a
প্রতিকী ছবি
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন বাসাবোতে সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ঠিকাদার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উত্তর বাসাবোতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাইফুলের বন্ধু মহিন জানায়, সাইফুল খিলগাও রেলগেট এলাকার বাসিন্দা। সে ইট-বালুর ঠিকাদারী ব্যবসা করে। বেশ কিছুদিন ধরে একই এলাকার রিপন, সুমন, উজ্জলদের সঙ্গে সাইফুলের ঠিকাদারী ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল। এসব ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় উত্তর বাসাবো এলাকার শিকদার টেইলার্সের সামনে সাইফুলকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আত্বীয়-স্বজন খবর পেয়ে সাইফুলকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল ইসলাম জানান, গুলির ঘটনা ঘটেছে। তারা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
ছবি সংগৃহীত
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে তার ওপর হামলা চালায় কিছু দুর্বৃত্তরা।
জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট চলাকালীন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনও তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, আগেও আমরা বলেছি, আমরা আশা করি যে বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে এবং আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।
এর আগে সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে একদল যুবক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা চালায়। তার ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি পুলিশ প্রধান। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
প্রতিকী ছবি
কোভিড জীবাণু বায়ুবাহিত বিজ্ঞানীরা এই দাবির পেছনে কমপক্ষে ১০টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বায়ুবাহিত নয় বলে এত দিন দাবি করে আসা হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলো আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডার ছয় গবেষক যুক্ত আছেন এই গবেষণায়। নিজেদের দাবির পেছনে অন্তত ১০টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের বক্তব্য, জীবাণুটি বায়ুবাহিত হওয়ার পক্ষেই প্রমাণ বেশি।
এই ছয় বিজ্ঞানীর দেখানো দশটি বৈজ্ঞানিক কারণ হলো:
১) সুপার-স্প্রেডার ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে মানুষের আচরণ, কোন পরিসরে ঘটেছে, ঘরের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, এসব খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট শ্বাসপ্রশ্বাসে নির্গত জলকণা বা ড্রপলেটসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো অসম্ভব।
২) পাশের ঘরে ছিলেন, সংক্রমিতের মুখোমুখি হননি, তাও করোনা আক্রান্ত হন।
৩) আক্রান্তদের ৩৩ থেকে ৫৯% উপসর্গহীন। সে ক্ষেত্রে কীভাবে ছড়াচ্ছে?
৪) বাইরের তুলনায় ঘরের ভেতরে বেশি সংক্রমণ ঘটছে।
৫) হাসপাতালের কর্মীরা পিপিই পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন।
৬) কোভিড আক্রান্তের ঘরের বাতাসে ভাইরাস মিলেছে।
৭) কোভিড হাসপাতালের এয়ার ফিল্টারে ভাইরাস পাওয়া গেছে।
৮) খাঁচা-বন্দি প্রাণীরা সংক্রমিত হয়েছে এয়ার ডাক্ট থেকে।
৯) কোনো গবেষণায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটি বায়ুবাহিত না হওয়ার পক্ষে প্রমাণ নেই।
১০) ড্রপলেটসে ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ বিশেষ নেই।
সূত্র:বিডিপ্রতিদিন