষকেরা।
তবে একপর্যায়ে পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই শিক্ষকদের সাথে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন। এসময় প্রক্টরও লাঞ্চিত হন।
এ ঘটনার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে এক যুবক শিক্ষকদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। সংবাদকর্মীদের ধারণ করা একটি ভিডিওতে বিষয়টি দেখা যায়।
দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের মধ্যে বাংলা বিভাগের শিক্ষক শফিকুন্নবি সামাদী বলেন, আমরা উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এমনকি আমাদের গুলি করার হুমকি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে এভাবে হুমকি দেয়ার সাহস কেউ রাখে না। এটি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দায়ী।