a
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মনিরুল ইসলাম। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, নিহত কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার আহমেদ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন। হঠাৎ তারা নিজেদের মধ্যে বাক-বিতন্ডায় ঝড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কনস্টেবল কাউসার নিজের সঙ্গে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল মনিরুলকে। গুলির বিকট শব্দে ডিপ্লোমেটিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মনিরুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া জাপান অ্যাম্বাসির ড্রাইভার সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং তিনি বর্তমানে ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে আমরা বাইরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে ছিল মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে। তখন তিনি বলেন ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতাছে এমনি মাটিতে পড়ে আছে।’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়। এরই মধ্যে সবাই বুঝে যায়, কাউসারই মনিরুলকে গুলি করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন এবং দায়িত্বরত পুলিশ বলছেন আক্রমণকারী কনস্টেবলকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন।
শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে আটক করে।
শনিবার ভারতীয় এক গণমাধ্যমে খবর পাওয়া যায় যে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল এবং এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা করেছে বিএসএফ।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিজ অফিস করেছেন সোহেল রানা। এরপর থেকে আর থানায় আসেননি, রিপোর্টও দেননি, ছুটিও নেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে খবর পাচ্ছি তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। তবে আমরা এখনো তা নিশ্চিত হতে পারিনি। বনানী থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ও আটক সোহেল রানা একই ব্যক্তি কি না তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, এখন তিনি কোথায় আছেন সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ভারত- নেপাল সীমান্তে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশি আটক হয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাইনি। সোহেল রানা আটক হয়ে থাকলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হবে।
বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বোন ও ভগ্নিপতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’পরিচালনা করতেন। তাদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সরকার ভাবছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে কঠোর অবস্থানে থেকে হেফাজতে ইসলামকে মোকাবিলা করার কথা। এ যাবৎ সংঘটিত প্রতিটি সহিংস ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে খুব কম সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেবে পুলিশ। এর পর পরই শুরু হবে গ্রেপ্তার। এরই মধ্যে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নেতারা জানান, এখন দেশজুড়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক শক্তি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা প্রথমে জনগণকে সচেতন করার কর্মকাণ্ডে উদ্যোগী ভূমিকা নেবেন। এরপর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন।
এ ছাড়া প্রশাসনিকভাবে হেফাজতে ইসলামের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কয়েকজন মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ২৪ শীর্ষ নেতা এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জের ৩০টি মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতা এবং উস্কানিমূলক অপতৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এসব তাণ্ডবের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় চার্জশিট দেওয়া হবে। এরপর শুরু হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েক নেতার ভাষ্য, হেফাজতে ইসলামের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে দলের অনেক নেতাকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির প্রতিও অসম্মান দেখানো হয়েছে। এই বিষয়গুলো নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে নেননি। তারা কেন্দ্রের কাছে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক নির্দেশনা চাচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকেও এই বিষয়ে সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দলের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রস্তুত রয়েছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে দলের নেতাকর্মীদের তারাই গুছিয়ে আনতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী সমকালকে বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার। সবাইকে আইনের আওতায় আনবে। আওয়ামী লীগ দায়িত্ববোধের অবস্থানে থেকে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে তুলবে। মনে রাখতে হবে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে জ্বালাও-পোড়াওয়ের কোনো স্থান নেই। এই চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ১৭ জন মারা গেছেন। হঠাৎ করে এই তাণ্ডব কেন? নিশ্চয়ই এর কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যারাই তাণ্ডব করে থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। হেফাজতে ইসলামের সন্ত্রাস-সহিংসতার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন ও সম্পৃক্ততা খুঁজে দেখার কথাও বলেছেন। বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের বক্তৃতা-বিবৃতিই হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে- এমনটা মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে জামায়াতে ইসলামীর সরাসরি সমর্থন এবং বিএনপি নেতাদের এই হরতালকে যুক্তিসংগত আখ্যা দেওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রবিবার সংসদ অধিবেশনে হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক তাণ্ডবের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের মদদ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'পুলিশ কেন ধৈর্য দেখিয়েছে- এই প্রশ্ন সংসদেও এসেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি এগুলো বিরত করার জন্য। সংঘাতে সংঘাত বাড়ে। আমরা তা চাইনি। সুবর্ণজয়ন্তী ভালোভাবে উদযাপন করতে চেয়েছি।'
গতকাল সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা তাণ্ডব চালিয়েছিল, তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে রয়েছে। সুতরাং যারা পেছন থেকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উস্কানি ও অর্থায়ন করছে, তাদের মুখোশও উন্মোচন করা হবে।
সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার নামে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত সহিংসতার পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের ডাকা হরতালেও সহিংসতা হয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও থেকে রক্ষা পায়নি রেলস্টেশন, ভূমি অফিস, জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপার-সিভিল সার্জন-জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় ও ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক নির্দশন। আওয়ামী লীগের অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস-সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রিসোর্টে একজন নারীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের উপস্থিতির পরও এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেভাবে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে তাদের নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে; সে বিষয়টিও সরকার এবং প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায় , হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ সংশ্নিষ্ট মাদ্রাসাগুলোর ব্যাংক হিসাব ও আয়-রোজগারে অস্বাভাবিক গরমিল পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া সন্ত্রাস-সহিংসতা ও প্রাণহানির দায়েও হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার মানুষকে। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল কোনো নেতা বা কর্মীর নাম নেই। হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের ইন্ধন কিংবা সম্পৃক্ততা 'পাওয়া গেলে' তাদের এসব মামলায় হুকুমের আসামি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আত্মপ্রকাশ। চট্টগ্রামের হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম থেকে পরিচালিত হয় সংগঠনটি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে ২০১৩ সালে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলাম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রথম সবার নজরে আসে। ওই বছর ৫ মে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান করে গোটা এলাকায় নজিরবিহীন জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সংগঠনটি।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের তোলা প্রতিটি দাবিতেই সরকার সমঝোতা কিংবা আপসের পথে হেঁটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হেফাজতে ইসলামের দাবির মুখে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্তও সরকার নিয়েছে।