a
প্রতিকী ছবি
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন বাসাবোতে সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ঠিকাদার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উত্তর বাসাবোতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাইফুলের বন্ধু মহিন জানায়, সাইফুল খিলগাও রেলগেট এলাকার বাসিন্দা। সে ইট-বালুর ঠিকাদারী ব্যবসা করে। বেশ কিছুদিন ধরে একই এলাকার রিপন, সুমন, উজ্জলদের সঙ্গে সাইফুলের ঠিকাদারী ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল। এসব ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় উত্তর বাসাবো এলাকার শিকদার টেইলার্সের সামনে সাইফুলকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আত্বীয়-স্বজন খবর পেয়ে সাইফুলকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল ইসলাম জানান, গুলির ঘটনা ঘটেছে। তারা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
ছবি সংগৃহীত
ভণ্ডামি পরিবার ও সমাজ—উভয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এটি অসংখ্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যখন ব্যক্তিস্বার্থ সমাজের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে, তখন ভণ্ডামি ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে, যা শেষ পর্যন্ত সমাজের অবক্ষয় ডেকে আনে।
আমাদের সমাজে ভণ্ডামির চর্চা এখন এতটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভ্যাসের শিকার। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী নীতি ও মূল্যবোধ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। সমাজের সামাজিক বন্ধনগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে এবং সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও পবিত্র কোরআনে ভণ্ডামিকে গুরুতর পাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু আমরা তা মানতে খুব একটা আগ্রহী নই।
সমাজের সর্বস্তরের নেতারাও এই ভণ্ডামির ভাইরাস থেকে মুক্ত নন। ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নেতৃত্ব কাঠামো এতে আক্রান্ত হয়েছে, ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বেশিরভাগ নেতাই ভণ্ড, যাদের জনগণের স্বার্থের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ধন-সম্পদ উপার্জন, যা এখন সমাজের নেতৃত্ব কাঠামোর সাধারণ প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। ভালো ও সৎ নেতা খুঁজে পাওয়া এখন বিরল ব্যাপার।
যদি একটি সমাজের নেতারা বিপুল সংখ্যায় ভণ্ডামিতে নিমজ্জিত হয়, তবে সেই সমাজের জন্য ভালো কিছু আশা করা যায় না। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের সমাজ এই ধরনের ভণ্ড নেতাদের শিকার হয়ে আসছে। স্বাধীনতার পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব বেশি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বয়ে আনেনি। শুরু থেকেই নেতারা জনগণের কল্যাণের চেয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রমও ছিল, যেমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, যিনি জাতির সেবা করেছেন। গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে এ রকম ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত খুবই কম দেখা গেছে।
একটি সমাজ কখনোই উন্নতি করতে পারে না যদি তার নেতারা ভণ্ড ও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়। আমরা এই অসৎ নেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং ভবিষ্যতেও এর ফল ভোগ করতে হবে। জাতির রক্ষক হিসেবে বিবেচিত শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা অত্যন্ত অসৎ, এবং তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে জনগণের অর্থ লুটপাট করেছে।
শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নয়, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আমলা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যারা ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন, তারা সবাই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। গত ১৫ বছর ধরে এটিই ছিল সাধারণ চিত্র।
এখন এই ভাগ্যবান দুর্নীতিবাজদের অনেকেই নির্দোষ সাজতে চাচ্ছেন এবং জনগণের সহানুভূতি আদায় করে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা নিতে চাইছেন। যখন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেন, তখন তা শুধু হাস্যকরই নয়, বরং আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি একটি প্রচলিত ধারণা হয়ে উঠেছে যে, "সর্বোত্তম বন্ধুর" অনুমোদন ছাড়া গত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কেউ জেনারেল হতে পারেননি।
আমরা ভাগ্যবান যে, একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু একইসঙ্গে দেশজুড়ে বিভ্রান্তিও বিরাজ করছে। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো, রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে নিষ্ঠাবান হতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি জাতির স্বার্থে ভবিষ্যতে ভণ্ডামি ছাড়া রাজনীতি করতে পারব? সময় এখনই, নয়তো কখনোই নয়।
লেখক: অধ্যাপক কর্নেল আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
করোনাভাইরাস
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৭০ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৪৩২ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ৩,১৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ১০ হাজার ২৮৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪,৬৯৭ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮২ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৪৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।