a চেচেন যোদ্ধারা রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিলো
ঢাকা বুধবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

চেচেন যোদ্ধারা রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিলো


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২২, ১০:১০
চেচেন যোদ্ধারা রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিলো

ফাইল ছবি

ইউক্রেনে তৃতীয় দিনের মতো রুশ বাহিনীর হামলা চলছে। ইতোমধ্যে রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এর মধ্যে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে তার যোদ্ধাদের পাঠিয়েছেন। তারা রুশ সেনাদের সঙ্গে কাথে কাথ মিলিয়ে যুদ্ধ করবে।

অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে রামযান কাদিরভ বলেন, চেচেন বাহিনী এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের একটি সামরিক স্থাপনা সফলভাবে দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই প্রজাতন্ত্রের নেতা রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র হিসেবে পরিচিত।

রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে কাদিরভ বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর যে সিদ্ধান্ত  পুতিন নিয়েছেন তা মস্কোর শত্রুদের ইউক্রেনের মাটি ব্যবহার করে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর সুযোগ প্রতিহত করবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

গাজায় ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে আমেরিকার বিমান বাহিনীর এক সদস্য ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৪, ০১:০৯
গাজায় ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে আমেরিকার বিমান বাহিনীর এক সদস্য ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে গায়ে আগুন ধরিয়ে

ছবি সংগৃহীত

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এরপর থেকে দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ ওই উপত্যাকায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রায় ৩০,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি।

গাজায় ইসরায়েলের এই বর্বরতা এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

এরই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করছে না ইহুদিবাদী দেশটি। আর তাদের জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এমতাবস্থায় গাজায় ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদ জানিয়ে আমেরিকার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর এক সদস্য। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস ডিসি ফায়ার ও ইএমএস-এর কর্মকর্তারা আগুন নেভানোর পর ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে সামরিক পোশাক পরা মার্কিন বিমান বাহিনীর ওই সদস্য বলেন, “আমি আর গণহত্যার সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখতে চাই না।”

এরপর তিনি এক ধরনের স্বচ্ছ তরল জিনিস নিজের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তিনি ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, এপি, ইউএসএ টুডে, রয়টার্স, সিবিএস নিউজ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আর কোন নির্বাচনে অংশ না-নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বিএনপির 


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১, ১১:০৬
আর কোন নির্বাচনে অংশ না-নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত বিএনপির 

ফাইল ফটো

স্থানীয় সরকারের পর এবার জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শুধু লক্ষ্মীপুর নয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আর কোনো নির্বাচনেই অংশ না-নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি'র হাইকমান্ড।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এমন নিশ্চয়তা বা পরিবেশ সৃষ্টি না-হওয়া পর্যন্ত তারা আর ভোটে অংশগ্রহণ করবে না। এ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেয়ে দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা।

এ লক্ষে সরকারের বাইরে থাকা সব দলকে নিয়ে গড়ে তোলা হবে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্রুত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করবে দলটি। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত শনিবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়াসহ ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতাই উপনির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত জানান।

এক নেতা বলেন, বিএনপি স্থানীয় সরকারের (পৌরসভা) সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই নির্বাচন বর্জন করলে সুশীল সমাজ বা বাইরের কোনো শক্তি এ নিয়ে তাদের দোষারোপ করতে পারবে না। কারণ, সারা দেশে নির্বাচনের নামে যে তামাশা হচ্ছে তা প্রমাণিত। 

এখন মানুষই প্রশ্ন তুলছে-কেন আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাই এ সরকার ও ইসির অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ না-নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান ওই নেতা।

আন্দোলনের ইস্যু কী হবে, তা নিয়েও নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেন। একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের আমূল সংস্কার এবং বিদ্যমান নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনকে সামনে রেখে জনমত তৈরি করতে হবে। কারণ, বিদ্যমান সরকার ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচনে অংশ নিলে ফলাফল বিগত দিনের মতোই হবে।

তাই এ দুটি বিষয় সামনে রেখেই আমাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এক নেতা বলেন, এ নিয়ে আমরা অতীতেও আন্দোলন করেছি; কিন্তু দাবি আদায় না-করেই আমরা সরকারের সঙ্গে সংলাপ করে বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।

তাই এবার আন্দোলনের আগে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সরকার যদি আলোচনায় বসে, তাহলে আমরা কোন কোন জায়গায় ছাড় দেব। তা ছাড়া এ দাবি শুধু আমাদের একার নয়, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সবার। সবাই চাচ্ছে, এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

বর্তমান সরকারের অধীন তা সম্ভব নয় বলে সবাই মনে করছে। আমাদের বাইরে থাকা দল ও সুশীল সমাজকে এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম করতে হবে। প্রয়োজনে এ ইস্যুতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, দেশে নির্বাচনি সিস্টেমটা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন। বর্তমান নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তন না হলে শুধু বিএনপি নয়, জনগণও ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না।

তাই এ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেয়ে নির্বাচনি ব্যবস্থার পরিবর্তনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আমরা নির্বাচনে যাব না, তা কখনোই বলছি না। যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হয় এবং জনগণ যদি তা বিশ্বাস করে, তবে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব। সেটা যদি আজ হয়, তাহলে আজই আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেব। কারণ, জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী গণমাধ্যমকে বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকমান্ড। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।

কারণ, এদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নেই। সরকারি দল নির্বাচনকে টেন্ডারের মতো বানিয়ে ফেলছে। কেউ নৌকার টেন্ডার পেলেই তিনি নির্বাচিত। গত ১০ বছরে স্থানীয় সরকারের প্রায় সব নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। সম্প্রতি শেষ হওয়া পৌরসভা নির্বাচনেও অংশ নিয়েছে।

কিন্তু আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি পৌর ও উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনসহ বাকি ভোটও বর্জনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সংগ্রহীত: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক